মুসলমান হওয়াই কি অপরাধ? সন্ত্রাসী থকেে সর্তক থাকা প্রয়োজন
লিখেছেন লিখেছেন খান জুলহাস ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:১৭:২৪ বিকাল
সাম্প্রতিককালে বিশ্বের বিভিন্নস্থানে মুসলমান উনাদেরকে নির্মমভাবে যুলুম ও শহীদ করা হচ্ছে। তার প্রতিকার হিসেবে মুসলমানদের কি দায়িত্ব-কর্তব্য ?
‘সূরা বাক্বারায়’ ২৫৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “যখন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, তিনি আমার প্রতিপালক- যিনি জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান। সে (নমরূদ বললো, আমিও তো জীবন দেই ও মৃত্যু ঘটাই। হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সূর্যকে পূর্ব দিক হতে উদয় করেন। তুমি পশ্চিম দিক হতে উদয় করাও তো? অতঃপর যে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিলো, সে হতবুদ্ধি হয়ে পড়লো।” সমূহ তাফসীর শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, এই নাফরমান ব্যক্তিই হলো- খোদাদ্রোহী, খোদা দাবিকারী নমরূদ। ১৭শ’ বছর সারা পৃথিবী রাজত্বকারী, খোদা দাবিকারী নমরূদকে শেষ করে দিতে মহান আল্লাহ পাক উনার একটা আদনা কানা-খোঁড়া মশাও ব্যয় হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
সাম্রাজ্যবাদী সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও তাদের দোসরদের ঔদ্ধত্য যেন নমরূদের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ একে হুমকি, কাল ওকে ধমকি, আজ এ মুসলিম দেশ দখল, কাল ওই মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এখন তাদের নিত্যনৈমিক্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরাক দখল, আফগানিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত করার পর পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে বোমা হামলার ঘোষণাও তারা দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! সমস্ত মুসলিম বিশ্বকে করায়ত্ত করার হিংস্র আস্ফালনে তারা উন্মত্ত হয়েছে। কিন্তু মুসলমান উনারা যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে মানেন, সে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে নিমিষে তাদের সব মিথ্যা গর্ব আর হুমকি ধূলায় ধূসরিত করে দিতে পারেন। যেমন- টর্নেডো, দাবানল, বন্যা, ঝড়-বৃষ্টি, তুফান, ভুমিকম্প, খরা তুষারপাত ইত্যাদি গযবের দ্বারা তাদেরকে তছনছ করে দেয়া হয়েছে ও হচ্ছে। তারা যদি এখনও তওবা না করে, মুসলমান উনাদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করে তবে অচিরেই তারা আরো কঠিন গযবে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ!
‘তোমরা পরস্পর সম্মিলিতভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার রজ্জুকে (পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাকে) আঁকড়িয়ে ধরো। পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘প্রত্যেক মুসলমান ভাই ভাই; সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোনো এক স্থানে আঘাত পেলে যেমন তা সারাদেহে সঞ্চালিত হয়, তেমনি পৃথিবীর কোথাও কোনো মুসলমান আক্রান্ত হলে পৃথিবীর অন্য সব মুসলমানের মাঝেও তা ছড়িয়ে পড়বে। এবং সবাই মিলে তা প্রতিহত করবে। কাজেই পৃথিবীর প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটির অধিক অর্থাৎ সব মুসলমান উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- আফগানিস্তানে, ইরাকে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায়, মিশরে, ফিলিস্তিনে, ভারতে, পাকিস্তানে, চীনে, নাইজেরিয়ায়, মায়ানমারে, ভারতে মুসলমান উনাদেরকে যেভাবে শহীদ করা হচ্ছে যেভাবে মুসলমান মা-বোনদের ইজ্জত সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে, সম্পদ লুটে নেয়া হচ্ছে তা প্রতিহতকরণে সর্বাত্মকভাবে এগিয়ে আসা।
বিশ্ব নবী (স) ইরশাদ করেন, “সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোনো এক স্থানে আঘাত পেলে তা সারা দেহেই সঞ্চালিত হয়।”
ইসরাইল আমেরিকা ও তাদের দোসর ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, চীন, কানাডা, ভারত এরা ফিলিস্তিন, লেবানন, ইরাক, লিবিয়া, মিশর, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কাশ্মির, ভারত, চীন, নাইজেরিয়া ও মায়ানমারসহ প্রায় গোটা বিশ্বেই মুসলমানদের উপর কঠিন যুলুম করছে এবং শহীদ করছে। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই পৃথিবীর সকল মুসলমান উনাদের উচিত- এর তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা এবং তা প্রতিহতকরণে এগিয়ে আসা।
উল্লেখ্য, তারা যদি মুসলমান উনাদের প্রতি আগ্রাসী তৎপরতা বা যুলুম বন্ধ না করে তবে তারা প্রত্যেকেই আরো দ্রুত ব্যাপকভাবে খোদায়ী গযবে ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
অর্থাৎ যারা মুসলমান উনাদের উপর যুলুম করছে বা করবে তাদের সবারই একই পরিণতি হচ্ছে এবং হবে। ইনশাআল্লাহ!
বিষয়: বিবিধ
১১৭১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ধারণাটুকু আজ মুসলমানদের মাঝে নেই বলেই
তাদের এই অবস্থা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন