আপনি কোনটা? "আইএস" না "হামাস"?
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:৩৩:৩১ দুপুর
একদল লোক কালো কাপড়ে ঢাকা,
উগ্র সাজ-সজ্জা, টয়োটা গাড়ীর বহর,
নানাবিধ অস্ত্র সজ্জিত হয়ে রাস্তা দিয়ে সারি সারি চলার দল!
সিরিয়া থেকে ইরাকে ঢোকার ট্রানজিট স্থানে এসে,
মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ জোনে দখল নিয়েছে।
মুহুর্তেই এলো, দখল করল তারা। ইরাকের মত দেশে, সিরিয়ার মত উত্তেজনা পূর্ণ দেশের গা ঘেঁসে আমেরিকার গা ছাড়া ভাবের মাঝেই তারা ঘোষণা করে বসল- "ইসলামী রাষ্ট্র"!!
তাও আমেরিকা নাকি এদের থ্রেট ভাবতে পারেনি!
তাও আমেরিকা নাকি এদের আন্ডার এসটিমেট করে ছিলো
সেসময়!!
আমেরিকার মুখে এমন কথা কী আদৌ মানানসই?
খোদ দীর্ঘ সংগ্রাম পর মিশরে গণতন্ত্র ফিরে এলেও তারা একে আন্ডার এস্টিমেট করতে পারেন না! সেই জনতার সংগ্রাম শুধু ইসলামিক ব্যাকড বলে!
নিরব থেকেই "সেনা শাসনে পুনঃপদার্পন" মেনে নেন!
তবুও ইসলামের ই-ও সৈহ্য হলনা।
হোক না আমেরিকার চর্চা করা গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্জিত জনতার বিজয়! সেটা যে ইসলাম ব্যাকড!!
অথচ-
একদল লোক অগণিত আধুনিক গাড়ির বহর নিয়ে, আধুনিক অস্ত্রের ভান্ডার নিয়ে অজ্ঞাত স্থান থেকে উড়ে এসেই প্রতীরোধ হীন "ইসলামী রাষ্ট্র" ঘোষনা দিয়ে দিল এমন এলাকায় যেটা কোন রাষ্ট্র বলেই আধুনিক বিশ্ব ব্যবস্থায় স্বীকৃত নয়!!
(গোটা ইহুদি খৃষ্টান শক্তিকে বুড়া আঙ্গুল দেখায়ে রাষ্ট্র তৈরি করে ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষনা!!?)
আর এরপর থেকে ইসলামের নামে "ইসলামী রাষ্ট্রের" অভ্যন্তরে চলতে থাকল একের পর এক নৃশংসতা!!
অদ্ভূত!
ইসলামী রাষ্ট্রকে বুঝি খুবই নৃশংসতার প্রতীক বানাতে হবে?
দয়া আর উন্নত আচরনের ঐতিহাসিক ইসলামী রাষ্ট্রকে বুঝি কালিমা লেপন করতে হবে?
কিছু উগ্র আর হতাশা গ্রস্থ ইসলাম না মানা মুসলিম যুবককে সে কাজে লাগানো বুঝি খুবই সহজ!
যারা ভাবে হাতে একটা তলোয়ার বা একে-৪৭ নিয়ে রাস্তায় নেমে
সব কাফেরকে (!) খুন করে মারা যাওয়া শহিদী মৃত্যু!!
ভাবানো হয়?
স্পষ্ট
রাজনৈতিক ভাবে ইসলামী আন্দোলন যখন এগিয়ে যায়, তখনই এদের আগমন ঘটে!
জানা যায়না টয়োটা, মিলিটারি পোষাক, অস্ত্র গুলো কোথায় পেলো তারা?
যেমন শক্তিশালী রাষ্ট্র ব্যাকড, ষড়যন্ত্র মূলক 'পিলখানার' ইন্ডিয়ান সেনার পরিচয় আর সকল রহস্য জানা যায়না!!
মাদকাসক্ত যুবকটি হয়তো ভাবে রাতের আঁধারে আল্লাহ নাজিল করে দিয়েছেন সব!
তোমরা জানোও না তোমরা আল্লাহর দৃশ্যমান ও কাল্পনিক এবাদত করলেও, তোমাদের ওপরই সরাসরি ভর করে আছে ইহুদি-খৃষ্টান নামক খোদা! যারা বিশ্বকে অস্থির রাখে তারাই তোমার খোদা হয়েছে!
যাদের বিরুদ্ধে বড় বড় পোষ্টার কর তোমরাই...
ইসলাম সম্পর্কে জানো।
ইসলাম কাটাকাটি করে ক্ষমতায় আসেনি, বরং কাটাকাটি প্রতিরোধ করেছে।
মুসলমানেরা একটাও যুদ্ধ করেনি, প্রতিটি যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্যই অস্ত্র হাতে নিয়েছেন।
সাধারন মানুষের ওপর তোমরা যে টর্চার করছ তাতো তাদেরই প্রক্সি টর্চার-
দূর্ভাগা মুসলিম এলাকার যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মুসলিম নিহত হতে না দেখে যাদের খুব অফসোস হচ্ছিলো!
চিরো নিপিড়িত ফিলিস্তিনের গাজাকে শিয়া-সুন্নি বিরোধ উস্কে দিয়ে হেজবুল্লাহকে সরিয়ে নৃশংস হত্যযজ্ঞ চালানোর প্রেক্ষাপট রচনা! সেই ধারা অব্যাহত থাকলে ইরান দমনে সুন্নিদের সরিয়ে দেয়া!
অথচ!
আইএস ? ইসলামী রাষ্ট্র? খেলাফত? খলিফা?
একটা বারের জন্যও ইজরাইলের সাথে যুদ্ধ করে পাশের ফিলিস্তিনকে জনম দুঃখ থেকে রেহায় দেয়ার ভাবনা করেনা!!
মুসলিম বিশ্বে খলিফা হত্য করেন মুসলিম! নিহত মুসলিমদের জন্য ইজরাইল হামলা করেন না!
বিশ্বব্যাপী যুবকদের বার্তা পাঠান- "ওয়ামা লাকুম লা তুকতিলুনা ফি সাবিলিল্লাহি ওয়াল মুস্তাদ'আফিনা মিনার রিজাল..." ? ফিলিস্তিনের কান্নাই তার মন কে নাড়া দেয়না!
আজ নাকি মুসলমানদের প্রথম কিবলা ইহুদিরা দখল করে নেয়! খলিফাতুল মুসলিমিন জীবিত থাকতে!!!
বিশ্বব্যাপী সহীস ইসলামী সংগঠন
একে অন্যকে খুব ভালো করেই চেনে!
এরা যুদ্ধ প্রতীরোধ করে...
যেখানে যেমন যুদ্ধ, সেখানে তেমন প্রতীরোধ...
হামাস কে বাহবা দেন! হামাস বাংলাদেশে আপনাদেরকে কোন দলের দিকে আহবান করে তা জানেন না?
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১২১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন