নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর লিজ নিয়েছে সরকার
লিখেছেন লিখেছেন খান জুলহাস ১১ মে, ২০১৫, ০৭:২২:১৯ সন্ধ্যা
প্রত্যেক জেনারেশনই তার নতুন প্রজন্মকে নিয়ে নানান পরিকল্পনা করে থাকেন। আগামী প্রজন্ম কিভাবে বেড়ে উঠবে । কিভাবে তারা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই নিয়ে যে পরিকল্পনা করে থাকে তার প্রধান হচ্ছে শিক্ষা।
নতুন প্রজন্মকে সাজাতে শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন প্রতিটি দেশের সরকারসহ সংশ্রিষ্টরা। নতুন প্রজন্মকে এমন শিক্ষা দেয়া উচিৎ যাতে তারা সর্বদাই ধ্বংস থেকে তারা নিজেসহ সবাইকে রক্ষা করতে পারে।
প্রত্যেক দেশেই সাধারনত যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে দেশের সরকার গুলো। যাতে করে ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন ও আন্তর্জাতিক জীবনে নিজেকে শালীন এবং যোগ্য করে তুলতে পারে।
আর নিজেকে শালীন এবং যোগ্য করে তুলতে নৈতিক শিক্ষা ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। প্রত্যেক শিক্ষাঙ্গনে এই নৈতিক শিক্ষা দেয়া আমাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের সমাজে নৈতিক শিক্ষা নেই বলেই নারীর শ্লালীনতাহানি, সান্তান কর্তৃক পিতা-মাতা হত্যা, এক ছাত্র অন্য ছাত্রকে অস্ত্রের আঘাত হত্যাসহ নানা অনৈতিক ঘটনা ঘটছে।
শিক্ষা থেকে নৈতিক শিক্ষা হারিয়ে যাওয়াই এর এ সবের মূলে । নৈতিক শিক্ষা না থাকায় বাড়ছে নৈতিক অবক্ষয়। মানুষকে ধীরে ধীরে ধর্মহীনতার দিকে নিয়ে যেতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে ধর্মহীন মানুষ গুলো। আর এতে আওয়ামী লীগকেই বেচে নিয়েছে ধর্মহীনরা।
জাতিকে ধর্মহীন করতে নানা বাহানায় সরকারকে ইজারা দিয়েছে নাস্তিকরা। যাতে করে ভবিষ্যতে প্রজন্ম ধর্মভীরু না হতে পারে সে জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করেছে নাস্তিকরা। শিক্ষ ব্যবস্থায় নাস্তিকতা ডুকিয়ে দিতে পরিকল্পনা অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার বেছে নিয়েছে নাস্তিকরা । যাতে করে শুধু স্কুলে নয় মাদরাসা গুলেতেও এই অনৈতিক শিক্ষা দিয়ে মুসলমানদের ইসলাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত। আর এই নাস্তিকদের পাতা ফাদে পা দিয়ে বর্তমান সরকারও হাসিমুখে ইজারা নিয়েছে নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর।
তাই এখন বলা যায় যে বর্তমান সরকার নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর এক অসম্ভব প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে?
বলছি, বাংলাদেশে দু ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
১. স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা
২. মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা।
১. স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা
স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা। যা ইংরেজরা এদেশে চালু করে গেছে। ইংরেজ চালু করে গেলেও এই শিক্ষা ব্যবস্থায় সামন্যতম হলেও ধর্ম সম্পর্কে পড়ানো হতো । এ শিক্ষা ব্যবস্থায় সকল ধর্মই পড়ানো হতো। যেমন ইসলাম শিক্ষায় মুসলমানদের সন্তানদের শেখানোর হতো কিভাবে নামাজ পড়া হয়। কিভাবে রোযা রাখা হয় ইত্যাদি। বিশেষ করে ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলো শিখানো হতো। এখন যে এই বিষয়টি নেই তা বলছিনা। আছে তবে বিষয়বস্তু পরিবর্তণ হয়েছে। যেমন পশু জবাইয়ের সময় দেব-দেবীর নামে জবাহ করা জায়েজসহ নানা আপত্তিকর বিষয়গুলো নৈতিক শিক্ষা নামক বই গুলোকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিখানো হচ্ছে। যে গুলো অন্য কোন সরকারের আমলে ছিলো না। বর্তমান সরকার এই বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এটা বললাম স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার কথা। এবার আসা যাক ......
২. মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা
জ্ঞান অর্জন করা (ইসলাম সম্পর্কে জানা) প্রত্যেক নর-নারীর উপর ফরয। এই মহান শাশ্বত বানীকে কেন্দ্র করেই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। ইসলামি জ্ঞান অর্জন সহ নানা জ্ঞান শিক্ষা দিয়ে থাকে এই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়। ব্রিটিশ আমলে মাদরাসা শিক্ষা দু’ভাগে বিভক্ত হয়........
১। কওমী মাদরাসা।
২। আলিয়া মাদরাসা।
১। কওমী মাদরাসা
মাদরাসা শিক্ষা এক সময় সরকারে অধীনে ছিলনা। ব্রিটিশ আমলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারের অধীনে নিতে চাইলে এক পক্ষ সরকারের পক্ষে গেলে আরেক পক্ষ সরকারে আওতাধীন হয়নি । যা কওমী মাদরাসা নামে পরিচিত। আজ পর্যন্ত এই মাদরাসা গুলো বেসরকারী রয়ে গেছে।
২। আলিয়া মাদরাসা
ব্রিটিশ সরকার এই মাদরাসাকে সরকারী করন করে কলকাতায় প্রথম আলিয়া মাদরাসা তৈরি করে। যা পরবর্তীতে এখনো আলিয়া মাদরাসা নামেই পরিচিত। এই মাদরাসা গুলোতে সরকারি কারিকুলাম সহ ইসলামি ও আধুনিক ও বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই মাদরাসা শিক্ষায় নাস্তিকদের খপ্পরে পরে সরকার এখন ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা শেখানো হচ্ছে। কি শিখানো হচ্ছে তা জেনে নিতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
এই সরকার এখন নাস্তিক্যবাদির ইজারাদার।
(চেতনা ধারীরা চেতনায় গুতা খাইলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে)
বিষয়: বিবিধ
১২৮১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারণ যে মানুষ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে স্বভাবগতভাবে আনুগত্য করবে, তার থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে নাস্তিকরা। মানুষ কেন কেন নাস্তিক হবে? এত সুন্দর পৃথিবীর এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা কেউ না থাকলে এমনি এমনি চলতে পারে? কপাল পোড়া আর কারে বলে? নাস্তিক যদি বলে যা দেখা যায় না, তা কেন বিশ্বাস করবো? তার কথানুযায়ী-তার বাবা যখন মায়ের সাথে দৈহিক মিলনে ছিল, তখন কি সে তা দেখেছে? না দেখে কিভাবে বিশ্বাস করবে ঐ ব্যক্তি তার বাবা, সে তো দেখে নি। সেটা স্বীকার করবে? উপমাটা একটু কঠিন হয়ে গেল। আর বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নাস্তিকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না..
উত্তর দিন???????
দেখুন, আপনার মা কার সাথে কি কাম করে কি অপকান্ড ঘটিয়েছেন কে জানে? সে ক্ষেত্রে আপনার প্রকৃত পিতার বিষয়ে সন্দেহ থাকতেই পারে।
তবে সামাজিক ভাবে বাবা-মা'র দৌহিক মিলনেই সন্তান হয়। এটাই নিয়ম। এই রিতিনীতির ভিতর বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি, প্রতিদিন দেখছি। সমাজে সর্বত্র তাই দেখি। সুতরাং আমাদের মা-বাবা'র বিষয়ে সন্দেহ নেই।
কিন্তু আপনার আল্লা চোরের মত মরুভূমির শিয়ালের গর্তে নেমে এসে নবী মোহাম্মদের সাথে বাতচিত করেছেন!! পাগলেও এ কথা বিশ্বাস করবে না।
উত্তর দিন???????
কাকে উদ্দেশ্য করে এই পেত্নির এহেন কুরুচিপুন্য মন্তব্য করেছে ? জানতে চাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন