নিজামীর রায় আগামীকাল
লিখেছেন লিখেছেন খান জুলহাস ২৮ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:৪১:২৪ সকাল
একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বুধবার।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেন। ট্রাইব্যুনাল-১এর অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে উভয় ট্রাইব্যুনাল থেকে ১০টি রায় ঘোষণা হবে।
এর আগে গত ২৪ জুন এ মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও নিজামী অসুস্থ থাকায় রায়টি পুনরায় সিএভি রাখা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটি হবে ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রথম রায়।
নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে গত ২৪ মার্চ মামলাটি যেকোনো দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রাখে ট্রাইব্যুনাল।
রায় ঘোষণার দিন ঠিক করার পরে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, আসামি নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন আনীত সব অভিযোগ সাক্ষ্য, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। রায়ে এ আসামির সর্বোচ্চ দণ্ড হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ প্রসিকিউটর।
অন্য দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম দাবি করেছেন নিজামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ১০ মার্চ নিজামীর বিরুদ্ধে এ মামলায় নতুন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।
গত বছর ১৩ নভেম্বর নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে মামলাটি যেকোনো দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রেখেছিল ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের চাকরির বয়সসীমা পূর্ণ হওয়ায় তিনি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসর যান। ফলে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান পদে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
নতুন চেয়ারম্যান নিজামীর মামলায় নতুন করে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেয়। সে অনুযায়ী এ মামলায় পুনরায় যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
নিজামীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ২৮ মে তার বিচার শুরু হয়।
নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে চারজন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়। সাক্ষীদের জেরা করে প্রসিকিউশন। নিজামীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদসহ মোট ২৬ সাক্ষী তাদের জবানবন্দী পেশ করেছেন। আসামিপক্ষ এসব সাক্ষীকে জেরা করেছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এক মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের আদেশে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায গ্রেফতার দেখানো হয়।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"কয়েকটি অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় মৃত্যদন্ডের আদেশ,কয়েকটাতে যাবজ্জীবন এবং দু'একটা অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস।"
সজানো ট্রাইব্যুনাল থেকে এমন রায়ই আসবে জানি।
আল্লাহ মজলুমদের সহায় হোন এই কামনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন