পার্বত্য ইতিবৃত্ত “আপনি কী বুঝতেন বাংলাদেশী এই আপনি পরাধীন হতে যাচ্ছিলেন?” -
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৮:০৩:৩৫ রাত
আজ থেকে ২০ বছর পর নিজেকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি করার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিচ্ছি! সকাল থেকে শুধু সেই দিনের কথা মনে হচ্ছে; নবাব সিরাজ যখন সেনাপতিদের নিয়ে যুদ্ধ জয়ের ছক আঁকছিলেন ঠিক তখনই তিনি পরাজিত হয়ে যাচ্ছিলেন! “তা যদি সিরাজ বুঝতেন”!
পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা, বাংলাদেশের অবস্থা মোটেও স্বাভাবিক নয়। দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতা রক্ষার জন্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের মত ভূখন্ডগত অবস্থান প্রয়োজন আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের। পার্বত্য অঞ্চল ও আশপাশে রয়েছে ইহুদিদের ব্যাপক জনগোষ্ঠী। নিজেদের স্বার্থেই পার্বত্য অঞ্চল অগ্নিগর্ভ করে রেখেছে সাম্রাজ্যবাদী ইন্ডিয়া। এখানে স্বার্থগত উপস্থিতি হয়েছে চীনের!
পার্বত্য চট্টগ্রামে “আদিবাসী” থাকা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের স্পষ্ট অবস্থান মানছেননা খোদ বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা, মিডিয়া সাম্রাজ্যের মালিকেরা, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সংবিধান প্রনেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, নারীবাদী নেতৃবৃন্দ, বিজ্ঞানি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সুশীল, অভিজাত, শিক্ষাবিদদের মাঝে যারা সবচেয়ে লাইমলাইটে আছেন তারাই!!
আপামোর জনগন যাদের কথাগুলোকে বেদবাক্যের মত ব্যবহার করে মাত্র!!
=> জাতীসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ধারা মতে “আদিবাসী”রা স্বশাসিত হবার অধিকারী!
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী বা উপজাতিরা আজ থেকে বহু আগেই খৃষ্টান হয়েছেন! এখনও হচ্ছেন!
(কিন্তু/কারন) আজ থেকে কয়েক বছর আগেও “আদিবাসী” ছিলেন না তারা! খোদ শান্তিচুক্তির মত একতরফা ও বিতর্কিত চুক্তি যখন হয়েছে তখনও উপজাতিরা “আদিবাসী” হবার দাবি করেননি। তারা “আদিবাসী” শব্দটাও চিনতেন না!
উপজাতি হিসেবে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, উপজাতি হিসেবে সমগ্র দেশব্যাপী সরকারী শিক্ষাপ্রতীষ্ঠানে নির্ধারিত কোটা, উপজাতী হিসেবে বিসিএস সহ সামরিক-বেসামরিক সকল সরকারী চাকরিতে নির্ধারিত কোটাগুলো গ্রহণ করে আসছেন।
এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েকবছর আগেও যখন “আদিবাসী” টার্ম নিয়ে ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত হয়েছিলো তখন চাকমা রাজা দেবাষীশ ও শান্তিচুক্তির স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমা “আদিবাসী” পরিচয়ের বিরোধীতা করে করে নিজেদের উপজাতি দাবি করতেন!
বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া ও ব্যাক্তিত্বরা রাতারাতি অকল্পনীয় ক্ষীপ্রতায় “আদিবাসী” টার্মকে প্রতীষ্ঠা করেছে লিখা, প্রচার ও বক্তৃতার মাধ্যমে। এমনকি ক্ষমতাসীন আ-লীগ সরকার তাদের ২০০৮ সালের নির্বাচনী মেনিফেষ্টতে স্পষ্ট ভাবে “আদিবাসী” শব্দের ব্যবহারও করেছিলো। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় একশভাগ শিক্ষিত মানুষই উচ্চারণের সময় “উপজাতি” বা “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী” না বলে, বলে ফেলেন “আদিবাসী”!
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে যখন “আদিবাসী” শব্দের অর্থ ও এর প্রয়োগস্থল বুঝতে স্বক্ষম হয়েছে তখন থেকে এই শব্দ ও এদেশে এই শব্দে পরিচিতি যোগ্য মানুষের উপস্থিতির ব্যাপারে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে। আ-লীগ সরকারের গত টার্মের পরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীসংঘে বলেছেন “আদিবাসী” বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব বাংলাদেশে আগেও ছিলোনা এখনও নেই। ওরা “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী”। তাছাড়া ২০১৪ সালের বিশ্ব“আদিবাসী” দিবসের আগের রাতে একটি পরিপত্রের মাধ্যমে সরকার নির্দেশ দেয় যেন কোন ক্ষেত্রে কেউই “আদিবাসী” শব্দের ব্যবহার না করে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ আদিবাসীর ব্যাপারে জাতীসংঘের উদ্দেশ্যমূলক ধারাগুলো বোঝার পর থেকে এক পর্যায়ে সেগুলো ইম্প্রোমভমেন্টে আর রেটিফাই করেনি। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার (আ-লীগ) দেরিতে হলেও উপলব্ধি করেছে “কী হতে যাচ্ছে এ আদিবাসী শব্দের আড়ালে”।
“আদিবাসী” শব্দের ষড়যন্ত্র কী থেমে গেছে?-
যদি থেমে যেত, যদি সংবিধান-স্বার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্র, মুক্তিযুদ্ধ, আদালতকে “গুরুত্ব দেয়া হত” তাহলে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী ষড়যন্ত্রটা থেমে যেত। সবচেয়ে হতাশাজনক দিক হল যারা এ ষড়যন্ত্রকে সামনে নিয়ে যাচ্ছে তারা স্পষ্ট ও প্রকাশ্য ভাবেই ষড়যন্ত্র করছে। খোদ সরকারের একাধিক মন্ত্রী, ঢাবির ভিসি, সম্পাদক, মিডিয়া সাম্রাজ্যের অধিপতিরা, সংবিধান প্রনেতা, নারীনেত্রী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সিটিং চেয়ারম্যান, প্রক্ষ্যাত লেখক ও বিজ্ঞানী, জনপ্রিয় লেখক-বুদ্ধিজীবি, অর্থনীতিবীদ সবাই স্বমন্বিত ভাবে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে!
বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালী জনবসতি তুলে নেয়ার আহ্বান-
বাংলাদেশে “বর্তমান” অন্তর্ভুক্ত, পার্বত্য চট্টগ্রাম গোটা বাংলাদেশের ১০ ভাগের ১ ভাগ ভূমি নিয়ে গঠিত। মানব বসতি অস্বাভাবাবিক কম! ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এ অঞ্চলে অন্যান্য অঞ্চল থেকে বসতি স্থাপনের প্রবনতা ছিলো প্রাচীন কাল থেকেই। এ সুযোগ নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর দরিদ্র, দেশদ্রোহী ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্যাতিতও! কিন্তু প্রথমবারের মত একে উদ্দেশ্যভিত্তিক তরান্বিত করা হয়েছে স্বশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপগুলোর আত্মপ্রকাশের পর, খোদ বাংলাদেশ থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার আশংকায়!
পার্বত্য অঞ্চলের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল- এ বিপুল অঞ্চলে পার্শ্ববর্তী মায়ানমার ও ইন্ডিয়া হয়ে সেসব দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপজাতিরা ইতিহাসের বিভিন্ন সময় ঢুকে বসতি স্থাপন করায় এবং পাহাড়ি এলাকা বলে সমতল অভ্যস্ত বাঙ্গালীদের যাতায়াত কম থাকায় এ অঞ্চল হয়ে উঠেছে, উপজাতি ভরপুর অঞ্চল। এখানে অন্য দেশ থেকে কালক্রমে বিভিন্ন সময়ে আগত উপজাতিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এরা ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও মূলতঃ পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহন করেছে! এমনকি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিজয়ী হবার পরও এসব অঞ্চলে বার্মা ও ইন্ডিয়ার পতাকা উত্তলন করে রাখা হয়েছিলো দীর্ঘদিন পর্যন্ত! চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানে চলে যান এবং আর ফিরে আসেননি। মুক্তিযুদ্ধের পর পর উপজাতিদের কল্পিত নির্যাতন ও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার কাজে বিশ্বের বৌদ্ধ দেশগুলো ও জাতীসংঘের অধিবেশনে তার তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মত! বিনিময়ে পাকিস্তান তাকে আজীবন মন্ত্রীত্বের সম্মানে সে দেশে রেখে দেয়।
মূলতঃ, বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠীর সাথে এদের জাতীগত পার্থক্য এবং চারিত্রিক অবাধ্যতার সুযোগে পশ্চিমারা এ অঞ্চলে বহু আগে থেকেই পরিকল্পিত খৃষ্টানাইজেশন করে এসেছে, তাদের কলোনি করার বাসনায়। এবং পরবর্তীতে “উদ্দেশ্য সিদ্ধির সহজ উপায় আদিবাসী” অস্ত্র প্রয়োগ শুরু করে খুব কম সময়ে সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছে!
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সরকারী খাস জমিতে তাদের পূনর্বাশিত হবার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকারের অবরনে পশ্চিমা গোষ্ঠী ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা এ কারনেই তাদের উচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে বলা বন্ধ করেছিলো কিছুদিন। যদিও পূর্বতিমূর ও দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার পশ্চিমা থিংক ট্যাংক ও ক্ষমতাশালী যাযক লর্ড এরিক অ্যামভুরি বাংলাদেশে এসে সিএইচটি কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে সেই দাবি উচ্চারন করে গিয়েছিলেন!
বর্তমানে সিএইচটি কমিশন নামের পশ্চিমা এ সংগঠনটি প্রকাশ্যে বাঙ্গালী বসতি সরিয়ে নেয়ার কথা যদিও বলছে না। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বিবিসি বাংলার সাথে স্বাক্ষৎতকারে “বাঙ্গালী বসতি সরিয়ে নেয়ার আহ্বান” অস্বীকার করে সাথে যুক্ত করেছিলেন “বাঙ্গালীদের মাঝে যারা আসতে চায় তাদের নিয়ে আসা যেতে পারে”! যদিও বাঙ্গালীরা সেখান থেকে আসতে চাওয়ার কথা নয়। মূলতঃ তিনি এর মাধ্যমে স্থানীয় বাঙ্গালী নিপিড়নের পরিকল্পিত কাজগুলোর ফলাফল আকাঙ্ক্ষা করেছেন। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সিএইচটি কমিশন গরীবদেরকে দেয়া সরকারী নিয়োমিত রেশন ও সুযোগ সুবিধা স্থগিত করার দাবিও নিয়মিত করে আসছে!
সিএইচটি কমিশন সহ পশ্চিমা দোসরদের মূল বাধা যেহেতু বাঙ্গালী বসতি এবং স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদকে শক্ত হস্তে আটকে রাখা সেনাবাহিনী সেহেতু তারা এর বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। মুখে প্রকাশ্যে বাঙ্গালী বসতি সরিয়ে আনার কথা এখন না বললেও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অপহরন-খুন-ধর্ষণ-লুট-অগ্নিসংযোগ-চাঁদাবাজির ভয়াবহতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাঙ্গালীদের ফিরে আসার বাসনা তৈরির আকাঙ্ক্ষা তারা লালন করেন।
বিবিসিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সুলতানা কামালের কথা বলার পর থেকে সম্প্রতি আবার তাতে রাখঢাকও রাখেননি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজান। প্রকাশ্যে তিনি বাঙ্গালীদের উচ্ছেদ করে পার্বত্য অঞ্চল থেকে বের করে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন!
খুশি কবির নারী নেত্রী ও মানবাধিকার নেত্রী হিসেবে পরিচিত, একই মিটিং থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে এনে পার্বত্য চট্টগ্রাম সেনামূক্ত করতে সরকারের প্রতি দাবি করেন। কিছুদিন আগেই সন্তু লারমা ঢাকায় এসে শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও হয়নি দাবি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিবেন বলে হুমকি দিয়ে ফিরে গেছেন।
সন্তু লারমা যেহেতু শুধুই সন্তু লারমা নন, সেহেতু প্রকাশ্যে বহু আলামত ভেসে উঠবে এ নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন পার্বত্য নিয়ে যারা কাজ করেন তারা।
পূর্ব তীমুরের পথে আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পরবর্তী নাম “জুম্মাল্যান্ড”-
বহুদিন থেকেই এ নামটি উপজাতিদের সন্ত্রাসী দলগুলো ব্যবহার করে আসছে। অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বহু সাইটের অস্তিত্ব আছে এ নামে। যেখানে তাদের কথামালা পাওয়া যায়। আছে জুম্মসেনা নামের উচ্চাকাংখার আত্মপরিচিতির অসংখ্য উপজাতি।
সে যাই হোক।
বাংলাদেশ সরকার দেরিতে বুঝলেও যারা পরিকল্পনা করে রেখেছে তারা প্রথম থেকেই ছক এঁকে এগুচ্ছে। যার ধারাবাধিকতার দৃষ্টান্ত জাতীসংঘের আদিবাসী বিষয়ক কমিটির অন্যতম স্থায়ী সদস্যের নাম হিসেবে শোভা পাচ্ছে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাষীশের নাম!
একটি স্বাধীন দেশ, জাতীসংঘের পূর্ণ সদস্যের স্বার্বভৌমত্বকে পাশ কাটিয়ে জাতীসংঘেই পশ্চিমারা এমন কাজ যেহেতু করেছে। সেহেতু এ অঞ্চল খুব যে বেশিদিন বাংলাদেশী স্বার্বভৌমত্বের অধীন থাকবে তা আশা করা যায়না।
আর সে পথ রচনা করে দিচ্ছে এদেশের সকল অঙ্গনের সুপরিচিত প্রভাবশালীরা!
উপজাতিরা যখন গণহারে আদিবাসী হয়ে যায়, যখন জাতিসংঘ তাদের উদ্দেশ্যকে পশ্চিমাদের উদ্দেশ্যের প্রতিনিধি বানায় তখন সারা বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রান্তসীমায় বসবাসকারী মঙ্গলীয় উপজাতিরা কোন একসময় বাঙ্গালীদের অঞ্চলে ঢুকে বড় একটি সৌভাগ্যের কাজ করেছে তা অনুধাবন করে। দেশব্যাপী তাদের মাঝে একটি ঐক্য তৈরি হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম যদি জুম্মাল্যান্ড হয় সে জুম্মাল্যান্ড পরিধি স্থির থাকবেনা। বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গ, পূর্ব ও পশ্চিমে বসবাস করা উপজাতি গোঠীরা (এখনকার আদিবাসী) অঞ্চলগুলো সেই ল্যান্ডের ভেতরে যেতে চাইবে।
ফলে, বাংলাদেশ বর্তমান ফিলিস্তিনের ম্যাপের ভাগ্য বরন করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই!
একটি ঘোষণা ও রাতের ব্যবধানে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর স্বাধীনতার স্বীকৃতিই কী পূর্বতিমূরকে আরেকটি দেশের মর্যাদা দেয়নি? সেদিন ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্বতীমূরের বেরিয়ে যাওয়ায় আমরা কিছু না জেনেই বীনা কারনে খুশি হয়েছিলাম। আমাদের মিডিয়া আমাদের খুশি করেছিলো। পরবর্তী পূর্বতীমূরের স্বাধীনতায় অন্যান্য দেশগুলোও বেজার হবেনা।
আর সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে, শান্তিচুক্তির মাধ্যমে, সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে নিশ্চিত বিজয়কে, নিশ্চিত পরাজয়ে বাধ্য করা পরবর্তী, পার্বত্যবঙ্গ হয়ে গোটা বাংলাদেশ!
বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বীর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ‘জয়’ কেড়ে নেয়া এ পরাজয়ের কোন রঙ নেই!
“এটি সাদা কাগজের পরাজয়! যেখানে বান কি মুনেরা স্বাক্ষর করেন!”
*আজ হয়তো আমি বয়সে তরুণ, আজ থেকে বিশ বছর পর আমি এই বয়সে থাকব না। পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষ থেকে আগত কষ্টদায়ক প্রশ্নের জবাব গুলো না হয় এখনই ঠিক করে রাখি!
২০ ডিসেম্বর ২০১৪
রাহমান বিপ্লব
ডকুমেন্টস- https://www.facebook.com/media/set/?set=a.351579201693365.1073741829.347137525470866&type=3
বিষয়: বিবিধ
১২১২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এনিওয়ে এই পোষ্টের পরও আপনার এহেন মন্তব্যে আমার কিছুই বলার নাই!
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসি রা বাঙ্গালি। উপজাতিদের আগমন পাচশত বছর এর মত আগে।
উপজাতিরা এদেশে এসেছে সর্বনিম্ন ১৫০ বছর হতে সর্বাধিক ৩০০ বছরের মাঝে। এরা ১৩ টি গোষ্ঠী। মূলত বার্মা ও চায়না থেকে এরা বিতাড়িত হয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ে। তাছাড়া ইন্ডিয়ান উপজাতিও রয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন