********** একটি স্মৃতিচারণ !! বিষয়ঃ খেলা *********
লিখেছেন লিখেছেন লজিকাল ভাইছা ০৬ মার্চ, ২০১৫, ০৩:০০:৪১ রাত
একসময় ঢাকার মাঠে প্রায়ই,পাকিস্তান-ভারত তুমুল এবং জমজমাট লড়াই হত।সেই লড়াইয়ে কখনও পাকিস্তান, কখনও ভারত জিতত। তখন ভারতীয় দলে ভাল খিলাড়ি হাতে গণা দুই-তিন জন ছিল, আপর দিকে পাকিস্তান দলে একের পর এক সুপার স্টার খিলাড়ি ছিল, ফলে ঢাকার মাঠের প্রায় ৭০% দর্শক তাঁরা টানতে সমর্থ হয়েছিল। বুঝাই যেত না খেলাটা ঢাকায় হচ্ছে নাকি পাকিস্তানে, উল্টো পাকিস্তানের খিলাড়ীরা নিজেদের মাঠের চেয়ে এই মাঠে উজাড় করে দিত নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু।আজ সেই দিন নেই, সবই শুধুই স্মৃতি। নেই পাকিস্তানের সেই খিলাড়ি, নেই তাদের সেই জৌলুস, নেই সেই সাহসী দৃপ্ত পদক্ষেপ, নোংরা রাজনীতি আর মীরজাফরের কৌশল এবং অন্তদ্ধন্দে নিজেই চূর্ণবিচূর্ণ আজ। মুদ্রার অপর পিঠে ভারত, নিজেদের সকল অন্তঃকোন্দল ভুলে, দেশ প্রেমে-বলিয়ান হয়ে একতার প্রাচীর গড়েছে। আজ তাদের তৈরি হয়েছে এক জাঁক সাহসী তরুণ, বুদ্ধিদীপ্ত এবং অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ বেশ কিছু সুপার স্টার খিলাড়ী। যারা আজা পৃথিবীতে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিশ্ব মোড়ল হিসাবে।
সময়ের স্রোতে দাঁড় বাইতে বাইতে, একসময় ঢাকারও একটি নিজস্ব টিম তৈরি হল। প্রতিভা-ননপ্রতিভা, অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ এক জাঁক খিলাড়ীর সমন্বয়ে গঠিত হল দল,উদ্দেশ্য হল, মাঠ খালী থাকতে দিব না, খালি মাঠে কাউকে গোল দিতে দিবনা।এই ভাবে ঢাকার একঝাঁক খিলাড়ী, যাদের ছিলনা কোন ইন্টারন্যাশনাল খেলার অভিজ্ঞতা,ছিলনা ইন্টারন্যাশনাল লবি, তবুও মনে লড়াই করার ভাসনায় তারা মাঝে মাঝে জাতিকে কিছু খুশির দিন উপহার দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার মাঠে এখন লড়াই হয়, তবে সেটা বাংলাদেশ – ভারত,এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার ভারতকে নাকানিচুবানি করার মত পরিস্থিতি তৈরি করেও, ব্যর্থ মনোরথে বাংলাদেশকে না জিতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। সেটার ও কিছু কারণ ছিল, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরা থাকা কিছু ভারতীয় চর, এবং ইউরোপিয়ান খিলাড়ীদের হীনমন্যতা। ওআচ্ছা ইউরোপিয়ান খিলাড়ীদের ব্যাপারে আপনাদের ইনফরম করা হয়নি!! বাংলাদেশ যখন ভারতের সাথে মাঠে নামা শুরু করেছিল, তখন থেকে ইউরোপিয়ানরাও ঢাকার মাঠের দিকে নজর দেওয়া শুরু করেছিল,যদিও আগেও তাদের নজর ছিল কিন্তু এবারের নজর একটু ভিন্ন কারণ এখন এখানে বাংলাদেশ প্রতিদন্ধিতা করা শুরু করেছে। এই ইউরোপিয়ান খিলাড়ী গুলো খুবই ধূর্ত প্রকৃতির, এরা না খেলেই জিততে চায়। এরা খেলে, তবে মাঠের উপরে ড্রেসিং রুমে বসে । এরা ভারতের বিরাগ বা রোষানলে পড়তে চায় না, খেলবে কিন্তূ ভারতীয় দাদাদের কে খুশী রেখেই খেলবে। এতে ঢাকার মাঠের স্বাগতিক বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ জমজমাট হচ্ছে ঠিকই কিন্তূ বাংলাদেশ তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বারবার। সাম্প্রতিক কালে এটা আরও বেশী লক্ষণীয়, জয়ের কাছাকাছি থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে বারবার, জনগণের প্রাণ আজ ওষ্ঠাগত প্রায় একটা বিজয়ের জন্য । এর মধ্যে ইউরোপিয়ান খিলাড়ীরা বেশ কয়েক বার অপমান অপদস্থও হয়েছে, কেউ কেউ তো কাজের মেয়ের উপাধি , কেউবা দুই আনার মন্ত্রী উপাধি ও পেতে হয়েছে, তবুও তারা সব সহ্য করে চুপটি পেরে আছে, তবুও তারা ভারতকে ঘাটাতে চায় না। ইতি মধ্যে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন কে গৃহ বন্ধী কর রাখা হয়েছে, তাঁর বাসার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, তাঁর বাসায় খাওয়ার সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তারে যে কোন সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। দলের মিডল অর্ডার এবারেও চরম ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু আশার কথা হল, দলের লোয়ার অর্ডার’রা তাদের সামর্থ্যের সব টুকু উজাড় করে ঢেলে দিয়ে যাচ্ছে দেশের জন্য, এর মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী দলের মিডল অর্ডার কে লজ্জা দিয়ে, জাতিকে চমক উপহার দিয়ে গেল। তাই আজ আমাদেরকে প্রমাণ করতে হবে ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আমাদের আছে, তবেই ইউরোপিয়ানরা আমাদেরকে সমর্থন করবে। অর্থাৎ আমাদেরকে নিজেদের শক্তি সামর্থ্য দিয়ে বিজয়ী হতে হবে, ইউরোপিয়ানরা আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকবে, তবে নিরপেক্ষ থাকবে।
বাংলার জনগণ আজ গ্যালারীতে অধীর আগ্রহে বসে আছে, একটি বিজয়ের অপেক্ষায়। আর একটি রোমারি সীমান্তের(২০০২) বিজয়, আর একটি কুইন্স পার্ক ওভাল, পোর্ট অফ স্পেন,(২০০৭)বিজয়ের স্মৃতি রোমন্থ করতে। এবার যে একসাথে দুটি বিজয় দরকার, এবার যে বাংলাদেশ কে জিততেই হবে। এবার আর হারা যাবে না, আল্লাহ্ না করুণ এবার যদি বাংলাদেশ হারে, তবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে একটি জাতি।ইতিহাস ক্ষমা করবেনা কাউকে।হে আল্লাহ্ এবারের খেলায় বাংলাদেশকে বিজয়ী হওয়ার তাওফিক দান করুণ, আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখাটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। একেই বলে জাতীয় সত্ত্বা, অস্ত্বিত্ব এবং দেশপ্রেম। ভীষণ ভালো লাগলো।
আপনার প্রার্থনায় আমীন! ছুম্মা আমীন।
আপনাদের ভালবাসার টানে আবার ও ফিরে আসলাম।
পোস্ট তি পরার জন্য আপনাকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ ।
আপনার দোওয়ায় আমীন ।
আপনারা সব কোথায় হারিয়ে গেলেন ভাইয়া । দেশের পরিস্থিতি খারাপ আপনি তো মনে হয় দেশে থাকেন ভাইয়া তাহলে কেন ?
দেশের পরিস্থিতি ভাল নাই, তাই মন ও ভাল নাই। আর এই জন্য কোন কিছুতে শান্তি পাইনা। সব কিছুতে এর প্রভাব পড়ছে। তাই হারিয়ে গিয়েছিলাম অচিন দেশে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন