মসজিদ আল হারামের ইমাম আব্দুর রহমান আস সুদাইস সাহেবের গুরুত্ব পূর্ণ নসিয়ত
লিখেছেন লিখেছেন কাউয়া ২৪ মার্চ, ২০১৫, ০৩:১৬:৪৮ দুপুর
তালেবে এলেমদের জন্য আবশ্যক হল-
তারা উলামায়ে কেরামের মতানৈক্যকে নিষ্ঠার সাথে মেনে চলবে। তার পাশা পাশি উলামায়ে কেরামের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে।
বিশেষ করে পূর্ববর্তী ইমামগনকে। কারো জন্য সমীচীন নয় যে, সে ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর
নিন্দা করে, না ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আস শাফি"র, না ইমাম মালেক ইবনে আনাসকে দোষারোপ করে, না ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ) কে, না ইমাম আওযায়িকে, না ইমাম লাইস ইবনে সা'দ কে, না সুফিয়ান বিন উয়াইনাকে, না সুফিয়ান বিন আস সাওরি কে, এবং ইসলামি ইতিহাসে তাদের মত নক্ষত্র তুল্য ইমাম ও উলামায়ে কেরামের নিন্দা করে। তাদের নিন্দাকারীরা সালফে সালেহিনের (পূর্ববর্তী নেককারদের ) আদর্শ হতে বিচ্যুত। সালাফে সালেহিনের আদর্শই হল উলামায়ে কেরামের মর্যাদা রক্ষা করা। যাদের মর্যাদাকে আল্লাহ তা'লা সংরক্ষন করেছেনএবং তার একত্ববাদের সাক্ষ্যের বিষয়ে তাদের নামকে ফেরেশতাদের শাক্ষ্য সহ নিজের নামের সাথে উল্ল্যেখ করেছেন এবং বলেছেন - সুরা আল ইমরানের ১৮ নং আয়াতে-- (আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। )
আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হল আমরা তাদের প্রতি সম্মান ও আদবের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবো।
যদিও তারা নিস্পাপ ছিলেন না। কিন্তু মুজতাহিদ তার ইজতিহাদে ভুল করলেও পাবেন একটি সোয়াব, আর তার ইজতিহাদে সঠিক হলে পাবেন দুইটি সোয়াব। সুতরাং মুজতাহিদ উলামাদের যে বা যারা দোষ ধরবে তারাই সরল পথ থেকে বিচ্যুত যেমনটি ইমাম তাহবি (রহ) বর্ণনা করেছেন। আর এইজন্য পূর্ববর্তী ইমামগন অত্যান্ত বিচক্ষনার সাথে কোন মুসলমানের প্রতি তাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ না থাকার বিষয়টি প্রমান করেছেন। যেমন ইমাম শাফি (রহ) বাগদাদ থেকে বের হতেন এবং বলতেন - আমি বাগদাদ থেকে এমন অবস্থায় বের হয়েছি যে,
তাতে ইমাম আহমেদের মত এমন বিচক্ষন, মর্যাদাশীল, জ্ঞানি এবং মুত্তাকি কাউকে পাইনি।
অপর দিকে ইমাম আহমেদ (রহ) শেষ রাতে ইমাম শাফি (রহ) এর জন্য হাত তুলে দোয়া করতেন। এটাই হল উলামায়ে কেরামের আদর্শ ও চরিত্র, এটাই হল উলামায়ে কেরামের আদব।
বর্তমানে আমরা কিছু এলেমের নামধারীদের মানুষের দেখতে দেখতে পাই, যারা উলামায়ে কেরামকে দোষারোপ করে, তাদেরকে অবজ্ঞা করে এবং তাদেরকে অপবাদ দেয়, আর তাদের ব্যাপারে বিদ্বেষ পূর্ণ খবর প্রচার করে- তাই জ্ঞান অনুসন্ধানকারীরা এই বিষয়ে সতর্ক থাকেন যে,
তাদের হাশরে আল্লাহর সাথে এমতবস্থায় সাক্ষাত না হয় যে, তাদের মুখ উলামায়ে কেরামের মুখে কোন মানহানিকর কথা বলেছে। কেননা উলামায়ে কিরামের গোশত বিষাক্ত!
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাশা-আল্লাহ, সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করেছেন। আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। জাযাকাল্লাহ খাইর।
শেষের এই কথাটি বুঝে আসে নাই, আশা করি ব্যাখ্যা করবেন।
কারও গিবত করা হল মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মত। আর উলামায়ে একরামের সমালোচনা ও তাঁদের গালাগালি করা তাঁদের গোশত খাওয়ার মত। তাঁদের গোশত বিষাক্ত মানে হচ্ছে তাঁদের তাঁদের সমালোচনা ইমানের জন্য ধ্বংসাত্মক।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন