কোনটা আগে বন্ধ হওয়া উচিৎ? ইসলামকে আক্রমন করে লেখা নাকি হত্যা
লিখেছেন লিখেছেন খান জুলহাস ০১ মার্চ, ২০১৫, ০৭:৫৮:৫১ সন্ধ্যা
ব্লগ, ফেসবুক টুইটারসহ সবখানে এখন একটাই কথা বা আলোচনা ব্লগার অভিজিত রায় হত্যা। কে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত?
প্রগতিশীল এজন্য ইসলামি জঙ্গী সংগঠনকে দায়ী করছে। মৃত্যু সাথে সাথেই এই জঙ্গি সংগঠনগুলোকে দায়ী করছে প্রগতিশীলরা।
তবে অবশ্য এই হত্যাকান্ডের সাথে আনসারউল্লাহ-৭ নামে একটি জঙ্গী সংগঠন জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেন প্রগতিশীলরা জঙ্গী সংগঠনকে দায়ী করছেন? কারণ কি? জঙ্গী সংগঠনের সাথে অভিজিত রায়ের শক্রতা কোথায়?? কি কারণে তাকে হত্যা করবে তারা? অন্যধর্মালম্বী বলে? তা হলে তো এদেশে লাখ লাখ অন্যধর্মালম্বী মানুষ রয়েছে তাদের রেখে অভিজিতকে কেন?
হ্যাঁ এ প্রশ্নের উত্তর একটাই এই অভিজিত রায় ইসলাম ও বিশ্বনবী (স) কে নিয়ে কটুক্তি করেছে। আর এ জন্যই ইসলামি জঙ্গী সংগঠনগুলোকে দায়ী করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
এই সমস্যার সমাধান কোথায়?? এভাবে কত দিন চলবে? ইসলাম ও বিশ্বনবী (স) কে অপমান ও এর প্রতিবাদে হত্যাকান্ড। ভেবে দেখেছেন কি? কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়?
তবে এই সমস্যার সমাধান সুশীলরা ভেবেও দেখেছেন এবং বলেও দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, ইসলামকে আক্রমন করে লেখা বা এই হত্যা উভয়ই বন্ধ হওয়া উচিত। তাহলেই থামবে এই হত্যাকান্ড। কোন মানুষই হত্যাকান্ডকে (রাজনীতিবিদ ব্যাতিত) সমর্থন করতে পারে না।
আমিও তাদের সাথে একমত হত্যাকান্ড বা ইসলামকে আক্রমন করে লেখা বন্ধ করা উচিত।
কিন্তু কেউই বলছে না কোনটা আগে বন্ধ হওয়া উচিত। ইসলামকে আক্রমন করে লেখা নাকি হত্যাকান্ড ???????
মুক্তমনা নাম দিয়ে অন্য মনে আঘাত করলে এ পরিনতি ভেবে রাখতে হয় বলেই হত্যার সাথে সাথে একটি সম্প্রদায়ের উপর আঙ্গুল উঠানো গেল।
সমাজের সুশীলরা কেউই বলছে কোনটা আগে বন্ধ হওয়া উচিত। তারা উভয়কে বন্ধ হতে বলছেন। কিন্তু একসাথে কি উভয় বন্ধ করা সম্ভব?
যারা আগে শুরু করেছেন তারাই আগে বন্ধ হোন। তাহলে অন্যরও বন্ধ হবে।
আগে ইসলামকে আক্রমন করে লেখা বন্ধ হওয়া উচিত। এবং এ জন্য একটি কঠোর আইন প্রয়োজন।
(বিঃ দ্রঃ কেউ উল্টা পাল্টা বুঝলে আমার কিছু করার নেই)
বিষয়: বিবিধ
১১৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন