মানববন্ধের আসা ভাড়াটিয়া টাকা না দেয়ায় বামফ্রন্ট নেতা লাঞ্ছিত
লিখেছেন লিখেছেন খান জুলহাস ২৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৮:১৭ সকাল
টাকার বিনিময়ে সবজি ব্যবসায়ীদের দিয়ে মানববন্ধন করান বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন ডা. এম এ সামাদঘ
চুক্তি মোতাবেক টাকা না দেয়ায় ডা. এম এ সামাদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন মানববন্ধনে দাঁড়ানো ভাড়াটিয়া কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হরতাল প্রত্যাহার ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে দুপুর ২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বাম ফ্রন্ট মানববন্ধন করে। এ সময় বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ছাড়া সবাই ছিলেন ভাড়াটিয়া কর্মী।
এদিকে মানববন্ধনে শেষে ভাড়াটিয়া কর্মীরা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা চাইলে তিনি টাকা না দিয়ে নানা টাল-বাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত কর্মীরা লায়ন ডা. এম এ সামাদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ডা. সামাদকে উত্তেজিত কর্মীদের হাত রক্ষা করেন।
পরে ডা. সামাদ নিজেকে রক্ষার জন্য প্রেসক্লাব পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া কর্মী মো. মামুন বলেন, ডা. সামাদ প্রায় সময় এ রকমই মানববন্ধন করেন। তখন তিনি আমাদের ডাকেন। মানববন্ধনে অংশ নিলে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও সামাদ সাহেব টাকা দিতে নানা টালবাহান করেন।
তিনি আরও বলেন, আজও ডা. সামাদের ডাকে আমরা ২২ জন কর্মী প্রত্যেকজনকে ৭০ টাকা দেওয়ার চুক্তিতে মানববন্ধনে যোগ দিই। তিনি ছাড়া সবাই টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু মানববন্ধন শেষে তিনি টাকা না দিয়ে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় উত্তেজিত কর্মীরা তার গায়ে হাত তোলে।
বাংলাদেশ বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন ডা. এম এ সামাদ বলেন, আমি তো সবাইকেই টাকা দিবো। কিন্তু আমার কাছে টাকা ছিল না। তাই বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনতে একটু দেরি হওয়ায় তারা আমার গায়ে হাত দেয়।
এদিকে মানববন্ধনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে-এ মানববন্ধনে উপস্থিত থাকবেন; বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ ভাসানী, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর প্রধান। তবে তাদের কাউকেই মানববন্ধনে দেখা যায়নি।
মানববন্ধন শেষে টাকার জন্য যখন ডা. এম এ সামাদকে মারপিট করা হয় তখন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যারা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারা কেউ রাজনৈতিক নেতাকর্মী নয়। তারা সবাই সবজি ব্যবসায়ী।
প্রেসক্লাবে দায়িত্বে থাকা ডিউটি পুলিশ অফিসার মো. মতিন জানান, ডা. এম এ সামাদসহ দুই জনকে শাহাবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৯২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন