পড়ায় মন বসছে না? নিচের নিয়মগুলি অনুসরণ করলে আপনি সফলতা পেতে পারেন।

লিখেছেন লিখেছেন শরাফতুল্লাহ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩২:১৭ সন্ধ্যা

পড়তে বসতে ইচ্ছা করে না। এটা সবারই একটা সাধারণ সমস্যা। কিন্তু ইচ্ছা না করলেও পরীক্ষা তো দিতে হবেই। তা থেকে রেহাই কারও নেই। আপনি যদি এমন কোনো রোগী হয়ে থাকেন যে আপনার পড়তে বসতে একেবারেই ইচ্ছা করছে না। এসময় পড়ায় মন বসাতে যা যা করবেন।

১. লক্ষ্য ঠিক করুন :

আপনার লক্ষ্য নিশ্চয়ই ঠিক করাই আছে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার লক্ষ্যটিকে মনে করে আবার ঝালাই করুন। আপনি চাইছেন এবারের পরীক্ষায় যে করেই হোক একটা আকাঙ্খিত পয়েন্টে নিয়ে যাবেন আপনার রেজাল্ট। এই লক্ষ্যে মটাকে একটু নিবিষ্ট করুন। দেখবেন আপনার মাঝে একটা জিদের উদ্ভব হয়েছে এবং আপনি আবারো পড়ায় মন দিতে পারছেন।

২. ক্ষুধা নিবারণ করুন :

এমন অনেক সময় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে আর পড়তে মন চায় না। এমনিতেই পড়তে বসলে একটু পর পর ক্ষুধা লাগে। এ ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন আপনার ক্ষুধা লেগেছে কিনা। যদি ক্ষুধা লেগে থাকে তাহলে তা নিবারণ করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে আহার করে আবার পড়তে বসুন। দেখবেন এবার আপনার পড়ায় মন বসেছে।

৩. সময় সচেতন হোন :

নির্দিষ্ট মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে যে সময়ে পড়া খুব দ্রুত আয়ত্বে আসে। যেমন কেউ অনেক ভোরে পড়েন, কেউ সারাদিন পড়েন. কেউ আবার অনেক রাতে পড়েন। আপনার কোন সময়টাতে পড়া হয় সে সময়ে পড়তে বসুন। প্রয়োজনে একটা রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। যে সময়ে পড়া হয় না সে সময়ে অযথা পড়তে বসে এ্যানার্জি নষ্ট না করে ঘুমিয়ে ব্রেনটাকে বিশ্রাম দিন।

৪. গান শুনুন :

গান শুনতে সবারই অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে। যদি এমন হয়ে থাকে যে আপনি হয়ত অনেকক্ষণ ধরে পড়ছেন কিন্তু এমন একটা সময় উপস্থিত যখন আর পড়া মাথায় ঢুকছে না। এমতাবস্থায় আপনি কিছুক্ষণের জন্য গান শুনতে পারেন। "তবে অবশ্যই সেই গান হতে হবে মার্জিত রুচি সম্মত" এর ফলে আপনি মানসিকভাবে প্রশান্তি পাবেন এবং দেখবেন পড়ায় পুনরায় মনোযোগ ফিরে এসেছে।

৫. ঘুমিয়ে নিন :

অনেকক্ষণ ধরে পড়লে মস্তিষ্কে অনেক চাপ পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক আর কাজ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেন তাহলে ব্রেনের রিফ্রেশমেন্ট হবে। এর ফলে খুব দ্রুত আবার পড়া ক্যাচ করতে পারবে আপনার ব্রেন। এজন্য অতিরিক্ত চাপ কমাতে অবশ্যই কিছুটা ঘুমিয়ে নিন।

৬. মিষ্টি জাতীয় খাবার খান :

মিষ্টি জাতীয় খাবার দেহে যাওয়া মাত্র সারা শরীরকে সতেজ করে তোলে। এছাড়া ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

৭. মেডিটেশন করুন :

মেডিটেশন মন ও শরীর দুইই প্রাণবন্ত করে তোলে। মেডিটেশনের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজ করা ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়া মেডিটেশনের ফলে ব্রেন এর রিফ্রেশমেন্ট ঘটে। ফলে পড়া খুব দ্রুত মুখস্ত হয়ে যায় এবং তা বহুক্ষণ মনে থাকে।

এছাড়াও বিকেলে হাটাচলা করা, বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা মারা এসব আপনাকে পড়াশুনায় মনোযোগী করে তুলবে।

তবে সবচেয়ে বড়কথা যেটা সেটা হল আপনার পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে এবং এর মাঝেই আনন্দ খুঁজে নিতে হবে, তবেই কেবলমাত্র আপনি সফলকাম হতে পারবেন।

বিষয়: সাহিত্য

১৮৮৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

293083
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৫
236787
শরাফতুল্লাহ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
293087
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
সামসুল আলম দোয়েল লিখেছেন : ভালো লাগলো
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৫
236788
শরাফতুল্লাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ
293103
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৪
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : ভালো লাগলো
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৫
236789
শরাফতুল্লাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৫
236790
শরাফতুল্লাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File