অধিকার হারা পুরুষের আর্তনাদঃ ২
লিখেছেন লিখেছেন মুসা বিন মোস্তফা ২৪ মার্চ, ২০১৫, ০৯:৪১:১১ সকাল
গুলিস্তান টু সদরঘাট আর ঢাকা টু বিশ্বের যেকোন জায়গায় যেতে বললে এই রোডের যাত্রীরা পরবর্তীটিই বেছে নেবে এতে সন্দেহ কম । যথারীতি গাড়িতে উঠেছি সদরঘাটের । বিহঙ্গ পরিবহন । রেকর্ডওয়ালা গাড়ির কোম্পানী । গানপাউডার দিয়ে এই গাড়ির যাত্রীসহ পোড়ানো হয়েছিল । ঢাকার মধ্যে গড় হামলার মধ্য এই গাড়িতেই বেশি হামলা । যাই হোক দরজার পাশের চতুর্থ লাইনে অসে আছি । ভীড় একটু কমই ছিল ।
হঠাত্ দুটো মেয়ে উঠলো । নির্ধারিত সিট তো ইতিমধ্য ফুল হয়ে গেছে । অনির্ধারিত সিট থেকে জোড়পূর্বক আমি এবং আমার সহযাত্রীকে দাড় করায়ে নিজেরা বসে পরল gasp emoticon । আমার ইচ্ছা না থাকলেও সহযাত্রীদের চাপে পড়ে মেয়ে দুটোকে সমান অধিকার থেকে বন্ঞ্চিত করতে হলো । এজন্য খুব কষ্ট লাগছে ।
আজকের তাজা একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করলাম এবার কিছু বাস্তবতা দিয়ে শেষ করি ।
দুই চার ঘন্টা সপ্তাহের ৩ থেকে ৬ দিনই লোকাল বাসা কাটাতে হয় । মুরব্বীর মতো দেখতে কিংবা মহিলা বাসা উঠলে সাধারনত সিট ছেড়ে দিয়ে দাড়ায়ে যাই । করুনা নয় তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি ।
এখন সেইসকল মেয়েদের জন্য কষ্ট করি না যারা এসমাজে বেহায়াপনার প্রচলন ঘটাচ্ছে । অশালীন পোশাক পড়ে চলাফেরা করে । শালীন পোশাকের কাউকে দেখলে ছেড়ে দিলেও অশালীন পোশাক পরিহিতার কষ্ট নিজ পায়ে নিতে আর মন চায় না ।
আজকের মেয়েদুটোও ছিল অশালীন পোষাকের তাই তাদের সমান অধিকার দিতে মন চাচ্ছিল কিন্তু সমাজ তাদেরকে সমান অধিকার দিতে চায় না ।এক্ষেত্রে আমার কি বা করার আছে ?
বিষয়: বিবিধ
১০০৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহাখালী থেকে গাড়িতে উঠি, গন্তব্য বাংলামটর। যখন উঠি তখন বেশি সীট ফাঁকা ছিল, পরে ভরে যায়। গাড়িতে অনেক ভীড়, অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। এমতবস্থায় গাড়িতে উঠল, দুইজন বোরখা পরিহিতা, সাথে আমাদের বয়সের একটি ছেলে, গায়ে পাঞ্জাবী আছে। ভীড় থাকায় লোকজন আসা যাওয়ার সময় বারবার মেয়েদের শরীরে পুরুষের শরীর লেগে যাচ্ছে, শুধু তাই ভীড়ের কারণে একজন যাত্রী বোরখা পড়া মহিলাদের পাশ ঘেষে দাঁড়াচ্ছে, সাথে থাকা ছেলেটা মাঝে মাঝে লোকজনের উপর ক্ষেপে যাচ্ছে, কেন মেয়েদের পাশ ঘেষে দাড়াচ্ছে! বিষয়টি আমার একদম ভাল লাগেনি। প্রথমে রাগ হচ্ছিল ছেলেটার উপর , সে কেন তাঁদের নিয়ে এমন ভীড়ে উঠল। কাছে ডেকে বললাম, জানেন তো এটা পাবলিক বাস, এইভাবে দাঁড়ালে পুরুষের সাথে লাগবেই। তারপর আমার সাথে যে দুইজন (অপরিচিত) বসে ছিল, তাঁদের অনুরোধ করে বললাম, "আমরা ছেলে মানুষ হেটে যেতে পারি, মেয়েগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছে, তাছাড়া বিষয়টি ইজ্জত সম্ভ্রমের ও ব্যপার, চলুন তাঁদের বসতে দিয়ে দাঁড়িয়ে যাই, এক কথায় রাজী হয়ে গেলো"।বাকী পথ দাঁড়িয়ে আসলাম।
আপনি বলেছেন, সেসব মেয়েদের বসতে দেন, যারা শালীন পোষাকে থাকে। আলহামদুলিল্লাহ্ আমার আপনার কর্তব্যবোধ কেমন করে একই সূত্রে গাথা!
পুরুষেরাই মহিলা ও বয়ষ্কদেরকে বসার জন্য নিজের সিট ছেড়ে দেয় । এটা প্রায়ই হয়ে থাকে বলে মহিলারা এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করে। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে দাড়িয়ে যেতে তার যেমন কষ্ট হয় , খারাপ লাগে , একই রকম পুরুষটিরও লাগে ।
কিন্তু নিজে কষ্ট সহ্য করেও এ কাজটি করা পুরুষদের স্বভাবগত । নারীদের কাছ থেকে এমনটি কখনও আশা করা যায় না ।
একজন মহিলা কখনও অন্য আরেকজন মহিলার জন্য তার আসনটি ছড়ে দেয় না , পুরুষ তো প্রশ্নই আসে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন