"নারী তোমার কোমল হস্ত কঠোর পরিশ্রমের জন্য নয়"
লিখেছেন লিখেছেন মুসা বিন মোস্তফা ২২ মার্চ, ২০১৫, ১০:৫৫:২৩ রাত
নারী তোমার কোমল হস্ত কঠোর পরিশ্রমের জন্য নয়
আধুনিক সমাজের নারীদের কমন দাবি 'ছেলেরা পারলে মেয়েরা পারবে না কেনো' ?
আমি অকুন্ঠ চিত্তে নারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানাই । হ্যা তাইতো একটা পুরুষ মানুষ যখন একশ কেজি ওজনের চালের বস্তা গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে সিড়ি বেয়ে ছয় তলায় উঠতে পারে তবে একজন নারী কেনো পাবে না ? অবশ্যই সমান অধিকার চাই ।দিতেই হবে ।
শশশশশশ. . . . ।চমকানোর কোনই কারন নেই । অদৃশ্য শক্তি একসময় নারীকে পোশাকে ,একসময় অধিকার নামক ভন্ডামীতে ,একসময় ক্রীমের প্যাকেটে বন্দি রাখতে চায় । এবং তারা সফলও হয় ।
নারীরা কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে ? কোন ক্ষেত্রে অধিকার দেওয়া হয় নি ?
পুরুষরা কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে ? কোন ক্ষেত্রে অধিকার দেওয়া হয় নি ?
এই দুটি প্রশ্নের উত্তরে 'সমান অধিকার দাবির' ব্যাপারে ছেলেদের প্রতি অবিচারের বিষয়টি পরিপূর্ন ভাবে দেখা যাবে ।
আচ্ছা এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলোকে নিয়ে কোনদিন ভেবেছেন ? (বাংলাদেশ)
* সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে মেয়েদের কোঠা ৫০% আর ছেলেদের কোঠা ৪০% এর চেয়ে কম !
* বাসের সিটে মেয়েদের জন্য নির্ধারিত সিট ।ছেলেদের জন্য অনির্ধারিত । মেয়েদের সিটে ছেলে বসলে তুলে দেওয়া হয় ।কিন্তু বাকী সিটে মেয়ে বসলে তুলে দেওয়া হয় না !
* নিম্নমানের কাজগুলোতে ছেলেরা থাকলে মেয়েরা থাকে না কেন ?
* কুলি ,রাজমিস্ত্রি সহ ভারী কাজগুলোতে শুধু ছেলেরা কেন ?
* একটা ছেলেকে বিয়ে করতে বাধা প্রদান করা হয় কারন সে বউকে কি খাওয়াবে । একটা মেয়ের কেনো এমন শর্ত থাকে না যে জামায়কে খাওয়াতে হবে ?
আরো আছে , ঘাবড়ানোর কারন নেই । আগেই বলেছি মেয়েদের চালিত করতে চায় সেই অদৃশ্য শক্তি ।
সমান অধিকারের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন গুলোর কয়টি নারী নিজে ইনকাম করে সংসার চালায় ?
হাজবেন্ডের পকেট মেরে ,বুয়াকে দিয়ে রান্না করে ,ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চিত্কার করে বলে ওঠে 'সমান অধিকার চাই' !
সমান অধিকার হলে অবশ্যই নারীদের লোকসান হবে । হতে বাধ্য ।
নারীদের সমান অধিকার আন্দোলনের পিছনে অন্তত ৯০ ভাগ বাসায় অধিকার হারা পুরুষের আর্তনাদ চাপা পড়ে থাকে ।
বাসায় একটা মেহমান আসলেও নারীর চিল্লিচিল্লি শুনতে হলেও বান্ধবীদের নিয়ে চাইনিজ খেয়ে বিলটা পুরুষকেই দিতে হয় ।
নিজের পছন্দের খাবারের চাইতে নারীর পছন্দের খাবারটি নিজ খরচে আনতে হয় ।
এমনকি একটা কাপড় কিনতেও নারীর পছন্দমতো কিনতে বাধ্য থাকেন পুরুষরা । নারীরা কিছু কিনতে কিন্তু পুরুষের পকেটের দিকেও তাকায় না ।
যাই হোক শীগ্রই আসছে সিরিজ 'অধিকার হারা পুরুষের আর্তনাদ' কিংবা পুরুষ অধিকার আন্দোলন । (সিরিজটির নামের ব্যাপারে আপনাদের মতামত প্রয়োজন)
বিষয়: বিবিধ
১২৯৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি অনেক ভেবেছি বিষয়টি নিয়ে, আসলেও তাই। বাসে মেয়েদের জন্য আলাদা সামান্য ক'টা সীটের ব্যবস্থা মেয়েদের কে অবলা প্রমাণ করার শামিল। এখন যে পরিমাণ পুরুষ রাস্তায় বের হয়য়, তাঁর চেয়ে অনেক বেশি বের নারি, সুতরাং সীটের সংখ্যা কেন বাড়ে না?
তাহলেতো সীট নির্দিষ্ট করে যে বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে, (আমি জানি না, সীট আলদা করছে মেয়েদের পর্দার মাথায় রেখে কিনা, সে সম্ভাবনা খুব, বরং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা বা তাঁদের সম্মনা দানের উদ্দেশ্যেই করছে বলে মনে হয়য়), তাহলে সব নারীতো সে সুবিধা পাচ্ছে না! যদি সীট ফিফটি ফিফটি করা হত, তাহলে কি ভাল হত না?
মেয়েরাও এখন ইনকাম করে, সো ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয় সত্য কিন্তু কারণ না থাকলেও অর্থাৎ স্বামী তাকে সব দিয়ে সুন্দর করে রাখার পরেও ইনকাম করার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না? কেননা ইসলাম সংসারের ব্যয়ভার স্বামীর উপর ন্যাস্ত করেছেন স্ত্রী উপর নয়! তবে কিছু পেশা আছে, যেখানে নারীদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন যেমন ডাক্তারী, নার্সিং, শিক্ষকতা ইত্যাদি। তা ছাড়া ঢালাওভাবে চাকুরীর জন্য দৌড়ানো কতটা সংগত, ফেতনার বিষয়টি মাথায় রাখলে? হা, মেয়েরা চাকুরী করলে অর্থনৈতিক গতিশীলতা আসে, কিন্তু তাতে যদি পারিবারিক বন্ধন শিথিল হয়ে যায়, শুরু হয়য় স্বামী স্ত্রীর টানপোড়েন, সুখ নামক জিনিসটা হয়ে যায় অধরা,চারিপাশে দৃষ্টিপাত করলে সামাজিক অবক্ষয় আমাদের চোখে সামনে উজ্জ্বল। তখন কি হবে অর্থনৈতিক গতিশীলতা দিয়ে? সুখ শান্তির চাইতে মানুষের জন্যো আর বেশি কি চাই!
হয়ত বলবেন, অনার্স মাস্টার্স শেষ করে একটা মেয়ে বসে থাকবে কেন? বোন, পড়ালেখার উদ্দেশ্যতো চাকুরী নয়, জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে নিজেকে জানা, বিশ্বকে জানা, খোদার সৃষ্টি বৈচিত্র্য কে জানা, তদানুযায়ী খোদার শোকরিয়ায় লুটিয়ে পড়া। আমি আবারো বলছি, যদি এমন হয়য়, কোন নারীর ইনকাম একান্তই প্রয়োজন, তখন তা আলাদা কথা। কিন্তু উচ্চশিক্ষা অর্জন করলেই ইনকাম করতে হবে, তাঁর কোন মানে নেই!
বর্তমানে পারিবারিক যত সমস্যা হচ্ছে তার একমাত্র কারন নারীরা বাহিরে বের হয়ে এসেছে এটা । এটা আমি একশত ভাগ স্বীকার করি ।
একটা মেয়ের শিক্ষীত হওয়া প্রয়োজন কিন্তু চাকরি করাটা আমি পছন্দ করি না ।
আমি চাকরি করতে চাই না কিন্তু আমি এমন একটা বিষয় নিয়ে পড়া শুনা করতেছি যদি কাজ না করি সেটা আবার অমানবিক হবে ।
তবু চিন্তা করতেছি অল্প করব ।
আপনার ধরাবাহিক শুরু করুন। সাথে আছি।
নাম দিতে পারেন "সমঅধিকার নয় ন্যায্য অধিকার চাই।"
জাযাকাল্লাহ খাইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন