'মৌলবাদীদেরকে তোমরা সুযোগ কইরা দিছো - যতীন সরকার' স্বাক্ষাৎকারটি নিয়ে ভাবনা।
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ০৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৩৭:০২ দুপুর
যতীন সরকার। যতীন সরকার। বর্তমান সময়ের বাঙ্গালী নাস্তিকদের অন্যতম ভাবগুরু! সম্প্রতি ধর্মদ্রোহী কর্মকান্ড করে আলোচনায় আসা তথাকথিত নাস্তিকদের নিয়ে সুন্দর স্বাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। স্বাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হয়েছে একটি বাংলা ব্লগে। ঐ স্বাক্ষাৎকারটি পড়ে কিছু চিন্তার খোরাক পেলাম। সেটা এখানে শেয়ার করছি।
বর্তমানে মুসলিম ঘরে জন্ম নেয়া নাস্তিকেরা ইসলাম সম্পর্কে না জেনেই ধর্মের বিরোধীতায় নেমে ভুল সমালোচনা ও বিদ্বেষ প্রচার করে। অন্যদিকে যতীন সরকার জানালেন হিন্দু ঘরে জন্ম নেয়া নাস্তিকেরা হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অধ্যয়ন করেই সমালোচনা করে। এক্ষেত্রে দুইটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে-
১- বর্তমান মুসলিম ঘরের নাস্তিকেরা আসলে না জেনে নাস্তিক। জানার পর একটি দল অবশ্যই ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসবেন। আরেকটি দল রিয়েল টাইম ডিবেটে আসবেন। যারা জেনে ডিবেটে আসবেন তাদের মাঝে কিছু লোক এমন থাকবে যারা পুরোপুরি না বুঝার জন্য ডিবেট করেছেন। এরাও ফিরে আসবেন ভুল বুঝতে পেরে। মূলত এই দুই ক্যাটাগরির নাস্তিকই আসলে মানবতাবাদী এবং মানবতার জন্য কাজ করতে আগ্রহী। এর পর যারা থাকবে তারা আবারও 'বর্তমান মুর্খদের হাতে নাস্তিকতার হাল ধরবেন'। বরং নাস্তিকতা আরো খাদে পতিত হবে। কারন যেকোন আদর্শ টিকিয়ে রাখার জন্য নৈতিক শক্তিটাই আসল। আলটিমেটলি মূল জ্ঞাণ আসার পর সেই শক্তিতেই জয়-পরাজয় নির্ধারন হবে।
২- 'হিন্দু ধর্মের নাস্তিকেরা ধর্ম সম্বন্ধে ভালো ভাবে জেনে সমালোচনা করছেন।' এটা যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে এটা হিন্দু ধর্মের ত্রুটির দিকেই আঙ্গুল তুলে ধরে। যুগ যুগ যে ত্রুটি শাস্ত্র জ্ঞান সম্পন্নদের মাঝেও নাস্তিকতার জন্ম দিচ্ছে।
একটি কথা বোঝার বিষয় রয়েছে সেটা হল- ধর্ম বলতে কোনদিন 'শুধু একটা বিষয়' অর্থ করে না। বর্তমানে বাংলাদেশী নাস্তিক সহ ধর্মবিদ্বেষীরা যেটা মিন করে থাকে।
ধর্ম বনাম নাস্তিকতা বললে একটিকে নাস্তিকতা; এবং অন্যদিকে প্রত্যেকটা ধর্মের আলাদা স্বকীয় ব্যাখ্যার ব্যাপারটি আসে।
ফলে রাজনীতি-অর্থনীতির মত মৌলিক দিকে দ্বিধাযুক্ত, অসম্পূর্ণ খ্রিষ্টবাদের ফলাফল হিসবে যে নাস্তিকতার জন্ম তা যে প্রত্যেকটা ধর্মের বিপরিতে প্রাসঙ্গিক হবে, বিষয়টা তেমন নাও তো হতে পারে!
ইসলাম নিয়ে তাদের ভাষায় 'মৌলবাদিরা' যে অধ্যয়ন করেন সে অধ্যয়ন করেই তারপর ডিবেটে আসা দরকার।
আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, ত্রুটি ধরার উদ্দেশ্যে নয় বরং ইসলামকে ইসলামের সরল ব্যাক্ষ্যায় জানতে হবে। নয়তো ইসলামের অনুসারীদের সাথে তাদের করা ডিবেট হবে দুই সরল রেখায় চলা আলাদা বিষয়ের বিতর্ক। যা ফলাফল দানের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন