পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চাকমা মনোপলি গেইম!
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:৪৮:৫৭ সন্ধ্যা
প্রকৃত পক্ষে, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুঃখ এখানে চাকমা নামক এক ভয়াবহ উপজাতীয় গোষ্ঠীর বসবাস। পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্মল আলো-বাতাস আর পাহাড়ের পরতে পরতে চাকমাদের উগ্রতার ছাপ রয়ে গেছে। সাধারন মানুষ সেপথে হেঁটে গেলে যেন হুহু করে কেঁদে সকল গোপন অভিযোগ জানাতে চায় বোবা পাহাড়ের মানবহীন আড়াল গুলো!
কত মানুষ যে হারিয়ে গেছে সে আড়ালে!
কত মায়ের সন্তানের জীবন সায়ান্বের শেষ আকুতিও ধ্বনিত উপস্থিতি হয়ে গোপনে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বাড়ি দিচ্ছে দিন-রাত!
ওরা মায়ের সন্তান! ওরা মানুষ! বাঙ্গালী কিংবা অন্য কোন উপজাতীয় গোষ্ঠী পরিচয়ে তারা আবদ্ধ নয়। তাদের দেহমুক্ত প্রাণ গুলোর তীব্র চিৎকার, সেতো বৃহত্তর বাঙ্গালী কিংবা ক্ষুদ্রতর কুকি হয়ে আর্তনাদ তুলছেনা! যেমন আমরা দৃশ্যমান পৃথিবীতে তুলে থাকি!
তারা শুধু মানুষ হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলো, শুধুই মানব জনমের সাধনায় জীবন কাটাতে চেয়েছিলো। চেয়েছিলো একটু সুখ!
অথচ!
কেউ বাঙ্গালী হিসেবে আবার কেউ চাকমা বহির্ভূত উপজাতীয় জনগোষ্ঠী হিসেবে তার অধিকার পেতে চাওয়ায় চাকমা নামক হিংস্র নরপশুদের আঘাতে থেমে গিয়েছিলো! থেমে যেতে বাধ্য হয়েছিলো তাদের নিষ্ঠুরতায়!
অথচ বাহ্যিক পৃথিবীতে এই চাকমা গেইমারদের কারনে বাঙ্গালি-উপজাতী হিসেবে কত হিসাব কিনাষই না করলাম আমরা!
কত ষড়যন্ত্রের ধর্ষণ কান্ড হল!! আর কত হবে?!
আজ উপজাতীয়রা বাঁচার গ্যারান্টি চায়, তারা তাদের নাগরিক অধিকার পেয়েছিলো। অথচ একটি উদ্ভট খেয়াল দেখিয়ে তাদেরকে রাস্তায় বের করে এনেছে সংখ্যাগুরু উপজাতি চাকমারা। স্বাধীন দেশের লোভ, স্বাধীকারের লোভ, স্বায়ত্বশাসনের লোভ!!
তারা অত্যন্ত কৌশলে আজও সকল সুযোগ সুবিধাকে উপজাতীয় কোটায় আবদ্ধ করে একতরফা সংখ্যাগুরুর ক্ষমতার মাধ্যমে ও বৈদেশিক ষড়যন্ত্রকারীদের সাহায্যে ভোগ দখল করে রেখেছে।
আজ যদি প্রশ্ন ওঠে সকল ক্ষেত্রে চাকমারাই এত ধনি কেন? তারাই সকল নেতৃত্বে উঠে আসে কেন? কেন তারাই প্রায় শতভাগ উপজাতীয় সুবিধা হস্তগত করে?
তাহলে উপজাতীয় অন্যন্য গোষ্ঠীগুলোর শূন্য প্রাপ্যের থালার জবাবে কী বলবে সংখ্যাগুরু উপজাতীয় গোষ্ঠীটি? কী জবাব দেবে তাদেরও অধিকারের বিপরীতে? তারা কী সংখ্যালঘু হিসেবে চাকমাদের কাছেও একই দাবির দাবিদার ছিলোনা?
তারাও কী জাতী হিসেবে নেতৃত্ব, স্বাধীকার আর সকল সুযোগ সুবিধা লাভের অধিকারী ছিলোনা?
আজ যেকোন আন্তঃউপজাতীয় ব্যাপারে যখন তাদেরকে বঞ্চিত করা হয় তখন সংখ্যাগুরু হিসেবে বৃহত্তর উপজাতিদের নৈতিকতার মানদন্ড কোথায় অবস্থান করে? নাকি বাঙ্গালিদের বিপরীতে উপজাতি হিসেবে সকল গোষ্ঠীকে সংখ্যাগুরু উপজাতিদের সংস্কৃতি ও নেতৃত্বে বিলীন করে তাকেই স্বাধীকার বলা হবে?
স্বাধীকার বিষয়টি কী?- ১২ টি জাতীগোষ্ঠীকে জুম্ম জাতি নাম দেয়া চাকমাদের সংজ্ঞায়?
বাঙ্গালিদের কাছ থেকে স্বাধীকার আদায় করে আইন-আদালত নতুন করে সাজানোর নতুন কারখানা কী পারবে অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও অধিকারকে সম্মান দিতে?
অধিকার দিয়েছে কী তারা? দিচ্ছে কী তারা আজও সে অধিকার?
তারা কী উগ্র চাকমা জাতীয়তাবাদের কঠিন আগ্রাষণ থেকে বাঁচতে দেবে অন্য ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীকে, বাঁচবে কী তাদের অধিকার ও সংস্কৃতি?
সংখ্যাগুরুরা আজকে যতটা দাবি করতে পারে ততটা দেয়ার ক্ষমতা না থাকলে স্বাধীকার যে বড় একটি জেলখানার নাম হবে, তাতে সন্দেহ নেই!
ধূর্ত ও আগ্রাষী চাকমারা কী আচরণ করেছিলো আজকের বিপুপ্তপ্রায় ও সবার আগে এ অঞ্চলে আসা একসময়কার কুকি জনগোষ্ঠীদের সাথে?
ইতিহাসে সকল রাষ্ট্রের অমানসিক অবহেলার পর রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর প্রথম বারের মত 'নাগরিক অধিকার' 'ভূমির মালিকানার দালিলিক অধিকার' দেয়া বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে উপজাতীয়দের নিয়ে চিন্তা করে গুমোট পাহাড়ে আজ অন্য রকম ভাবনা জাগে মনে।
বিষয়: বিবিধ
৯৮১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন