আমেরিকার আল কায়দা ও আইএস সৃষ্টি সংক্রান্ত ষরযন্ত্র তত্ব এবং আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা।(প্রথম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন কাউয়া ২৭ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:৪৮:২২ রাত
আজকাল প্রায়ই বলা হয়, আল কায়দা ও আইএস আমেরিকার তৈরী এবং তাদের কারনে বিশ্ব জুড়ে মুসলমানরা নির্যাতিত,ঘৃণিত,অপমানিত হচ্ছে। বামপন্থীদের ভাষায় সাম্রাজ্যবাদী দখলদারীত্ব ও নিপীড়নের পথ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ওসামা বিন লাদেন, আল কায়দা,আবু বকর বাগদাদী, আইএসের জন্মের অনেক আগেই ষড়যন্ত্র, নির্মম নির্যাতন ও গনহত্যার মাধ্যমে উসমানী খিলাফতকে ধ্বংস করা হয়েছে । আল-আকসা দখলদারিত্বের স্বীকার হয়েছে। জন্ম হয়েছে কাশ্মির, মধ্য এশিয়া, ককেশাস পর্বতমালা, ফিলিস্তিন, লেবানন প্রভৃতি ইস্যুর। যখন ১৯৬৯ সালে আল কুদসে আগুন দেওয়া হয় সেদিন কেউ চিনত না ওসামা বিন লাদেনকে। যেদিন লেবাননে ঘুমন্ত নারী শিশুকে হত্যা করা হয় সেদিনও আল কায়দার জন্ম হয়নি। বসনিয়ার গণহত্যায়ও বিন লাদেনের কোন দায় ছিলনা। তবে আজ কেন বলা হচ্ছে আমেরিকা বিন লাদেনকে অথবা আল কায়েদাকে কিম্বা আইএসকে তৈরি করেছে মুসলিম দেশগুলোতে আগ্রাসনের অজুহাত তৈরির জন্য। আসলে কি আমেরিকার অজুহাতের দরকার পরে। ইরাক বা সাদ্দাম হোসেনেরতো আল কায়েদার সাথে দুরতম কোন সম্পর্ক ছিলনা। ছিলনা কোন র্যাোডিকেল আল কায়দা এজেন্ডা। তবু কেন শত ভাগ মিথ্যা অজুহাতে ইরাক আক্রমন করা হল? কেন জন্ম হল আবু গারিবের? কেন বাগদাদ থেকে কারবালা আবার একবার কারবালায় পরিনত হল?
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইংরেজদের (আমেরিকানদের) হাত ধরে তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে সচেতন মুসলিমদের একাংশ প্রক্সি যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল আফগানিস্থানে এবং তারা নতুন করে মুসলিমদের ফাইটিং স্পিরিট এর সাথে পরিচিত হল। আর সে পথ পরিক্রমায় ঐ ফাইটিং স্পিরিটকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাতে - নিত্য নতুন মিথ্যা, প্রতারনা, দুই নাম্বারী করে আসছে এবং সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন এজেন্ডায় ঐ ফাইটিং কে বাঁচিয়ে রাখছে।
যার জন্য মুসলিমদের মধ্য হতে যদি ট্রু কোন ফাইটিং দলের জন্ম হয় - সেখানে তারা ও তাদের এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন নামে ও বেনামে যোগ দেয় এবং ঐ ফাইটিং দলকে অনৈসলামিক কাজে নিয়োজিত করে কিংবা ব্যাড নেইম দেওয়ার জন্য প্লট তৈরী করে।
স্বভাবতঃই পৃথিবীতে কোন স্ট্রাগলিং মুসলিম এনটিটি নেই - কিংবা থাকতে পারে না।
আর যদি থেকে থাকে (যদি আপনি জানেন) সে সব ব্যান্ড কিংবা ইমপেক্টলেস।
আর যদি আপনার প্রশ্ন হয় কেন আজকের ইরাক, লিবিয়া, প্যালেস্টাইন, গাঁজা, সিরিয়া ইত্যাদি হচ্ছে - তবে আপনাকে কোরান ও হাদীস এর নলেজ ও তার ইন্টারপ্রেটেশান দিয়ে তা বুঝতে হবে - স্যেকুলার ইডুকেশান দিয়ে তা কোন ভাবেই বোঝা সম্ভব নয়।
কোরান ও হাদীসের আলোকে বুঝতে চাইলে
Click this link
এই সাইট ভিজিট করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় বই ডাউনলোড করে পড়তে পারেন। কিংবা ইউটিউব এ ইমরান নজর হোসাইন লিখে ওনার লিকচার শুনতে পারেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন