পেট্রোল বোমার পেছনের কথা ও পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে সতর্কতা-

লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:৩০:২৫ দুপুর



মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতির ইতিহাস নতুন কিছু নয়।

এদেশের জনমানুষ কতটুকু জানে তাদের শাসক গোষ্ঠীর নির্মমতা সম্পর্কে?

তারা কতটুকু জানার সুযোগ পায়?

যেখানে খোদ দলীয় মিছিলে ট্রাক তুলে দিয়ে নিজের দলের জন্য জীবন বাজী রাখা কর্মীটির লাশ ফেলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজের অনুকুলে নেয়ার নোংরা চেষ্টাতেও দ্বীধাটুকু নেই!

সেখানে জনগণ কোন ছার!?

হ্যাঁ!

এরশাদ সরকারের আমলে ঘটানো ঠিক এমন একটি অচিন্তনীয় নিষ্ঠুরতার বর্ননা এসেছে "আমার ফাঁসি চাই" গ্রন্থে! যেখানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী নিজের সামনে থেকে দেখা অবিশ্বাস্য ঘটনা গুলোর বর্ণনা লিখে গেছেন একের পর এক! নির্মোহ থেকে তুলে ধরেছেন, ঘটনার পরই খোদ সেই একই ব্যাক্তির মানবিকতা জাগানিয়া অঝোর 'কান্না'র পেছনের দৃশ্যপটও; রুমালের সাথে গ্লিসারিন ব্যবহারের অমানসিক অভিনয়ের নিষ্ঠুর সব কথামালা!

কিন্তু প্রশ্ন হল,

আজ সেই ব্যাক্তি খোদ যখন সরকারের প্রধান, তখন বর্তমান জনসম্পৃক্ত তীব্র প্রতীরোধের মুখে জনগণকে পেট্রোলে পুড়িয়ে ছাই করে আন্দোলনকে বিতর্কিত করার সুযোগ কী ছেড়ে দেবে অমানুষটি?

কশ্মিন কালেও নয়!!

আর তাইতো, আমরা-

যাত্রীহীন, লক্কর ঝক্কর বাসে আগুন দেয়ার সময় এরেষ্ট ও গুলি করে প্রতিদিন নির্বিচার হত্যার ঘটনাগুলোর বিপরীতে "একটি এরেষ্টের খবরও পাইনা" ঠিক পুড়িয়ে মারার ঘটনা গুলোতে!! আবার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলাকারীকে জনতা ধরে পিটিয়ে পুলিশে দেয়ার পরও মুহুর্তেই তাকে পুলিশের হাত থেকে ছেড়ে দেয়ার খবর পাওয়া যায় প্রতি সপ্তাহেই!

খোদ সরকারী দলের কেন্দ্রীয় অফিসে পর্যন্ত বোমা মেরে, সরকারী দলেরই সমাবেশে পেট্রোল বোমা এবং ভারি অস্ত্রসহ আটক হয়ে পুলিশের থানা থেকে ছাড়া পাচ্ছে ছাত্রলীগ নামধারী অন্ধকারের যুবকরা!

কীসের লক্ষন এসব??

_____________

ফলে,

নিদারুন পেট্রোল বোমা হামলা থেকে নিজেদেরকে কিছুটা রক্ষায় জনগণকে সচেতন করার কাজটিও করতে হচ্ছে আমাদের মত সাধারন জনতাকেই।

দু হাত তুলে তাই দোয়া মাঙি-

ওহে আল্লাহ! রহমানুর রাহিম!

আপনি আমাদের দেশের পরিবাশকে সকল প্রকার অমানুষের অমানবিকতার ছোবল থেকে চিরো মুক্তি দান করুন। আমিন।

____________

পেট্রোল বোমা থেকে বাঁচতে আপনার করনীয়:

১. যানবাহন চালানোর সময় গাড়ির জানালার কাঁচ বন্ধ রাখুন।

২. নিজের শরীরের পোশাকে আগুন লাগলে তৎক্ষণাৎ দুই হাতে মুখ ঢেকে মাটিতেই গড়াগড়ি দিন। কারণ দৌঁড় দিলে আগুন বরং আরও বেশি করে লাগে।

৩. আগুনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভেজা অথবা মোটা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে ধরুন, এতে আগুন নিভে যাবে।

৪. পোড়া জায়গায় পর্যাপ্ত পানি ঢালুন। এ জন্য গাড়িতে সব সময় পানি সংরক্ষণ করুন এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

৫. এজন্য প্রতিটি গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স সংরক্ষণ করুন। এছাড়া বড় গাড়িতে দু`টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখুন।

৬. বাসের ভেতর দৃশ্যমান স্থানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের সচিত্র ব্যবহারবিধি টাঙিয়ে রাখুন। রাস্তার পাশে কিংবা অরক্ষিত স্থানে গাড়ি পার্ক করে ঘুমাবেন না।

এছাড়াও গাড়িতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর (০২-৯৫৫৫৫৫৫ অথবা ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯) দৃশ্যমান স্থানে বড় অক্ষরে লিখে রাখুন। এতে যত তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। একই সাথে জরুরি অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করুন এবং সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিন।

সতর্কতা- ফায়ার সার্ভিস

বিষয়: বিবিধ

৯৩৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303111
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
এমডাডুল হক পারভেজ লিখেছেন : করনীয় গুলো যেনে ভাল লাগলো
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:১৩
245208
রাহমান বিপ্লব লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই
303135
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০০
হতভাগা লিখেছেন : স্বর্প হইয়া দংশন করে

ওঝা হইয়া ঝাড়ে
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:১৩
245209
রাহমান বিপ্লব লিখেছেন : ঠিক তাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File