মঞ্চে শিল্পি কাইয়ুম চৌধুরীর ইন্তেকাল ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে প্রাশ্চাত্য রীতির একমিনিটের নিরবতা পালন.....!

লিখেছেন লিখেছেন মীম রহমান ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:০২:২৮ দুপুর

১. সম্ববত ২০০৪ সালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে উলামা মাশায়েখদের জাতীয় এক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বনামধন্য আলেম মাওলানা একেএম সিফাতুল্লাহ. উনি বক্তব্য প্রদান করা কালে হেলে পরেন.... পরবর্তীতে স্টেজের মেহমানবৃন্দ উনাকে উঠিয়ে হাসপাতালে প্রেরণ করেন. প্রোগ্রামে অনেক বড় বড় আলেম অতিথি হিসেবে ছিলেন, আমি তখন ছোট মানুষ তাই অতিথিদের নাম মনে নেই. তবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী হুজুর ছিলেন এটা মনে আছে. উনাকে হাসপাতালে প্রেরনের পর সবাইকে নিয়ে কোন এক মেহমান সম্ববত আল্লামা সাইদীই উনার জন্য নাতিদীর্ঘ এক দোয়া পরিচালনা করেন এবং উনার দীর্ঘ হায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে তৌফিক কামনা করেন. যেহেতু পাশেই হাসপাতাল ছিল তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসে উনি আর বেচে নেই. তাৎক্ষনাৎ প্রোগ্রাম সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়, আল্লামা সাইদী উনার জন্য আবারো মোনাজাত ধরলে কান্নার রোল পরে যায়. দোয়া শেষে সকল আলেমদের নিয়ে অতিথিবৃন্দ হাসপাতালে উনার লাশের পাশে ছুটে যান.

২. এইতো সেদিন আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গলের আয়োজনে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বরণ্যে শিল্পি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী. বক্তব্যে প্রদানকালেই উনি হেলে পরেন এবং কিছুক্ষণ পরই ইন্তেকাল করেন. যে ঘটনা এখন বাংলাদেশে ব্যপক সমালোচিত এবং আলোচিত. উনার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আয়োজকবৃন্দ উনার সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন এবং ঘোষনা করেন "যেহেতু কাইয়ুম চৌধুরী সঙ্গীতকে ভালবাসতেন এবং উনি জীবিত থাকা অবস্থায় উনার কারনে সঙ্গীত বন্ধ হওয়া পছন্দ করতেন না তাই আমাদের নির্ধারিত উৎসব চলবে". এক মিনিট নিরবতা পালনের পরই উনার সম্মানে সারারাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত চলতে থাকে. সত্যিই খুব মর্মাহত হলাম. এ ব্যপারে আমি কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার নিউজ যখন পড়তেছিলাম তখন নিজেকে আর সংবরণ করে রাখতে পারিনি. ভাবছিলাম প্রাশ্চাত্যের অনুসরন মানুষকে পশুতে পরিনত করে, বিবেকবোধ ধ্বংশ করে দেয়. আর তা না হলে এতবড় একজন শিল্পি যিনি আয়োজনের অন্যতম অতিথি তিনি বক্তব্য প্রদান করা অবস্থায় মারা গেলেন আর যথারীতি নাচ-গান চলল...! আবার তামাশার অংশ হিসেবে প্রাশ্চাত্যরীতির অনুসরনে একমিনিটের নিরবতা....!

উপরের দুটো ঘটনাই আমাদের জন্য দুটো পথের প্রার্থক্য ও পরিনতি শিখার জন্য যথেষ্ট. আর একটি কথা, আমরা যারা মুসলমান তাদের কতটুকু আসলে জরুরী প্রাশ্চাত্যকে অনুসরন করা...! যে সভ্যতা আমাদেরকে মানুষ হতে শিখায়না, বিবেকবোধ জাগ্রত করেনা এবং চিন্তা-চেতনায় একজন পশুতে রুপান্তরিত করে আমরা কেন ছুটছি সেই সভ্যতার পেছনে, তাকে অনুসরন এবং অনুকরন করতে.....!

বিষয়: বিবিধ

১২১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

290918
০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
আরিফিন আল ইমরান লিখেছেন : অসাধারণ একটি লেখা। এ থেকে শেখার মত অনেক কিছু রয়েছে। লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ।
290971
০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
চোরাবালি লিখেছেন : যারা এহযগত নিয়ে কল্পনা করে তাদের অবস্থা তো এবস্থা তো হবেই মরে গেলেই শেষ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File