বিশ্ববিদ্যালয় নাকি বেশ্যাবিদ্যালয় এটিই ভাবনার বিষয়
লিখেছেন লিখেছেন মুসা বিন মোস্তফা ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৩১:৫৪ সকাল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার নামে কুশিক্ষার চর্চাঃ পর্ব : ৫ম (ছাত্রী হলের লোমহর্ষক ঘটনা)
বিভিন্ন হলের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়েরছাত্র হলের তুলনায় ছাত্রী হলগুলোতে র্যাগিংয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। কিন্তু ছাত্রীরা ভয়ে অভিযোগ করেন না। সাধারণত প্রথমবর্ষে ভর্তি হওয়া ছাত্রীরাই র্যাগিংয়ের শিকার হয়। তাই অধিকাংশ ছাত্রীর ক্যাম্পাস জীবনের প্রথম দিনগুলো থাকে আতঙ্কের। ভর্তি হওয়া নতুন মেয়েদের সাথে করা আচরণ এতটাই বিব্রতকর ছিল যে, তার একটাও ফেসবুকে লেখার উপযোগী নয়। তার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন সময়ে বন্ধুদের কাছ থেকে তাদের নির্যাতীত বান্ধবীদের বলা কিছু নির্যাতনের ঘটনার ধরণ বন্ধুদের ধারনার জন্য পেশ করছি। নামগুলো কল্পিত-
কেইস-১
জাহানারা ইমাম হলের নৃবিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র ছাত্রী গাঁজা সম্রাজ্ঞী নামে পরিচিত সূচি (তার গাঁজা সেবন ও হলে রুমের সামনে টবে গাঁজা চাষের বিষয়টি ক্যাম্পাসের প্রায় সকলেরই জানা) হলের নামাজরুমে অবস্থানরত ( উল্লেখ্য সিট সংকটের কারনে নামাজরুমে থাকতে হতো) একজন নবাগত ছাত্রী লুপাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গাঁজা সম্রাজ্ঞী সূচির সাথে আরো ৩জন সিনিয়র ছাত্রী যোগ দেয়। উত্তরবঙ্গের অজো পাড়া গাঁ থেকে আসা লুপাকে সূচির রুমে নিয়েই কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। সূচি গাঁজা সম্বলিত একটি সিগারেট ধরায়। ঘটনার আকস্মিকতায় লুপা একেবারে থতমত খেয়ে যায়। এরপর লুপাকে বলা হয় আপুরা যা বলবে তাই করতে হবে, তা নাহলে তোমার (লুপার) ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। আর এটাই নাকি জাবির নিয়ম। লুপাকে সিগারেট খেতে বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর লুপাকে একটি ম্যাচের কাঠি দিয়ে সূচির রুমের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপতে দিয়ে তারা গাঁজা সেবন ও ড্রিংকস্ করতে থাকে। এরপর শুরু হয় আসল পর্ব। লুপাকে জোর করে স্বীকার করানো চেষ্টা করা হয় সে এ পর্যন্ত কতজনের সাথে সেক্স করেছে? কি কি খারাপ অভ্যাস রয়েছে? আর এসব প্রশ্ন করা হয় চরম অকথ্য ও নোংরা ভাষায়। তারা এসব প্রশ্নের স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বলে তারা সবাই এসব করেছে, সে কেন করেনি? সূচি ও সঙ্গীরা লুপাকে প্রায় বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক। লুপার দেহের গঠন নিয়ে অত্যন্ত অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করে। লুপাকে তাদের সামনেই চরম বিকৃত কাজের জন্য চাপ দেওয়া হয়। চলে বর্ণনাতীত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরপর সূচি তার সঙ্গীর সাথে বিকৃত কাজ করে লুপাকে শিখানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ততত্ক্ষনে লুপা সেন্সলেস। পরে লুপা বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়লেও এরকম চরম বিকৃত ও ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারনে কেউ কেউ জাবিতে পড়াশুনার ইতি টেনে চলে যায়।
কেইস- ২
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে চত্তরে। অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র পথিক একজন নবাগত ছাত্র সজীবকে তার বন্ধুদের মাঝ থেকে ডেকে নিয়ে আসল মুন্নি, কাজল, দিপা, বাধন ও মুনের কাছে। শুরুতেই মুন গ্রামের কলেজ থেকে পড়াশোনা করে আসা শান্ত ও নিরীহ প্রকৃতির ছেলে সজীব কে একটা গালি দিয়ে প্রশ্ন করল তোর নাম নাম কি? সজীব কাঁপতে কাঁপতে তার নাম বলে। এবার মুন্নির প্রশ্ন কখনো কোন মেয়ের বুকের দুধ খেয়েছিস? ধরেছিস? সজীব উত্তর দেয় না। এরপর ওরা সবাই সজীবকে মিথ্যাবাদী বলতে থাকে এবং সজীবকে স্বীকার করানোর চেষ্টা করতে থাকে। সজীব কোনো অবস্থাতেই রাজী না হলে বাধন বলে, তোর মায়ের দুধ খাসনি? ধরিসনি? তোর চিন্তা এত খারাপ কেন? ইত্যাদি,,। নিরীহ ও সরল ছেলে সজীব ভ্যাবাচ্যাকা খায়। এরপর মুন সজীবের প্যান্টের চেইনের দিকে ইশারা করে বলে ওটা উঁচু কেন? খোল ত? বন্ধুক রেখেছিস কিনা? এরপর যা ঘটে তা বর্ণনাতীত। এসবের মাঝে পথিক, কমল, পলাশ থাকে নিরব দর্শক।
মেয়েদের হলে নবাগত মেয়েদেরকে দিয়ে সাধারনত যা যা করানো হয়-
১. জীবনে কখনো কোনোভাবে সেক্স করেছে কিনা কথার মার-প্যাচে বিব্রত করা
২. পিতা-মাতা ও পরিবারের অন্যদের জড়িয়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার
৩. সবার সামনে পুরোপুরি নগ্ন করে নাচানো
৪. সবার সম্মুখে চরম অশ্লীল চটি তথা খারাপ বই পড়তে বাধ্য করা
৫. সবার সম্মুখে বীর্যপাত করতে বাধ্য করা
৬. জোর করে প্রমান করানোর চেষ্টা করা যে নবাগতা ছাত্রীটি ছাত্রী সংগের রাজনীতি করে।
৭. সবার সম্মুখে ২/৩ জনকে সমকামীতা বা গ্রুপ সেক্সে বাধ্য করা।
৮. দাত মাজার পেস্ট খাইতে বাধ্য করা।
৯. ম্যাচের কাঠি দিয়ে রুমের মেঝে মাপানো।
১০. সবার সম্মুখে পর্ণো দৃশ্য দেখতে বাধ্য করা .....ইত্যাদি।
মেয়েদের নিয়ে রয়েছে আরো অনেক বিচিত্র ও লোমহর্ষক ঘটনা, আপাতত এতটুকুতেই ইতি টানছি।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
৫২৫৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সব ঘটনা আসলেই ঘটে কি-না তা বলতে পারবো না ঠিকই! তবে আপনার শেষের প্রশ্নের উত্তর আপনিও জানেন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে।
সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে অনৈতিকতা কতটা প্রসারিত হয়েছে তা চোখ বন্ধ রাখলেও বুঝা যায়।
কারাগারগুলোতেও অশ্লীল যৌনতা-সমকামিতা স্বাভাবিক সাধারণ একটা বিষয় যেন!যা কয়েদী-হাজতী ছাড়া কেউ কল্পনাও করতে পারবে না!
সেক্স।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তো ! তাই তো বলি মানিক কি এমনিতেই সেন্চুরী করতে পেরেছিল ? পিচ এবং বোলাররাও তাকে সাহায্য করেছিল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন