গল্পের নামঃ অসমাপ্ত ভালবাসা থ্রী
লিখেছেন লিখেছেন টিপু এসডি দেব ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৫:২১ রাত
>রিয়ানঃ আচ্ছা সাদিয়া তুই কি পারবে । জয়কে পঠাতে ।
>সাদিয়াঃ পঠাতে পারলে কি দিবে ।
>রিয়ানঃ তর জন্য একটা ধামাকা পার্ঠি দিব ।আর না পারলে বুঝবো তুই প্রেম করার উপযুক্ত নই ।
>সাদিয়াঃ ওক্কে ডিল ফাইনাল ।
-Next day ।
সাদিয়া জয়ের কাছে গেল । জয়ের দিকে হ্যা করে দাড়িয়ে আছে । কিন্তু জয় ফুটবল খেলে অনেক ক্লান্ত তাই ও বিশ্রামে চলে যায় ।
এইদিন ও সাদিয়া তাকে পঠাতে পারলো না ।
-Next day
ঠিক ওইরকম কাছে গিয়ে বসে থাকলো । কিন্তু ওর একটা ফোন আসায় ও চলে গেল । আজকে ও পারলো না ।
ঠিক এইরকম করতে করতে ১ সপ্তাহ কেটে গেল ।
-today
আজকে জয় ও একটা বিয়ে বাড়িতে আসলো । আর তারপর সে সাদিয়াকে দেখলো পারল । সাদিয়া ব্লো রং এর শাড়ি পরেছে । ও গেল সাদিয়ার কাছে । কিন্তু সাদিয়া দেখে ও না দেখার ভান করে চলে গেল ।
>জয়ঃ এই যে শুনছেন ।
>সাদিয়াঃ হ্যা বলুন ।
>জয়ঃ আপনি কি আমাকে তোমার নাম্বারটা দিবেন ।
>সাদিয়াঃ 017,..........., বায় ।
পরেদিন সাদিয়া আর জয় বেড়াতে গেল ।সারাদিন বেড়াল । এবং প্রপোজ করলো সাদিয়াকে জয় ।
এবং তার জন্য একটা শাড়ি গিফট করলো ।
তারপর ২ দিন পর ।সাদিয়াকে ফোন করলো জয় । কিন্তু সাদিয়া ফোন কেটে দিল ।তারপর একটা মেসিজ পাঠালো জয় । কিন্তু লাভ হলো না , সারাদিন অপেক্ষা করে বাড়িতে আসলো । আসার পর তার বাবা তাকে একটা চিঠি দেয় । চিঠিতে সাদিয়া তাকে এই উওর দেয় । দেখে নিন ,
(জানি চিঠিটা
পড়ার পর আমায় ঠিক
যতটা
ভালবাসো,তারও
অনেক বেশী ঘৃনা
করবে।
কিন্তু আমি আর
তোমাকে ঠকাতে
পারবোনা বলেই আজ
আর আসতে
পারলামনা।
বন্ধুদের সাথে বাজী
ধরে তোমায়
ভালোবেসে ছিলাম,,
অন্য কারো
জ্বিবনের সাথে
জড়িয়ে আছে আমার
জ্বীবন,,, আমি
হিমুকে ভালবাসি,,
বাজীর এই খেলায়
বন্ধুদের হারাতে
যেয়ে তোমার
ভালবাসার কাছে
আমিই হেরে গেলাম।
আর জিতে গিয়েও
আমি নিজের কাছে
পরাজিত,,,,,
যদি কখনো পারো
আমায় ক্ষমা করে
দিও।
কিছুদিন পর,,,,,,,,,,,,,
,,,,,
,,
সাদিয়া জয়কে অনেক মিস করছে । ওর বন্ধু আর প্রেমিকের সাথে ঠিকমতো দিন কাটাতে পারছে না । তাই সবার কাছ থেকে ছুটে গিয়ে জয়ের বন্ধুর কাছে যায় । কিন্তু জয়ের বন্ধু থাকে কিছুই জবাব না দিয়ে চলে যায় । তাই ও ওর বাড়িতে গিয়ে জয়ের দেওয়া শাড়িটা পরে রওনা হয় জয়ের কাছে । কিন্তু র্দূভাগ্য ঘরে ঢুকার আগে জয়ের বাবা সাদিয়াকে একটা চিঠি দেয় ।
কিন্তু জয়কে না দেখতে পেরে সাদিয়ার ভিতরে কষ্টের আঙুন ফুটে উটে । আর তখন জয়ের কবরটা দেখিয়ে দেয় জয়ের বাবা ।সাথে সাথে জয়ের বাবা কাঁদতে থাকেন । চিঠিটা পেয়ে সাদিয়া পড়তে শুরু করলো জয়ের কবরের কাছে গিয়ে । জয় যা লিখে গেছে ।তা একটু পড়ুন ।
,,
,,
,,
,,
(ছাইলে আজও
তোমাকে ছাড়া বেঁচে
থাকতে পারতাম,,
জানি কষ্ট হতো, তবে
অসম্বব ছিল না।
কিন্তু বেঁচে
থাকলেতো বাকিটা
জীবন তোমাকে
ঘূনা করেই বাঁচতে
হবে,,।
তোমায় এত বেশী
ভালোবেসেছি যে,
তোমাকে কখনো
ঘূনা করতে হবে
একথা এক মুহুর্তের
জন্যেও
ভাবিনী,,ভাববইবা
কেনো,,,?
আমার ভালবাসাতো
বাজি ছিলোনা।আজ
আমার ভালবাসাকে
আমি ঘূনার কাছে
এত সহজে হেরে যেতে
দেই কি করে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,
শীৎকার দিয়ে সাদিয়া, জয় আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না। আমি তোমাকে চাই আর কাউকে না। এই কথা বলে অঝরে কাঁদতে থাকলো।কিন্তু কেঁদে কি আর জয় আসবে। দয়া করেরে আগে থেকে সাবধান হউন ।
বিষয়: সাহিত্য
১৫১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন