বরিশালের ছাত্রলীগের সেই ২৩ নেতাকর্মী বেকসুর খালাস

লিখেছেন লিখেছেন খান জুলহাস ২৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:০০:০৪ বিকাল



২০১০ সালের ১০ই মে। একটি সংবাদ দেখে চমকে উঠেছিল সারা দেশ। এক ছাত্রকে বসিয়ে ঘাড়ে কোপ দেয়া অবস্থায় এক ছাত্রলীগ কর্মীর ছবিও ছাপা হয়। বরিশাল পলিটেকনিক কলেজে ছাত্রলীগের সেই হামলায় অনেক নিরীহ ছাত্র গুরুতর আহত হন। থানায় মামলাও হয়। কোন স্বাক্ষী আসামিদের বিপক্ষে মুখ না খোলায় মঙ্গলবার রাতে সব আসামিকে খালাস দেন বরিশাল মেট্রেপলিটন মেজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিচারক ছাত্রলীগের ২৩ নেতাকর্মীকে খালাস দেন। তার মধ্যে অন্যমত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক। এছাড়া খালাস প্রাপ্তদের মধ্যে প্রকাশিত ছবির জল্লাদ রুপি ছাত্রলীগ কর্মী ইমরানও রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন- সাইদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, শেখর দাস, আলামিন, মেহেদি হাসান, মোশারফ মোল্লা, আবু সায়েম সরদার, মো. ইউনুচ, মাকনুদুর রহমান, সজিব, এসএম রাজিবুল ইসলাম, আ খ ম রাজিব হোসেন, রেজাইল করিম রেজা, কামরুজ্জামান জুয়েল, অনুপ কুমার রায়, মহিউদ্দিন ওরয়ে রাইফেল মহিউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম হিমেল, মহিউদ্দিন মুহিন, আ. হান্নান, মো. ইমরান। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত আসামিদের খালাস দেয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ মে সকালে বরিশাল পলিটেকনিক কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসামিরা রামদা, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মী নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘণ্টাব্যাপি সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক ছাত্র আহত হয়। কলেজ অধ্যক্ষ বাদি হয়ে পরদিন ৫ই মে মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ১৬ই মে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোসলেম হালদার চার্জশিট দেন। ৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সকল আসামিকে খালাস প্রদান করেন।

বিষয়: বিবিধ

১১০১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

317477
২৯ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
শেখের পোলা লিখেছেন : আদালত প্রমান নাপেলে খালাস দেবে, কিন্তু যে আদালতে আগেই প্রমান পৌঁছে গেছে সেখান থেকে খালাস নাও পেতে পারে৷
317487
২৯ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তাদের খালাস না দিলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলিতে এত মাস্তান আসত কোথা খেকে???

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File