আমেরিকা যার বন্ধু তার আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না
লিখেছেন লিখেছেন কাউয়া ১৭ মার্চ, ২০১৫, ১২:১৫:৫৩ রাত
আমেরিকা নামক এই দানবটি টিকে আছে তার কুটিলতা, হিংস্রত ও স্ব বিরোধী চরিত্র নিয়ে কিন্তু দূর্ভাগ্য হচ্ছে এই সত্যটা জেনেও কেউ তাকে প্রতিহত করে না বরং সবাই ধরনা দেয় তার কাছে। আমাদের দেশের কথা ধরুন না!
বিএনপি নামক একটি দলকে কিভাবে সে নাকে রশি লাগিয়ে ঘুরাচ্ছে। একদিকে বিএনপিকে বলছে তোমরা হরতাল অবরোধ অব্যহত রাখো অন্য দিকে সরকারকে বলছে আমরা বাংলাদেশের সাথে সু সম্পর্ক চাই। অনেকেই হত খেয়াল করেছেন ১৩সালে বিএনপি যখন আন্দোলন তুঙ্গে তুলে নিলো তখন সরকারের থেকে আমেরিকা টিকফা আদায় করে নিলো। এখনো দানবটি একই খেলা খেলছে
একদিকে সরকারের পাচায় তা দিচ্ছে অন্য দিকে বিএনপিকে আন্দোলনে বসিয়ে রেখেছে। তেমনি আশির দশকে সাদ্দামকে বলল তুমি কুয়েত আক্রমন কর আর সৌদিকে বলল আমরা তোমার নিরাপত্তা দিবো তোমাকে সৈন্য দিবো। মুরসিকে বলল আমরা মিশরের গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে আর সিসিকে বলল দশ লক্ষ লোক তাহরীর স্কয়ারে জমা কর। ইয়ামানে সরকারকে বলল তুমি তোমার দাবীতে অটল থাকো আর হুতিদের বলল তোমরা প্রেসিডেন্ট প্রসাদ ঘেরাও কর। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বলল তোমরা সামনে বাড়ো আর আসাদকে বলল তুমি তাদের বেরেল বোমা মেরে উড়িয়ে দাও। একদিকে আরব বিশ্বকে বলল তোমরা ইরানের বিরুদ্ধে পারমানবিক বোমা তৈরীর অভিযোগ তুলে হাউকাউ কর আর ইরানকে বলল তোমাকে মক্কা মদীনা দখল করতেই হবে তাই তোমার কাজ তুমি চালিয়ে যাও। ইরাকের নুরি আল মালিকিকে বলল যত পারো সুন্নী মারো আর সুন্নী মডারেটদেরকে বলল তোমরা আলোচনায় আসো প্রয়োজনে তাকে পরিবর্তন করা হবে।তিউনিসিয়ার নাহদাকে বলল আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে তোমরা এ পথে আস সহযোগিতা করবো আর অপর দিকে ধর্মনিরাপক্ষবাদীদের বলল তোমরা নির্বাচন বয়কট কর। ভারতে এসে বলল আমরা ইন্ডিয়ার অকৃতিম বন্ধু আর ওয়াসিংটন গিয়ে বলল পাকিস্তানের সেনা বাহিনী জঙ্গী দমনে স্বার্থকতা দেখাচ্ছে। ৪৮ ঘন্টায় আসাদকে শেষ করে দিবো ওবামা এখনো তার সেই ঘন্টা শেষ হয় নাই।
এরা মুলত দাজ্জালের পূর্বসুরী হয়ে কাজ করছে এবং তার আগমনের পথকে প্রশস্ত করছে অথচ আমরা নির্বিকার !
আমাদের দেশেরও সুশীল কুশীল সবাই বোঝে এদের ভাওতাবাজির ইতিহাস কিন্তু স্বার্থের কাছে সবাই চুপ। আমেরিকা সারা বিশ্বটাকে এখন এমন করেছে যে সে যা বলবে তাই সঠিক আর সব সন্ত্রাস ও হটকারীতা।
আর আমাদের মুসলিম লোকগুলো ও তাদের ওলামারা হয়েছে অনেকটা সেইমুখী।
দেখুন যখন তারা তালেবানের পক্ষে ছিলো আমাদের হুজুরদের তালেবানী প্রেম উথলে উঠেছিলো, রাস্তায় রাস্তায় ছিলো শ্লোগান আমরা হব তালেবান বাংলা হবে আফগান।
কিন্তু যখন তারা উল্টেগেলে তখন আর কেউ নেই। মসজিদে হারামে সুরিয়ার জন্যে সুদাইসির সেই কি দোয়া আর দোয়া সেখানে যুদ্ধে যাওয়া ফরজ আর এখন আমেরিকা যেহুতু বিরোধী তাই সেখানে যাওয়া হারাম সুদাইসির মুখে সেই দোয়াও আর নেই । সুতরা বলা চলে দাজ্জালের অনুসারীর যেমন অভাব হবে না এই দানব আমেরিকারও অনুসারীর অভাব নেই। উম্মাহর বুজদিল সব কীটরা একসাথ হয়েছে আমেরিকার সাথে।
কিন্তু এর পরও একটি জামায়াত হক্বের উপর অটল থাকবে দুনিয়ার সব যন্ত্রণা নির্যাতন মোকাবেলা করে সামনে বাড়বে। তারা আল্লাহকে ভালো বাসবে আল্লাহতায়ালাও তাদের ভালো বাসবেন।
তারা কাফেরদের প্রতি হবে অত্যান্ত কঠোর আর মোমিনদের প্রতি হবে কোমল।
সর্বদা তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে থাকবে আর সারা দুনিয়ার শত্রু মিত্র কারও সমালোচনাকে তারা গায়ে মাখবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পুরাই '' চোরকে বলে চুরি করতে আর গৃহস্থকে বলে সজাগ থাকতে '' স্টাইল ।
এতদ অন্চলে আমেরিকার স্ট্র্যাটেজি হল চীনকে দমিয়ে রাখা । এজন্য সে তার কৌশলগত বন্ধু হিসেবে ভারতকে নিয়েছে । তাই ভারতের সুবিধাই আমেরিকার কাছে বেশী অগ্রগন্য ।
ভারত বাংলাদেশের কার কাছ থেকে বেশী সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে তাকেই চাইবে । মোদী যখন দেখছে যে আপাত কংগ্রেসপন্থী লীগ যদি তার জন্য এখন ''যা চাই তাই দিতে রাজি '' স্টাইলে চলে তাহলে সে কেন লীগকে নামাতে চাইবে ? ফলে আমেরিকাও চাইবে না লীগ নামুক ।
বি এন পি জামাত কি আমেরিকার উপর নির্ভর করছে না আওওয়ামীলীগের হাত থেকে ক্ষমতাটা তাদের হাতে তুলে দিতে, কিন্তু কেন?
উবায়দুল্লাহ ইবন মূসা (র)....মুগিরা ইবন শুবা(রাঃ)থেকে বর্ণিত। নবী(সাঃ)বলেছেন,আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন(সেই দল যারা প্রতিপক্ষের উপর)প্রভাবশালী।(বুখারী:৬৮১৩)
ইসমাইল (রঃ)...মুআবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান (রাঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি নবী(সাঃ)কে বলতে শুনেছি যে,আল্লাহ তায়ালা যার কল্যাণ চান,তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।আমি তো(ইলমের)বন্টনকারী মাত্র;আল্লাহ তা প্রদান করে থাকেন। এ উম্মতের কর্মকান্ড কিয়ামত পর্যন্ত কিংবা বলেছিলেন,মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম আসা পর্যন্ত (সত্যের উপর)সুদৃঢ় থাকবে।(বুখারী:৬৮১৪)
হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝেনবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)
মন্তব্য করতে লগইন করুন