রাজনৈতিক ধারা ও বাংলাদেশের জনগণ এবং ইসলামপন্থা
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ১০ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৫:২৭ সকাল
(আলোচনা চলতে পারে- সকলকে আমন্ত্রণ)
মূলত বাংলাদেশে বৃহত্তরভাবে আদর্শ ভিত্তিক দুটি ধারার রাজনীতি হচ্ছে।
১- স্থানীয় ভাবে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী রাজনীতি
২- বৈশ্বিক আদর্শবাদী রাজনীতি (এটা দুই প্রকার= ১-ডান ভিত্তিক ও ২-বাম ভিত্তিক)
প্রথমটা চর্চা করে আওয়ামীলীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টির মত দলগুলো
অন্যদিকে, দ্বিতীয়টি চর্চা করে জামায়াত, শাসনতন্ত্র, খেলাফত, সিপিবি, জাসদ, বাসদ ইত্যাদি দলগুলো।
আদর্শ ও জনসমর্থনের কারনেই-
প্রথম ধারার দলুগুলো পরস্পর বিপরীত মূখী অবস্থান গ্রহন করে।
আর দ্বিতীয় ধারার দলগুলো পরস্পরের মাঝে বিপরীত অবস্থান গ্রহন করে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ধারার মাঝে ডান বা বাম হিসেবে সিমিলার ধারার দল গুলো নিজেদের কর্মসূচীর সামঞ্জস্যতার কারনেই পরস্পর সুবিধা গ্রহন ও প্রদান করে থাকে।
মূলত বৈশ্বিক ও স্থানোর্ধ্ব সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শের কারনেই দ্বিতীয় ধারার দলগুলো পরস্পর দুইটি প্লাটফর্ম থেকে নিজেদের মাঝে জোট গড়তে অনাগ্রহী থাকে।
বাংলাদেশে স্থানীয় ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক আদর্শ জনপ্রিয়। অন্যদিকে স্থান-কালোর্ধ আদর্শ গুলোর মাঝে বাম ধারাটি একসময় উদীয়মান ছিলো। মুক্তবুদ্ধির মানূষদের নিকট এরা রেখেছিলো অনন্য আবেদন। এরা ডান ধারার কাছে মূলত মার খায়। ফলে মুক্তবুদ্ধির মানুষেরা ধীরে ধীরে ডান ধারায় যুক্ত হতে থাকার কারনেই বাম ধারাটি তার রাজনৈতির সম্পূর্ণটাই বিলীন করে দেয় ডান ধারাটিকে ধ্বংস সাধন এবং ১ নং ধারার ক্ষমতারোহনকারী দলগুলোর ভেতরে স্থান করে নেয়ার জন্য।
ফল সরূপ বাংলাদেশের মানুষ বাম ধারার প্রকৃত স্বাদ থেকে যেমন বঞ্চিত হল ঠিক তেমনই বাম ধারায় অবস্থান কারী (আমি বলব নিজেকে আবদ্ধ কারী) মুক্তবুদ্ধি চর্চার একসময়কার স্বাধীন মানুষগুলো একধরনের চোরাগোপ্তা আদর্শিক অবস্থান গ্রহন করে। যেখানে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজয়ের সম্ভবনা সেখানেই মূলত চোরাগোপ্তা যুদ্ধ হয়।
বামধারাগুলো এখন একই কাজ করে যাচ্ছে।
সমস্যা হল- এই কাজ মোটেও বাম নির্ভর নয়, নির্ভরতা আবার তাদেরই আদর্শের পরিপন্থি বুর্জুয়া শ্রেণী নির্ভর।
ফলে নৈতিক ভাবেও পরাজিত সৈনিকেরাই বাংলাদেশের বাম ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আমার কাছে বাম ধারা আর কিছুই নয়। এটা একটা বিবেক উদ্ভূত রেভুলেশন।
আল্লাহ মানুষকে অত্যন্ত স্বাধীন ও স্বতন্ত্র ভাবে সৃষ্টি করেছেন তার প্রমাণ বাম ধারা। বাম ধারার উত্থান, এর আদর্শ, এর উত্থানগত পারিপার্শিকতা স্বাক্ষ্য দেয়- 'মানুষ' কত মহান একটি সৃষ্টির নাম!
আমার উপলব্ধি স্বাক্ষ্য দেয়- বাংলাদেশের বাম পন্থীরা তাদের জেদ ও অন্ধ প্রতিশোধ পরায়নতার কাছে পরাজিত। তারা পরাজিত হয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ছেড়েছেন, নিজেদের নিয়োগ করেছেন মৌলবাদিতায়(বহুল প্রচলিত অর্থে), অন্ধ প্রতীশোধ পরায়নতায়।
ঠিক সেই কারনটিই তাদেরকে শত্রু ধ্বংসের চিন্তার প্রেক্ষাপটে শত্রুর মূল থিওরি সাদা মনে জানার ও বোঝার সুযোগটুকু নষ্ট করে দিয়েছে।
তাদেরকে পরিনত করেছে রাজনৈতিক দূর্বৃত্ততে।
#বাংলাদেশের বাম নেতৃত্ব তাই বাম-ধারার নগন্য-সামান্য কর্মীও নন!! বোদ্ধা ছিলেন, এখন আর নেই।
বামধারা মানবতার কল্যাণে প্রচলিত হয়েছিলো। বিনা শর্তে কেবল মানবতার মুক্তি দেয়ার জন্য। সেই সময়ের ধর্মীয়-অর্থনৈতিক শোষনগুলোর প্রেক্ষাপটে সৃষ্টি ঠিক, উদ্দেশ্য মোটেও ধর্মের বিরুদ্ধে নয় বরং ধর্মের নামে শোষণ ও অর্থনীতি ভিত্তিক শোষণের বিরুদ্ধে।
উদীয়মান শক্তি হিসেবে ইসলাম পন্থীদের অবশ্যই আরেকটি মানবতাবাদী স্থাণ-কালোত্তীর্ণ আদর্শ ধারা, বাম-ধারার মৌলিক জ্ঞাণ জানতে হবে।
তানাহলে কিভাবে মার খেলো, কতটা খেলো আর কেন খেলো তা বোঝা থেকে যাবে "বহু দূরে"। কারন এদেশে বর্তমানে বাম ধারার অপব্যাক্ষ্যা করেই মার দেয়া হয়। একটি বৃহৎ শিক্ষিত জনগষ্ঠিকে ঠিক বাম ধারার উতপত্তির সময়ের "ধর্ম দিয়ে শোষণের" মত করে "বাম দিয়ে শোষণ" করা হচ্ছে।
এছাড়াও তাবলিগ জামায়াতের উতপত্তি ও এর উৎপত্তির পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। যারা সাধারণ মানুষকে নিজেদের করে নিতে খুবই ইফেক্টিভ ভূমিকা রেখে চলেছে। যাদের মাধ্যমে সাধারন মানুষ একই সাথে ইসলামমূখীতার বৈজ্ঞানিক ও রাজনীতি বিমূখতার অবৈজ্ঞানিক ধারণা লালন করে যাচ্ছে।
মানুষ বুঝতে চায়, আমাদের উচিত বোঝানোর মত ক্যাপাসিটি অর্জণ করা।
বিষয়: রাজনীতি
১২২৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
(১) সোভিয়েত ইউনিয়ন - ৫৮,৬২৭,০০০ হত্যা
(২) রাশিয়ান সোভিয়েত ফেডারেট সোস্যালিস্ট রিপাবলিক - ৩,২৮৪,০০ হত্যা
(৩) চায়না -৭৩,২৩৭,০০০ হত্যা
(৪) নর্থ কোরিয়া - ৩,১৬৩,০০০ হত্যা
(৫) কোম্বোডিয়া -২,৬২,৭০০ হত্যা
(৬) আফগানিস্তান - ১,৭৫০,০০০ হত্যা
(৭) ভিয়েতনাম - ১,৬৭০,০০০ হত্যা
(৮) ইথিওপিয়া - ১,৩৪৩,৬১০ হত্যা
(৯) যুগোস্লাভিয়া - ১,০৭২০০ হত্যা
(১০) চাইনীজ সোভিয়েত রিপাবলিক - ৭০০০,০০০ হত্যা
(১১) মোজাম্বিক - ৭০০,০০০ হত্যা
(১২) রোমানিয়া - ৪৩৫,০০০ হত্যা
(১৩) বুলগেরিয়া - ২২২,০০০ হত্যা
(১৪) এঙ্গোলা - ১২৫,০০০ হত্যা
(১৫) মঙ্গোলিয়া - ১০০,০০০ হত্যা
(১৬) আলবানিয়া - ১০০,০০০ হত্যা
(১৭) কিউবা - ৭৩,০০০ হত্যা
(১৮) পূর্ব-জার্মানি - ৭০,০০০ হত্যা
(১৯) চেকোস্লোভাকিয়া - ৬৫,০০০ হত্যা
(২০) লাওস প্রজাতন্ত্র - ৫৬০০০ হত্যা
(২১) হাঙ্গেরী - ২৭০০০ হত্যা
(২২) পোলান্ড - ২২,০০০ হত্যা
(২৩) ইয়েমেন - ৬০০০ হত্যা
তালিকা দেখে যা বুঝলাম, মুখে মানবতার ভাব দেখানো
কমিউনিস্টরা শুধুমাত্র মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে
আজ পর্যন্ত ১৪৯,৪৬৯,৬১০ জন মানুষকে হত্যা করেছে !!
১- তাদের দ্বারা ভ্রান্ত মুসলমানটিকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
২- ডিবেট করে তাদের নেতাদের পরাজিত করতে পারবেন।
আপনি এইসব সুফল অন্য কোন ভাবেই এত সহজে পাবেন না। যতটা সহজ হবে তাদের থিওরি জেনে তাদেরকে আঘাত করায়,
মুসলমানদের অতীত সবসময় সত্য ও সুন্দরের কথা বলে।তাদের হাতে নির্যাতিত হওয়া ব্যক্তির পরিমান অতি সামান্য।কিন্তু বর্তমানে ক্ষমতাশালী অমুসলিম রাষ্ট্রগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে মুসলিমদের অত্যাচারী,সন্ত্রাসী,জঙ্গীতে রুপান্তরিত করেছে।
কিন্তু ইচ্ছে করলেই ইতিহাসকে রাতারাতি বদলিয়ে দেয়া যায়না।
চলুন দেখে আসি,কাদের হাতে সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধগুলো সংগঠিত হয়েছিলো এবং কাদের হাতে সর্বাধিক মানুষ মারা গিয়েছিলো।
১.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-(১৯৩৯-৪৫)-ছয় কোটি।
২.মঙ্গোলিয়দের যুদ্ধজয়-(ত্রয়োদশ সেঞ্চুরী)-পাঁচ কোটি
৩.এন সাই বিদ্রোহ-(৭৫৫-৭৬৩)-তিন কোটি ত্রিশ লাখ।
৪.চায়না বিদ্রোহ-(১৮৫১-১৮৬৪)-তিন কোটি
৫.রাজবংশের সম্মিলিত সংঘর্ষ-(১৬১৮-১৬৪৪)-দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ।
৬.দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ-(১৯৩৭-১৯৪৫)-দুই কোটি।
৭.প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-(১৯১৪-১৯১৮)-এক কোটি সত্তুর লাখ
৮.তাইমুরের যুদ্ধজয়-(১৩৬৯-১৪০৫)-দেড় কোটি।
৯.রাশিয়ার গৃহযুদ্ধ-(১৯১৭-২১)-৯০ লক্ষ
১০.ডুঙ্গান বিদ্রোহ-(১৮৬২-৭৭)-চীনে-মৃতের সংখ্যা-৮০ লক্ষ।
এদের হাতে কোটি কোটি লোক মারা গেলেও এরা সন্ত্রাসী,জঙ্গী,অত্যাচারী হয়না।অথচ যাদের মাধ্যমে বিশ্ব নতুন আলো দেখতে পেয়েছিলো,যাদের মাধ্যমে অসভ্যরা সভ্যতার চর্চা করতে শিখেছে,যাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান,চিকিৎসাকে চুরি করে আজ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারছে,সেই জাতিই আজ সন্ত্রাসী,জঙ্গী।
১- তাদের দ্বারা ভ্রান্ত মুসলমানটিকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
২- ডিবেট করে তাদের নেতাদের পরাজিত করতে পারবেন।
আপনি এইসব সুফল অন্য কোন ভাবেই এত সহজে পাবেন না। যতটা সহজ হবে তাদের থিওরি জেনে তাদেরকে আঘাত করায়,
মন্তব্য করতে লগইন করুন