আবার তোরা মানুষ হ!

লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ০৩ মার্চ, ২০১৫, ০৪:৩৩:৫৬ বিকাল

সাংবাদিক অজয় রায় ধর্মদ্রোহীদের তীব্র নিন্দা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন ধর্মকে আক্রান্ত করার নাম নাস্তিকতা নয়। তিনি তার নাস্তিক বাবা কর্তৃক ধর্মীয় কাজ আঞ্জাম দেয়ার ঘটনা বর্ণনা করে চলমান তথাকথিত মুক্তমনাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

আসলে, এই বোধ আজ হোক কাল হোক সবার মাঝেই ছড়াবে। ছড়িয়ে পড়তেই হবে! শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং নিজ নিজ ইমেজ অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে হলেও সব পক্ষই একদিন ঠিকই উস্কানিদাতাদের নিজ সমর্থণ থেকে বের করে দেবে!

ভাবতে বেশ অবাক লাগে, সাম্প্রদায়িকতার বিরোধীতায় নেমে কিছু লোক প্রচন্ড সাম্প্রদায়িক; মুক্তমনার নামে চরম অসহিস্নু হয়ে উঠেছে!

যাদের হিংসার প্রচন্ড আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে ছাড়ছেনা একজন নিরপরাধ অশীতিপর বৃদ্ধা থেকে একটি ছোট্ট শিশুর অনুভূতিকেও!

মানুষের আবেগের বিরুদ্ধাচরন, তীব্র সমালোচনা আর স্বাক্ষাত নাজেহাল করার ফল কখনই ভালো হয়না। আমরা এই সময়টিতে বিবেকের তাড়নায় যত কথাই বলি না কেন, চরম নিগৃহীত মানুষ সেসব কথা শুনতে চাইবেনা।

এ যেন মানবতাকে বিতর্কিত করবার মিশন!

যেন উগ্রতাকে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিয়ে নিজের শুধ্যতা প্রমানের এক নির্মম প্রতীযোগীতা! অন্যকে খুটিয়ে খিটুয়ে মানসিকতা নষ্ট করে দিয়ে তাকে নষ্ট বলে প্রমাণ করবার অদ্ভূত কাজ কারবার!

মানুষকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন যদি অপরাধ হয়, তাহলে মানসিক নির্যাতন আরও বড় নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য!- এটাই আমার মুক্ত চিন্তার স্বীদ্ধান্ত। নিশ্চই আমার এ অবস্থানের মুক্তচিন্তার জবাব, আমাকে ছাগু, ধর্মান্ধ কিংবা আমার শ্রদ্ধার স্থানটিকে নিয়ে নিম্ন রুচির গল্প ফাঁদার দ্বারা হবেনা!

মানুষের চিন্তা ও স্বাধীনতার যায়গাটিই তাকে তার চিন্তার সম্মান লাভের অধিকার দেয়। চিন্তার প্যাটার্ন-স্বীদ্ধান্তের অপমানকে অগ্রহনযোগ্য এবং একই সাথে নির্যাতনকে শাস্তিযোগ্য করে তোলে।

মুক্তমন মানে তো স্বেচ্ছাচারীতা ও উগ্রতা নয়! বাক স্বাধীনতা মানে কোন বোধকে রঙ লাগিয়ে বাধনছাড়া উগ্রপ্রকাশ কিংবা বাক শক্তির যথেচ্ছ ক্ষতিকর ব্যবহারের 'স্বাধীনতা' নয়!

মানবিক বিবেকবোধ আমাকে সেই শিক্ষা দেয়না।

একজন লেখককে বিচারবহির্ভূত হত্যার নিন্দা করছি এবং সেই সাথে বর্তমান সময় থেকে শিক্ষা নিয়ে, সমাজকে শান্তিপূর্ণ ও নাগরিকের সকল প্রকার চেতনা-মতবাদকে অপমান ও লাঞ্ছনা থেকে রক্ষায় একটি মানবিকতা পূর্ণ শোভন আইন ও তার সঠিক প্রয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়: বিবিধ

১১০৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

307085
০৩ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫২
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : স্বাধীনতা যেমন অপরের কাজে হস্তক্ষেপ করে করা যায় না তেমনি মুক্তমনা মানেও তাই। নিজের গণ্ডির মধ্যে থেকে যতদুর পারা যায় সেটুকু করতে হবে। কিন্তু আজকালকার মুক্তমনারা অপরকে কটাক্ষ না করলে যেন তাদের পেটের ভাত হজম হয় না।
১০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৭
249242
রাহমান বিপ্লব লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন ভাই। তবে সব পক্ষের উগ্রবাদিদের মতন মুক্তমনাদের মাঝেও উগ্রবাদ দেখা যাচ্ছে। যা "মুক্তমনা" পরিচয়কেই ম্লান করে দিয়েছে।
307088
০৩ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০২
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৮
249243
রাহমান বিপ্লব লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
307120
০৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:১০
অষ্টপ্রহর লিখেছেন : সবার বিবেক জাগ্রত হোক(আমিন)|
১০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৮
249244
রাহমান বিপ্লব লিখেছেন : আমিন
307179
০৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কাউকে নাস্তিক হতে কিংবা কেউ মুক্ত মনা হউক, ইসলাম এতে বাধা দেয়না। আল্লাহ নিজেও বলেছেন, কোরআন হল উপদেশ বানী মাত্র, তোমার (নবীদের) দায়িত্ব হল এক কথাগুলো পৌছে দেওয়া.....

যারা মুসলমান তারা স্বেচ্ছায় কোরআনের আইন মানতে বাধ্য, কেননা সে ওয়াদা করেছে সেভাবে। কোরআন হল মুসলমানদের আইনের গাইড বুক। কোন হিন্দুকে কোরআনের আইন মানতে ইসলাম বাধ্য করেনা।

আবার কেউ যদি গায়ে পড়ে মুসলমানদের ক্ষতি করে, বিষিয়ে তুলে, সংঘাতকে উষ্কীয়ে তাদের গায় জড়িয়ে দেয়। সেক্ষেত্র কোরআনের কথা হল, তুমিও ঠিক সম সংখ্যক আচরণ করার অধিকার রাখ, এটা দোষের নয়। তবে যদি ক্ষমা করো তাহলে তা তোমার জন্য উত্তম। এটাই ইসলামের প্রকৃত গাইড কোড।

মুক্তমনারা কি গায়ে পড়ে ইসলামের ক্ষতি করেনা, তাহলে কেন তারা মুসলমানদের পক্ষ থেকে ভালবাসার চুম্বন আশা করবে! তারা যদি কাউকে উষ্কায় তাহলে কদাচিত তাদেরকে থাপ্পড় খেতে হবে এটা মাথায় রাখা উচিত।

এবার আসি অভিজিতের বেলায়:
তাকে কারা হত্যা করেছে এখনও পরিষ্কার নয় কিন্তু ইসলাম আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে বলেই সে নিস্তার পেতে চাচ্ছে, ফলে কাদাছোড়াছুড়ি চলছে চলবে তবে হত্যাকারী ধরা পড়বে না এটা সত্য, কেননা এখানে হত্যাকারী ধরাটা মুল লক্ষ্য নয়, আদর্শিক ঠেলাঠেলিই মূল লক্ষ্য।

ইসলামের দৃষ্টিতে অভিজিত যদি দোষি হয়, তাহলে কেউ রাতের আধারে তাকে হত্যা করে ইসলাম সেটা অনুমোদন দেয়না। আইনানুগ পন্থায় তার ফাসি হউক, সেটাই ইসলাম চায় কিন্তু অভিজিত যেভাবে নিশংস কায়দায় নিহত হল সেটা গ্রহনযোগ্য নয়, তার কর্মের শাস্তি এভাবে হওয়াটা চরম অন্যায় ও নিন্দনীয়। দোষী সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত।

তবে, অভিজিত কে নিয়ে ব্লগ পাড়ায় যা লিখা হচ্ছে, সে টা তার প্রাপ্য। কেননা এখানে ব্যক্তি অভিজিতের উপর কারো রাগ নাই, তবে অভিজিত যা লিখে গেছে, তার উত্তর দেওয়া সবার দায়িত্ব, এটা থেকে খোঁচা খাওয়া, টিপ্পনী শোনা তার পাওনা। দেড় হাজার বছর আগের কোরঅানের কথা যদি জবাবের মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে দেড় মাস আগের অভিজিতের লিখা কেন সে ধরনের আঁচর থেকে মুক্ত থাকবে। এটা তাদেরকে সহ্য করতেই হবে, এটার নামই শিক্ষা..... ভাল থাকুন।
১০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৫২
249245
রাহমান বিপ্লব লিখেছেন : ধন্যবাদ। অনেক মূল্যবান অভিমত!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File