বাম, প্রথম আলো, বিবিসি, সুলতানা কামাল, ড মিজান... বাংলাদেশের স্বাধীনতাই এদের খাবার!

লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৯:১১:০৯ রাত



সম্প্রতি ৩০ নভেম্বর সন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার

ডাক দিয়ে আসহযোগ আন্দোলনের জন্য ৩০ এপ্রিলের

আলটিমেটাম দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ফিরে গেছে।

এর ঠিক পরপরই ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে

বাঙ্গালীদের ১২ একর জমির সাড়ে ৪ লাখ আনারসসহ গাছ

ও মেহেগুনির ২২ হাজার চারা কেটে দিয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাষীরা।

ক্ষতি অর্ধকোটি টাকার। (পত্রিকা রিপোর্টার মতে, কিন্তু ক্ষতির পরিমান অন্তত দ্বিগুণ হবে) এভাবে প্রতিবছর স্থানীয় ইউপিডিএফ তাদের জমিগুলো নষ্ট করে দেয়। পার্বত্যাঞ্চলের স্থায়ী দুঃখ তথা মোটা অংকের চাঁদা দেয়ার পরেও তাদের জমি কেটে দেয়া হচ্ছে বছরের পর বছর।

ঘটনার পর ১৬ তারিখ সকালে স্থানীয় কৃষকরা জমিতে এমন অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজাতিদের গ্রামে গেলে দেখতে পায় সেখানে কিছু কুড়ে ঘরে আগুন জ্বলছে। এই আগুনকে ভিত্তি করেই সেদিন অনলাইন পত্রিকায় বিশেষ করে প্রতিটি বাম ব্যাকড ও বিবিসির মত পশ্চিমা মিডিয়ায় উপজাতিদের গ্রামে আগুন লাগানোর অপপ্রচার চালিয়ে মারাত্মক সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়।

অথচ মূল ঘটনা তথা দরিদ্র বাঙ্গালী কৃষকদের সুবিপুল ক্ষতি ও মেহেগুনি বাগান কাটার কোন খবর তারা প্রকাশ করেনি।

অথচ স্থানীয় ভাবে সন্ত্রাষীরা এই কৌশলের কাজগুলো বহুদিন থেকে করে আসছে। তারা বাঙ্গালীদের ক্ষতি করে যাবার সময় উপজাতিদের কিছু বাড়িতে আগুন দিয়ে পার্বত্য বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালাবার ষড়যন্ত্র করে থাকে।

সিএইচটি কমিশন পশ্চিমাদের গঠিত একটি পার্বত্য ভিত্তিক গ্রুপ। যার প্রথম এদেশীয় চেয়ারম্যান লর্ড এরিক, তিনি হলেন পূর্বতীমূর ও দঃ সুদানকে বিচ্ছিন্ন করার মূল থিংক্ট্যাংক। একজন খৃষ্ট ধর্মজাজক। তিনি সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন বাঙ্গালীদের ঐ অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য, যার পত্রিকা কাটিং দেয়া হল।

সরকার তাদের সে সময়ের সেই বিশেষ দাবি না মানার পর থেকে আবারও শান্তিচুক্তির পর ব্যাপক আকারে বাঙ্গালী নিধন শুরু হয়ে গেছে অনেকদিন থেকেই!

যার ধারাবাহিকতা এই কৃষি ফসলের নিদারুন ক্ষতি! সন্ত্রাসীদের সাপোর্টারগণ মনে করেন এর মাধ্যমে নিরস্ত্র ও ভূমীহীন পূনর্বাশিত বাঙ্গালীদের ঐ অঞ্চল থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা যাবে।

সম্প্রতি জুলাই মাসে ৫১ বিজিবি সেক্টর তৈরির সময় উপজাতীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর রাতের আঁধারে হামলা করে উপজাতীয় সন্ত্রাষীরা। তখন তারা উপজাতীয় সন্ত্রাষীদের মহিলা টিমকে এ কাজে ব্যবহার করে। যারা দা-বটি নিয়ে রাতের বেলা নির্মানাধীন সেক্টরে হামলা চালিয়ে বাহিনির একাধিক রাইফেলের বাট কোপ দিয়ে কাটে ও বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করে।

পরে এ ঘটনাতেও একতরফা হলুদ রিপোর্টিং এর দ্বারা বিজিবির ওপর দায় দিয়ে এসেছে এসব চিহ্নিত মিডিয়া গ্রুপ! এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সিএইচটি কমিশনের চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের কিছু সদস্যসহ সেখানে গিয়ে বাঙ্গালী, প্রশাসন ও সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেন।

ফলে চরম ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাঙ্গালীরা পরের দিন তাদের গতিরোধ করে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে বাধ্য হয়ে সেদিনের মত তারা ঢাকায় ফিরে আসেন।

চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল পরে বিবিসি বাংলার সাথে এ ব্যাপারে স্বাক্ষাতকারে বলেন "তাদের কোন সুপারিশ ছিলোনা বাঙ্গালীদের উচ্ছেদের ব্যাপারে"।

অথচ সাথে যুক্ত করেন কৌশলি দিকটি- "যেসব বাঙ্গালী স্বেচ্ছায় চলে আসতে চাইবে তাদের নিয়ে আসা যেতেই পারে"।

অর্থাৎ এই উদ্দেশ্যেই চলমান তাদের সন্ত্রাসী বাহিনির নির্মম অত্যাচার এবং ঘটনার পরপর চলা চরম পক্ষপাতদুষ্ট আগ্রাসী মিডিয়া গোষ্ঠীর হলুদ অপপ্রচার!

অথচ, রহস্যজনক ভাবে এবার নানিয়াচরের ঘটনার পরপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানও সরাসরি বাঙ্গালীদের উচ্ছেদের আহ্বান করে বক্তব্য দেন। যিনি এবছর আদিবাসী বিষয়ক সরকারী পরপত্রের সুস্পষ্ট লংঘন করে এদেশের উপজাতিদের জন্য বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন করেছেন!

যথারীতি নানিয়াচরের ঘটনা ঘটিয়ে এবারও সিএইচটি কমিশন ঢাবির শিক্ষক রুবাইয়াত ফেরদৌসের নেতৃত্বে রাঙ্গামাটির নানিয়াচরে যায় এবং বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে তাদের আগমন বুঝতে পেরে সংক্ষুবদ্ধ ও ভীত বাঙ্গালীরা তাদেরকে ১ ঘন্টা সড়কে আটকে রাখে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা বাঙ্গালীদের দাবি শ্রবণ করে স্থান ত্যাগ করেন।

এরপরে তারা উপজাতিদের টং ঘর গুলো দেখতে যান এবং ফেরার সময় বাঙ্গালীদের জমিতে গিয়ে মন্তব্য করে আসেন- "এখানে বাঙ্গালীদের এত ক্ষতি হয়েছে তা আমরা জানতাম না। আমরা মিডিয়ায় এসব তথ্য পাইনি!!"

অথচ তারা ইতোমধ্যে রাজধানীতে আয়োজিত যাবতীয় সেমিনার ও বক্তব্যে বাঙ্গালীদের ওপরই দায় দিয়ে বক্তব্য রেখে এসেছেন। উপজাতীয় সন্ত্রাষ কবলিত জনপদে নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের কথা বিবেচনা করেও একটি বারও খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত একটি সংস্থা না জেনেই এসব অপপ্রচার করলেন!?

এখনও এদেশের বাম মিডিয়া তাদের প্রদত্ব রিপোর্ট ও বক্তব্যগুলো প্রত্যাহার করে ক্ষমা চায়নি। যদিও পাহাড়িয়া বাঙ্গালিদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে প্রথম আলো ১৬ ডিসেম্বর রাতে তাদের একপেশে সংবাদ প্রত্যাহারে বাধ্য হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাষায় প্রকাশিত তাদের পত্রিকা ডেইলি স্টার তাদের প্রতিবেদন উইথড্র করেনি।

এসব প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে উপজাতিদের জন্য বাম ও উপজাতি গোষ্ঠী বিপুল ফান্ড কালেকশন করে। অন্য দিকে ঘটনার দিনই স্থানীয় ডিসি সেই স্থানে গিয়ে প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেয়ার নামে ৬১ টা উপজাতি পরিবারকে ৬১ লাখ টাকা নগদ দিয়ে আসেন। (অথচ সেই পাড়ায় এত বাড়িঘর নাই) এখনও তাদের নামে বিভিন্ন মাধ্যমে কালেকশন করা হলেও বাঙ্গালী দরিদ্র কৃষকদের হাতে একটা টাকা দেয়া তো দূরের কথা, শান্তনাটুকু না দিয়ে উপরন্তু তাদের নিয়ে ব্যাপক মিথ্যা খবর প্রচার করা হচ্ছে। যদিও পার্বত্য অঞ্চলে কোন বাঙ্গালীর হাতে একটি অস্ত্র আছে বলে কেউ আজ পর্যন্ত দাবি করেনি।

আর এভাবেই পশ্চিমাদের প্লান বাস্তবায়নের জন্য চলছে একেরপর এক বাঙ্গালী প্রত্যাবর্তন-উদ্দেশ্য নিয়ে করা সন্ত্রাষী কান্ড ও সিন্ডিকেট মিডিয়া অপপ্রচার! সাথে রয়েছে দেশী ও আন্তর্জাতিক অর্থে পরিচালিত এনজিও, মিশনারী ও পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো!!! এসব সংস্থা ও এনজিও বাঙ্গালীদের দ্বারা পরিচালিত কল্পিত ও মিথ্যা জরিপ প্রকাশ করলেও উপজাতীদের সন্ত্রাষী গ্রুপগুলোর চাদাবাজি-ধর্ষণ-অপহরন-খুন-গুমের কোন হিসাব প্রকাশ করেনা।

যদিও এরা মানবাধিকার রক্ষা ও তার পর্যবেক্ষণের কথা বলে এ অঞ্চলটিতে কাজ করতে এসেছিলো!



ছবি লিংক

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১১৫৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

297429
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৪
হতভাগা লিখেছেন : পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া হোক । এত অশান্তি আর ভাল লাগে না।
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩২
240874
রাহমান বিপ্লব লিখেছেন : পার্বত্য অঞ্চল বের হয়ে গেলে অশান্তির শুধু শুরুটাই দেখা যাবে!

এর শেষটুকু বুঝিতে বর্তমান ফিলিস্তিনকে দেখতে হবে।

যখন আপনি পার্বত্য চট্টগ্রামকে আদিবাসী হিসেবে বের করে দেবেন, ঠিক তখন থেকে সারা দেশের উত্তর দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমের সকল উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চলকে সেই জুম্মাল্যান্ডের আওতাধীনের প্রশ্নটি উঠবে।

যার হাত ধরে বাংলার ম্যাপ এফোড় ওফোড় হবে।

আপনি ধারনাও করতে অক্ষম কতটুকু দূর্ভোগের রাস্তা এই পার্বত্য চট্টগ্রামের ষড়যন্ত্রের পরাজয়ের ফলাফল!

আপনার জানা প্রয়োজন পার্বত্য অঞ্চল ও এর আশে পাশে বসবাস করা জনগোষ্ঠির মাঝে যে পরিমান ইহুদি রয়েছে তারা বর্তমান ইজরাইলে বসবাসকারী ইহুদির দেড়্গুণ বেশি!

আশা করি ইহুদিদের আরেজটি আশ্রয়ের ব্যাপারে ইহুদিদের টাইমস ম্যাগাজিনের আবদারকে খুব একটা খাটো দৃষ্টিতে দেখবেন না।

মনে রাখবেন পশ্চিমাদের দরকার ইজরাইলের মত আরেকটি বাফার রাষ্ট্র, এ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ক্ষমতা নিজেদের পূর্ণ অধিকারে জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File