দুর্যোগপূর্ন আবওহায়া এবং সতর্ক সংকেতের অর্থ।

লিখেছেন লিখেছেন শরাফতুল্লাহ ৩০ জুলাই, ২০১৫, ১২:২৫:৩১ দুপুর

বর্তমানে চলছে ঘুর্নিঝর কোমেন, আর এই কারনে আমরা প্রতিবার খবরেই বা আবহাওয়া বুলেটিনে বিভিন্ন রকম সতর্ক সংকেত শুনতে পাচ্ছি। এই সতর্ক সংকেত কোনটার কি অর্থ তা জানতে এই পোষ্ট।



প্রধানত সতর্ক সংকেত ২ ধরনের, সামুদ্রিক এবং নৌ সতর্ক সংকেত এই দুটো সম্পুর্ন আলাদা অর্থ বহন করে।

সমুদ্র বন্দরের জন্যঃ

১নং দূরবর্তী সংকেতের অর্থ হলো দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়োহাওয়া অঞ্চল রয়েছে। যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১কি.মি.। ঝড়টি সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হতে পারে।

২নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের অর্থ হলো, দূরে গভীর সাগরে ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। সুতরাং সেদিকে যাওয়া যাবে না। তবে বন্দর এলাকায় ঝড়ের আশঙ্কা নেই।

৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়, বন্দর এবং বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হতে পারে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

৪নং হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হলো, বন্দর এলাকা ঘূর্ণিঝড় কবলিত। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।

৫নং বিপদ সংকেতের মানে হলো, বন্দর এলাকা ছোট বা মাঝারি তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে রয়েছে। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৬নং বিপদ সংকেতের মানে হলো, বন্দর এলাকার আশপাশে বিরাজ করছে, যে কোন মুহুর্তে বন্দর অঞ্চলে বা তার আওতায় প্রবেশ করতে পারে।

৭নং বিপদ সংকেতের সঙ্গে ৬নং বিপদ সংকেতের পার্থক্য হলো, এ ক্ষেত্রে ঝড়টি বন্দরের ওপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৮নং মহাবিপদ সংকেত কিন্তু সত্যিকার অর্থেই বিপজ্জনক। এর অর্থ, বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়তে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে।

৯নং মহাবিপদ সংকেত কোনো অনুমানের কথা শোনায় না। এর মানে, বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত।

১০নং মহাবিপদ সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়, একটানা ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৮৯ কি.মি. বেগে প্রবাহিত এই ঝড়টি বন্দরের উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

১১নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মহাবিপদ সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়, আবহাওয়া বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ, যে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা।

নদী বন্দরের ক্ষেত্রেঃ

১নং নৌ সতর্ক সংকেত দেখানো হলে ধরে নিতে হবে, নদী বন্দর এলাকা ক্ষণস্থায়ী ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কি.মি. গতিবেগের কালবৈশাখীর ক্ষেত্রেও এই সংকেত প্রদান করা হয়।

২নং নৌ হুঁশিয়ারি সংকেতের অর্থ হলো, নদী বন্দর এলাকা নিম্নচাপের সমতুল্য তীব্রতার একটি ঝড়ের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় অনুর্ধ্ব ৬১ কি.মি.। ৬৫ ফুট বা তার কম দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট নৌযানকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।

৩নং নৌ-বিপদ সংকেতের অর্থ হলো, বন্দর এলাকা ঝড়ে কবলিত। সকল প্রকার নৌযানকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।

৪নং নৌ মহাবিপদ সংকেতের মানে ঝড়টি সামুদ্রিক ঝড়ে রূপ নিয়েছে। অর্থাৎ বন্দর এলাকা একটি প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা তার বেশিও হতে পারে। সকল প্রকার নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।

আপনার আমার একটি সতর্ক পদক্ষেপই পারে দেশকে ঘুর্নিঝরের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ঘুরে দাড়াতে।

সতর্ক থাকুন সাবধানে থাকুন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে দেশকে রক্ষা করুন।


সুত্রঃ আবহাওয়া ভবন, ঢাকা।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332660
৩০ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৪২
নাবিক লিখেছেন : দারুণ পোস্ট।
০২ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
275320
শরাফতুল্লাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File