আদর্শ সমাজ গঠনে নাগরিক দায়িত্ব
লিখেছেন লিখেছেন যা বলতে চাই ০২ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:০৪:২৯ রাত
একটি সমাজকে আধুনিক ও উন্নত সমাজে পরিনত করে আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হলে রাষ্ট্রকে যেমনি পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে বহুবিধ দায়িত্ব পালন করতে হয় তেমনি এক্ষেত্রে নাগরিক গণের উপরও অনেকগুলি মৌলিক দায়িত্ব বর্তায়। আর যেহেতু নাগরিক সমষ্টি কর্তৃক রাষ্ট্র গঠিত হয় সেহেতু নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত দায়িত্বই সর্বাধিক। নাগরিকগণ সর্বপ্রথম কাঙ্খিত সমাজের যোগ্য চিন্তা-চেতনা সমৃদ্ধ ও সে সমাজের উন্নয়নে দায়িত্ব গ্রহণে সক্ষম হিসেবে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার- পরিজনকে গড়ে তুলবে। এক কথায় আত্মগঠন করবে। আত্মগঠনের দুটি মৌলিক দিক রয়েছে, একটি হলো- নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা, ধার্মিকতা, আত্মশুদ্ধি বা মানবীয় পবিত্রতার দিক। যেটি বাদ দিলে অন্যান্য হাজার গুণ থাকা সত্তেও মানুষকে মানুষের রুপে, মানবীয় আচরণে বা মনুষত্বের মাপকাঠিতে, মানুষ বলে স্বীকৃতি দেয়া যায় না। আর অন্য দিকটি হলো- বৈষয়িক যোগ্যতা বা কর্ম দক্ষতার দিক। এ ক্ষেত্রে নিজের শারিরীক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা লাভ এবং নেতৃত্ব গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে। চেষ্টা, গবেষণা ও অন্নেষণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সার্বিক উন্নতি-অগ্রগতির জন্য নিজেকে যুগোপযোগী বৈজ্ঞানিক শিক্ষা এবং চিন্তাধারায় সমৃদ্ধ করতে হবে। যেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে ব্যক্তি জীবনে সফলতা এবং সার্বিকভাবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব হয়।
আত্মগঠন ও পরিবার গঠনের পর নাগরিকদের উপর যে দায়িত্বটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং যে ক্ষেত্রে সামান্যতম ভুল বা অবহেলা গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে তাহলো- নেতৃত্ব নির্বাচন। নৈতিক মানে উত্তীর্ণ, আধ্যাত্মিক শক্তিতে বলীয়ান, দেশপ্রেমিক ও মানবতাবাদী নেতৃত্ব নির্বাচন করার মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনের দায়িত্ব তাদের হাতে অর্পণ করা ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে নাগরিকগণ উক্ত দুটি বিষয়ে পূর্ণ সচেতন হলে একটি আদর্শ ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণ করে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন