"এই চেতনা ঐ চেতনা"
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ২৮ জুলাই, ২০১৫, ১১:৪১:৪৮ রাত
অদ্ভুত লাগে এক শ্রেণীর বুদ্ধিবেস্যাদের দুই নাম্বারী ঐক্যবদ্ধ অবস্থান দেখে! এমনকি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরোধীতা করতে গিয়েও তারা দশ-পাঁচ ভাবেনা! অন্যদিকে কখনো শুনবেন না তারা সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এসব করে! কোনদিন...!!
বরং সকল দেশদ্রোহী অবস্থানের ঠিক আশপাশেই এইসব লোক উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুরপাক করে!! ঠিক খোড়া সব যুক্তি দিয়ে দেশদ্রোহকে সাপোর্ট দিতে থাকে একের পর এক!
এসব লোকদের চেহারা দেখে অবাক হতে হয়! আরে এরাই না গণজাগরন মঞ্চের খাবিখাওয়া কর্মী! অন্ধ দেশপ্রেমিক দাবী করে নিজেদের গলা ফাটিয়ে রেখেছে!! তারাই আজ 'দেশপ্রেমকে' গালি দিচ্ছে! 'দেশাত্মবোধকে' কটাক্ষ করছে!! তারাই আজ শেখ মুজিবকে অপরাধী বানাচ্ছে!! অথচ 'বন্ধবন্ধু' 'জাতীর জনক' বলে যার সকল কাজের উচ্চমার্গের প্রশংসা করে এলো!!
জাস্ট পাগল হবার জোগাড়! সামান্য কারনে যারা মানুষের জীবন ধারনের অধিকারকেও অস্বীকার করে তারাই কিনা সাঙ্ঘাতিক সব ব্যাপার নিয়ে বিপরীত বয়ান ঝাড়ে!!
একই লোক, একই মতবাদ, একই মনোভাব! কী করে-
১- গোলাম আযমকে গালি দিয়ে আজন্ম উদ্ধত রাজাকার পাকিস্তানি মন্ত্রী ত্রিদিব রায় চাকমাকে মানবতার প্রতীক বানিয়ে ফেলে!
২- মুক্তিযুদ্ধ চর্চা(!) করতে করতে, এমনকি ইসলামের প্রতীক দাঁড়ী-টুপিকে পর্যন্ত রাজাকারের পোষাক(?) বানিয়ে, কিকরে প্রায় শতভাগ গোষ্ঠীগত রাজাকার- তথা চাকমাদের পোষাককে শ্রদ্ধার আধার বানায়!
৩- রাজাকারের ফাঁশি-র ভরা মজলিসে (আজ অবধি) আত্মিক ভাবে রাজাকার সমমনাদেরই অংশ নেয়ায়!
৪- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙ্গালীর মুক্তি, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সোচ্চার দল, সেকুলারিজমের ধারকরাই কি করে বাঙ্গালী জাতীর বিরুদ্ধে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের ক্রীড়নক উপজাতীদের পক্ষে নাঙ্গা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়!
এ তো গেল জটলার ব্যাপারে কথা! কিন্তু জ্ঞাণপাপীদের দিকটি কিকরে বিশ্বাস করবেন?
১- সারা দেশে যারা মানবাধিকারের সর্বাত্মক বুলি ঝাড়েন, তারাই আবার নির্যাতিত পার্বত্যাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অশ্রুর কারন হন কিকরে!
২- আইনের নামে যারা খোদ আদালতের প্রধান বিচারপতিকেও সবক দেয়ার হিম্মত করেন, তারাই আবার বে-আইনী কাজের আখড়া করেন পার্বতযাঞ্চলকে!!
৩- খোদ সংবিধান প্রনেতা আর তার সাঙ্গ-পাঙ্গরাই কিনা সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেন! সংবিধান নস্যাৎ করতে চান!!
৪- মানবাধিকার কমিশন নামের জাতীয় সংস্থার স্বয়ং কমিশনার কিকরে মানবাধিকার বিরোধী বুলি ঝাড়েন!!
৫- বিশিষ্ট শিক্ষাবীদগণ কিকরে বিশ্ব-আদিবাসী দিবসে সবচেয়ে মূর্খের ন্যায় আচরন করেন!
৬- ধর্মের নামে ব্যবসা, সাম্প্রদায়ীকতা আর জোচ্চুরির বিরুদ্ধে শ্লোগানধারী ধ্যানকর্তাগণ কিকরে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ দেশব্যাপী ক্ষুদ্র জাতীসত্ত্বার মানুষদের লোভ দেখিয়ে খ্রিষ্টান বানানোর মিশনে নিশ্চুপ সমর্থন প্রদান করেন!!
৭- অন্ন-বস্ত্রহীন পার্বত্য নারীদের আকুতি মাখা জটলা মাড়িয়ে কিকরে বিশিষ্ট দেশী নারীবাদীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের ফ্যাশন-মডেলদের দিকে পা বাড়ান!! কিকরে দারিদ্রকে ঘৃণা করেন!!
৮- পার্বত্য দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবে সুদূর পাশ্চাত্যে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত ধনীর দুলালদের নিয়ে মেতে থাকেন এদেশের শিক্ষা কর্তাগন!!
.............................................এসব সেক্টর ভিত্তিক বুদ্ধিবেস্যাদের নির্লজ্জ্বতার কোন সীমা আছে কি?
কিভাবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জাতী গোষ্ঠীকে নিম্ন স্টাটাসধারী করে রেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন!!!!?
এটাই কি এদেশের মানবাধিকার সংস্থা, আইনসেবক, নারীবাদী, এনজিও, সালিশকেন্দ্র, সুশীল, শিক্ষাবিদ আর শিশুআন্দোলনকারীদের প্রকৃত রুপ?
কোন অপরাধে সর্বজন স্বীকৃত ভূমিহীন দরিদ্র মানুষ হয়েও পার্বত্য বাঙ্গালীরা আপনাদের আনুকূল্য পায়না!? অথচ সারা দেশের সবখানেই তো এমন লাখো ভূমিহীন মানুষদের সেবা দেয়ার কথা বলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় থেকে আপনারা লাইসেন্স করিয়েছেন!
তবে কি পার্বত্য চট্টগ্রামকে আজও আপনারা এই বাংলার অংশ মানতে রাজী নন!? অথবা, বিবেকের চেয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের আর্থিক মূল্যই আপনাদের কাছে বেশি!!
মনে রাখবেন- আরেকটি পূর্বতিমূর বানানো জ্ঞানপাপ আপনাদের পক্ষে যাবেনা! অসহায় মানুষের মলিন হাসির আড়ালে যে অভিশাপ আছে, তা পৃথিবীর সব পাপীকে যুগ যুগ যন্ত্রণাময় মৃত্যু দেখিয়েছে! এদেশ শুধু অসহায়দেরই ধারন করেনি! বহু বিপ্লবীরা প্রতি পদক্ষেপে নজর রাখেন!
বিষয়: বিবিধ
১৪২৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার সহমত
মন্তব্য করতে লগইন করুন