বিসমিল্লাহ্ না বলায়
লিখেছেন লিখেছেন ক্ষনিকের যাত্রী ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:০২:১৫ দুপুর
অনেক যুগ আগের কথা। এক মহিলাকে জ্বিনে ধরেছে এবং খুব পেরেশান করছে। তাই উনি এক আলেমের কাছে গেছে। গিয়ে বলল: জ্বিন আমাকে খুব পেরেশান করছে, একটু দয়া করে কিছু একটা তদবীর করেন যাতে জ্বীনটা চলে যায়। উনি জ্বিনকে বেঁধে প্রশ্ন উত্তর করতে পারতেন ও তা করার নিয়ম জানতেন এবং কেনো কষ্ট দেয় তা জিজ্ঞেস করতেন। তো উনি জ্বিনকে জিজ্ঞেস করলেন: তুমি কেনো ওকে কষ্ট দিচ্ছ? জ্বিন উত্তর দিলো: ও আমার গায়ে গরম পানি দিয়েছে। তিনি বললেন: তোমার গায়ে গরম পানি ঢেলেছে? ও তোমাকে দেখবে কেমনে? জ্বিন বললো: তার কিচেন একটা গর্ত আছে আমি তাতে বসে কিছু খাচ্ছিলাম। আর সে সোজা গিয়ে আমার গায়ে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে। আলেম ব্যক্তি বললেন: ওর কিচেনে ও পানি ঢালতে পারে এতে ওর কি দোষ? জ্বিন বললো: না, ওর দোষ আছে। আর ওর দোষ হলো, সে “বিসমিল্লাহ্” বলে নাই। যদি সে বিসমিল্লাহ বলতো আমি তাড়াতাড়ি পালাতাম। এখন যেহেতু বিসমিল্লাহ্ না বলেই ঢেলে দিয়েছে, তাই আমি অসতর্ক ছিলাম। এটাই ওর দোষ ও বিসমিল্লাহ্ বলে নাই কেনো।
এ কারণেই সে জ্বিন মহিলাটাকে কষ্ট দিচ্ছিল।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: যখন সন্ধ্যা হবে ঘরের দরজা বন্ধ করবে তখন বিসমিল্লাহ বলবে। বিসমিল্লাহ্ না বললে তোমাদের ঘরের কোন নিরাপত্তা থাকবে না। কারণ যে দরজা বিসমিল্লাহ্ বলে বন্ধ করা হয় সে দরজা শয়তান খুলতে পারে না।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেছেন: যখনি তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে বিসমিল্লাহ্ বলবে। যদি বিসমিল্লাহ্ বলো তাহলে শয়তান বলে, আজ এ ঘরে আমার থাকার জায়গা হবে না। আর যখন খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ্ বলে তখন শয়তান তার সঙ্গীদের সাথে বলাবলি করে, আজ এ ঘরে আমাদের খাওয়ারও সুযোগ হবে না।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সব কাজেই বিসমিল্লাহ্ বলতেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: এমনকি কোন পাত্র রাত্রে ঘুমানোর আগে যদি খোলা রাখতে হয় বা ঢাকনা না থাকে তবে একটি কাঠি বিসমিল্লাহ্ বলে উপরে দিয়ে দাও। আল্লাহ হেফাজত করবেন।
একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খাবার খাচ্ছিলেন, এমন সময় এক লোক বাইরে থেকে এসে উনার সাথে খেতে বসলেন। সে লোক বিসমিল্লাহ্ না বলেই শুরু করছিলো। যখন সে হাত দিয়ে খাবার মুখে দিচ্ছিল, তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার হাতটি ধরে ফেললো। এবং বললেন: তুমি আগে বিসমিল্লাহ্ বলো। লোকটি বিসমিল্লাহ্ বলার পর খেতে দিলেন। অতঃপর বললেন: এ লোকটির হাতে শয়তানের হাত ছিলো। শয়তান চাচ্ছিলো আমাদের খানায় আল্লাহর নাম না নিয়ে শরীক হতে। সেজন্য আমি ওকে ধরলাম।
এভাবে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) প্রত্যেকটা কাজে কোথায় কোথায় বিসমিল্লাহ্ বলতে হয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৪ বার পঠিত, ৭৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
@হাতুড়ি মেইকার - এত হাতুড়ি ফেরী করে ঘোরো কেমনে? যেদিকে যাই সেদিকেই হাতুড়ি
প্রশ্ন ১ - জ্বীন কে নিয়ে যারা কাজ করে তাদের একটা বিশেষ নাম আছে! সেই নামটা কী?
প্রশ্ন ২ - আপনি কি প্রতিদিন বিসমিল্লাহ পড়ে গরম পানি ঢালেন কিচেনে? আর ঠান্ডা পানি ঢালার সময়ও কি বিসমিল্লাহ পড়েন?
২য় প্রশ্নের উত্তর: আমি প্রায় সব কাজেই বিসমিল্লাহ্ বলার চেষ্টা করি।
দেখবেন ঠিক।
বারাকল্লাহু ফীক।
পিচ্চিদের আরবী গাণ "আততিফলু ওয়াল বাহর" শোনেছো? ওটা আরো সুউইট
বারাকল্লাহু ফীক। অনেক শুকরিয়া, শুভেচ্ছা রইল আপুমনি।
খুব ধন্যবাদ জানবেন কিন্তু।
বিসমিল্লাহ বলে এবার আমাদেরকে চিংড়ি খাওয়াতে হবে কিন্তু।
ইয়ে মানে আপনার বাসায় আমার চিংড়ি খাওয়ার দাওয়াত রইলো।
ভালো লাগলো জেনে প্রীত হলাম।
আমলটা কন্টিনিউ করবো ইনশাআল্লাহ ।
শুকরিয়া ।
আল্লাহ আমাদের আমল করাার তৌফিক দান করুন। আমীন।
কোন বিভেদের দেয়াল তৈরি হবেনা।
যেখানে মুসলমানদের ভালোবাসা সম্মান ভার্তৃত্ববোধ থাকবে।
জাজাকাল্লাহ ।
আপনার প্রতিটি মন্তব্য পেয়ে আমি অনেক উৎসাহবোধ করছি। চমৎকার মন্তব্যটির জন্য জাযাকাল্লাহ।
আল্লাহপাক আমাদের সকলকে প্রতিটি কাজেই 'বিসমিল্লাহ' বলার তৌফিক দান করুন- আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
বারাকাল্লাহু ফীক।
আপু, আসসালামু আলাইকুম
বিসমিল্লাহ বলেই কমেন্টস কোরলাম। অনেক কিছু শিখেছি আপনার লেখাটির মাধ্যমে।
আলহামদুলিল্লাহ। আপনার মন্তব্য পড়ে নিজের পোস্টখানি সার্থক মনে হলো। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
অনেকেই আপনাকে ভাপু বলে কেনো?
মন্তব্য করতে লগইন করুন