পুলিশের আচরণ: জনগনের ভাবনা

লিখেছেন লিখেছেন খান জুলহাস ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:০৮:০৪ সন্ধ্যা

বরিশালে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিার্থীদের অবরোধ কর্মসূচীতে পুলিশের লাঠিপেটা এবং রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় দুই ভাইকে নগ্ন করে অমানুষিক নির্যাতনসহ সম্প্রতি পুলিশের আচার -আচরণ নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষদের ভাবিয়ে তুলেছে।

সচেতন মানুষের প্রশ্ন আমাদের এই পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমরা সামনে কতদূর এগিয়ে যেতে পারবো। কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্যের অসচেতন আচরণ পুরোজাতীকে কলঙ্ক করবে, মানুষের বিশ্বাস হারাবে। তা হওয়া উচিৎ নয়।

পুলিশের ওপর থেকে জনগণ যদি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তাহলে কি অবস্থা হবে। তা কেউ কি ভেবে দেখেছেন? যদি এগুলো ভেবে না দেখেন তাহলে এখনো সময় আছে ভেবে দেখুন। তা না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

আমার কাছে মনে হয় ওইদিনের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ যে মারমুখী আচরণ করেছিল তা একটি গণতন্ত্র দেশের মানুষ কখনো আশা করে না। আমার এখানেই প্রশ্ন ওই ঘটনায় যে সব পুলিশ সদস্য এধরণের আচারণ করেছেন তারা স্কুলের বারান্দায় ঘোরাফেরা করেছেন। নাকি কাশরুমে শিক্ষকদের সামনে বসে লেখা-পড়া করেছেন। যদি করে থাকেন তাহলে তাদের শিক্ষকরা কি এই শিক্ষাটুকু দেননি, ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলাফল কখনো ভালো হয় না। যদি না দিয়ে থাকেন তাহলে পুলিশে কর্মরত হওয়ার সময় পুলিশের যে শিক্ষা দেয়া হয় তাও কি তারা পাননি। চব্বিশ ঘন্টা পেড়িয়ে যাওয়ার পরও কোন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে কিছু বলতেও দেখলাম না। আমার কাছে কেমন যেন মনে হয়। তাদের বিবেক বুদ্ধি কি লোভ পেয়েছে?

যে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর লাঠিপেটা করেছে তারা কি গুন্ডা, মাস্তান না সন্ত্রাসী। তাদের এরকম ভাবে পেটাতে হবে কেন? তাদেরকে কি অন্যভাবে রাস্তা থেকে সরানো যেত না। ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি আদায়ের জন্য সড়ক অবরোধ করেছেন এটা তাদের অপরাধ হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক ন্যায্য অধিকার। যারা আইন তৈরি করেন আমি সেই মহলকে বলছি এমন আইন করুন এদেশে দাবি আদায়ের জন্য কোন আন্দোলন হবে না জনগন রাস্তায়ও নামবে না।

বরিশালে যে সকল শিক্ষার্থীরা পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা আমার কোন ভাই বোন নয়। তারা এদেশের মানুষ। আর যে পুলিশ সদস্যরা এই ন্যাক্কার জনক নির্যাতন করেছেন তারাও এদেশের মানুষ। যারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়। তারাই কেবল কারো দায়িত্ব নিতে পারেন। জনগনের জান-মালের দায়িত্ব নিতে হলে অবশ্যই তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

ওইসব পুলিশের সামাজিক ও পারিবারিক গলদ রয়েছে বলে মনে হয়। ওই সকল পুলিশের উদ্দেশ্যেই বলছি ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর লাঠিপেটা করে তৎকালীন সৈরাচার সরকারও কিন্তু ক্ষমতায় টিকতে পারেনি।

এমন ভুল করবেন না যাতে এত সুন্দর পেশার মর্যাদা নষ্ট হয়। এ পেশা দিয়ে মানুষের উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করবেন না প্লিজ। মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে আশ্রয় নেয়। আর একটি শিশু বিপদে পড়লে বাবা মার কাছে আশ্রয় নেয়। বাক্যটি স্মরণ রাখবেন।

আবারো বলছি পুলিশের আচার- আচারণ মানুষের পছন্দ হতে হবে। তা না হলে পুলিশের সন্মান বৃদ্ধি পায় না। পুলিশের সন্মান বৃদ্ধি পেলে রাষ্ট্রের সন্মান বৃদ্ধি পায়। রাষ্ট্রের মালিক জনগন। জনগনের টাকায় পুলিশের রুটি রুজি হয়। যেখান থেকে রুটি রুজি করে সংসারের খরচ মেটাবেন সেই জায়গাটি পবিত্র রাখুন। তা না হলে ভবিষ্যতে আপনার সন্তানদের নিয়ে আপনিই চিন্তিত থাকবেন যেমন আপনাদেরকে নিয়ে আমরা..............।

বিষয়: বিবিধ

৯৪৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

291270
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : পুলিশ এখন আর মানুষের মধ্যে গন্য হয়না।
291293
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
ভিশু লিখেছেন : বাংলাদেশের পুলিশ তো সরকারের পকেটের লাঠিয়াল বাহিনীতে রূপ নিয়েছে। তাঁরা ভুলে যান যে, তাঁদের বেতন-পোষাক আসে জনগণের দেয়া করের টাকা থেকে।
291338
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৪
শেখের পোলা লিখেছেন : সব শিক্ষাই তারা পেয়েছে৷ চেতনার শিক্ষাই তাদের এখানে নামিয়েছে৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File