ফাসিঁর রায় হওয়ার পরও কামারুজ্জামান কিংবা আব্দুল কাদের মোল্লাদের "ভি চিহ্ন" দেখানোর সাহস/ শক্তি আসে কোথা থেকে...?
লিখেছেন লিখেছেন মীম রহমান ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৫৮:৫৯ রাত
আদালতে কিছুক্ষণ আগেই ফাসির রায় হয়েছে. নিশ্চিত কয়েকদিন পরেই মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গন করতে হবে তাও আবার ফাসিঁর রসিতে ঝুলে. একথা স্বাভাবিক মস্তিস্কে চিন্তা করলেইতো মাথা ঘুড়িয়ে যায়, মনের অজান্তেই অজোড়ে কান্না চলে আসে. আবার তা যদি হয় নিজের ক্ষেত্রে তাহলে...? স্বাভাবিক ভাবেতো রায় শোনার পরই আদালতে ঘড়াঘড়ি করে বিলাপ করতে করতে জ্ঞান হারানোর কথা ছিল. কিন্তু না, জ্ঞান হারানো তো দূরের কথা চোখে একফুটা জ্বলও আসেনী. উল্টো আদালত থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকশ পুলিশের বেস্টনীর মধ্যে থেকেই আচমদেখাকা মুশকি হেসে সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশে আঙ্গুল উচা করে "ভি" চিহ্ন দেখান তারা. কিন্তু কেন..? এই শক্তি, সাহস কোথা থেকে পেলেন তারা...? কে শিখালো..? নাকি তারা পাগল...? এ প্রশ্ন সর্বত্র. আওয়ামীলীগ কিংবা বামরাতো রীতিমত অবাক. তাদের জন্য এটা বিরাট ভয়ের কারন.
তারা পড়েছে শহীদ হিসেবে হামজা, মুসআব ইবনে উমায়ের কিংবা সুমাইয়্যার মর্যাদা. তারা জেনেছে আল্রাহর রাসূলের প্রিয় সাহাবী হযরত খুবাইব ইবনে আদী (রা.) কে যখন জনসম্মুখে শুলে চড়ানো হয়েছিল তখন দূড় কন্ঠের উনার সেই বক্তব্য, বিনয়ীভাবে জীবনের সর্বশেষ ইচ্ছা হিসেবে দুই রাকাত নামায পড়ার সেই দৃশ্য. তারা অবলোকন করেছে ইমাম হোসেনের শাহাদাত. তারা পড়েছে ইমাম আবু হানিফা কিংবা ইমাম মালেকের জালিম সরকারের হাতে শাহাদাত. শহীদ হাসানুল বান্না কিংবা সাইয়্যেদ কুতুব শহীদের জীবনীতো তারা নিজেরাই লিখেছে/ সম্পাদনা করেছে. তাই তারা ভাল করেই বুঝেছে মৃত্যু মানে জীবনের শেষ নয় বরং আসল জীবনের শুরু মাত্র. আর পরকালীন সে জীবনের সফলতাই চূড়ান্ত সফলতা.
এর বিপরীত দিকে বাম কিংবা আওয়ামীলীগ এবং নাস্তিকেরাতো কার্ল মার্কস, লেলিন, মুসোলিনী কিংবা হিটলারের জীবনকে তাদের আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছে, যারা কিনা শত্রুর ভয়ে আত্মহত্যা করেছে. যারা মরণকে সবচেয়ে বেশী ভয় পেতো এবং মরনের মাধ্যমেই তাদের চরম-পাওয়ার শান্তির জীবনের সমাপনী টানত.
সুতরাং তারা কিভাবে বুঝবে এ আনন্দের উৎস কী...? তারা কী করে বুঝবে শাহাদাত কত বেশী মর্যাদার....! তারা কী করে বুঝবে যে, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্রা কিংবা কামারুজ্জামানরাই সফল. তবে তারা একদিন অবশ্যই বুঝবে যে, তারা নিজেরা কতটুকু ব্যর্থ এবং বিফল.....! কিন্তু সেদিন তাদের কিছুই করার থাকবে না.
বিষয়: বিবিধ
১২৭৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
In Shortly
In Duniyah, They must be remember by the believer as a great man
In Akhara, They must be get the great reward inshallah
They know that what the FASHICK people say they are free from them but what the believer say that the truth and sacrific their life by cause of Allah() to established the truth.
এই সাহাবীগণ কোন পথে শাহাদাত বরণ করেছিল? যদি আপনারা উল্টাপাল্টা পথে নিহত হওয়ােকে শাহাদাত বলেন, তাহলে ভারতের হিন্দুরা্ও তো কাশ্মিরের ভারতীয় নিহত জোওয়ানদের শহীদ বলে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন