তাহলে কি সেই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা ( !!) আওয়ামীলীগের ??

লিখেছেন লিখেছেন লজিকাল ভাইছা ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৪১:৪৭ সকাল

গত দুই দিন আগে(৪-২-২-১৫ইং) একজন জাত আওয়ামীলীগের সাথে কথা বললাম। আগের চেয়ে কিছুটা হতাশ এবং চিন্তিত, চেহারাতে কিছুটা কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে, তবুও সে বলল আগামী ২০-০২-২০১৫ ইং এর মধ্যেই তাদের সরকার এই জন আন্দোলন দমন করে দেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিবে। শুনে আমি চিন্তা করলাম, তাকে একটু ঘাবড়িয়ে দিতে হবে।তাই বললাম “ তুমি কি জান পৃথিবীর ইতিহাস চরম নির্মম, পৃথিবীতে কখনও কোন আন্দোলনকে দমন করতে কেউ পারেনি, বরং এতে গন বিস্ফোরণে এই শক্তিশালী জালিম শাসকদের ধ্বংস ত্বরান্বিত হয়েছে। যেমন ১৯৭৫ বাংলাদেশে হয়েছিল, ৭২-৭৪ সালের মধ্যে ৪০ হাজার জাসদ নেতা কর্মী হত্যা করে কি তাদের দমন করা গেছিল, বরং ৭৫ সালে কিছু বামপন্থী সেনা অফিসার যারা মুক্তিযোদ্ধাও ছিল, তাদের এক বিস্ফোরণে পাল্টে গেছে অনেক কিছু। আজও তারা তাদের ৪০ হাজার নেতা কর্মীর হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া জন্য একটি ফাঁদ পেতেছে, আর সেই ফাঁদের আওয়ামীলীগ পা দিয়েছে। তবে কিন্তু এবার বাংলার জনগণ তাদেরকে গণধোলাই নিয়ে দেশ ছাড়া করবে ইনশাল্লাহ”।

রাত্রে যখন বিছানায় এপাশ-ওপাশ করছিলাম, হঠাত মনেপড়ল ২০ তারিখের মধ্যে আন্দোলন দমন!! কিভাবে করবে আওয়ামীলীগ?? কি তাদের পরিকল্পনা??



অনেক দিনের ছেড়ে দেওয়া একটি ফর্মুলা ব্যাবহার করলাম। আমার বন্ধুরা প্রায় আমাকে হিট করার জন্য বলে, আমি নাকি চিন্তাভাবনার দিক থেকে অনেকটাই হাসিনার মত, তবে পার্থক্য হল হাসিনা হচ্ছে মহিলা আর আমি হচ্ছি ছেলে মানুষ।তাদের এই কথার কারণ, আমি একসময় খুব বদ মেজাজি ছিলাম, চিন্তাভাবনা করতাম খুব ধ্বংসাত্মক, এবং কেউ যদি কখনও আমার ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয় তাহলে তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন শাস্তিটা সে আমার কাছ থেকে পায়।কোন ব্যাপারে যখন কোন সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা হত সবচেয়ে অ্যাটাকিং সিদ্ধান্ত। যাক জীবনের কোন একসময় এসে যখন বুঝতে পারলাম, আমার এই চরিতটা আমাকে শয়তান কিংবা যালিম বানিয়ে-দেবে, তখনই নিজেকে ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত নিয়ে গেলাম।আল্লাহর রহমতে এখন আমি অন্য এক আমি। বন্ধুদের এই সব কথা অবশ্য পরীক্ষিতও বটে, যাহোক আসি মুল বিষয়ে:

নিজেকে প্রতিস্থাপন করলাম হাসুদির জায়গায়, কিছুক্ষণ পর পেয়ে-গেলাম, সেই অতি পুরাতন কিন্তূ মোটামুটি কার্যকর একটি ফর্মুলা।যেটি সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ফুটবলে ও আমরা দেখেছি। এটা সত্য যে হাসুদি কিন্তু বেগম জিয়ার চেয়ে, খেলাধুলার প্রতি অধিক ইন্টারস্টেট। তাই এই ফর্মুলাটির সফল প্রয়োগ তিনি ছয়মাস আগে দেখেছেন, এখন তিনি তা অ্যাপ্লাই করবেন এটা আমি নিশ্চিত। ফর্মুলাটি হল “প্রতিপক্ষের সবচেয়ে সক্রিয় মেকানিজম বা অংশে আঘাত করে তা ধ্বংস করে দেওয়া”। এই ফর্মুলাটি কিন্তু সহজে অকার্যকর করে দেওয়াও যায়, তবে সেক্ষেত্রে একটু বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। বিশ্বকাপে দেখেন ব্রাজিলের এবং আর্জেন্টিনার স্বপ্নের কাণ্ডারি ছিলেন নেইমার এবং মেসি। একজন ২২ বছরের আবেগি তরুণ অন্য জন ২৮ বছরের পরিপূর্ণ একজন যুবক। একজন আবেগের বসে নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে স্বপ্নের সলীল সমাধি করেছেন, অন্যজন আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে, আবেগের উপর বুদ্ধি-ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বপ্ন পূরণের মঞ্চে। একজনের উপর কার্যকর হয়েছিল এই ফর্মুলা অন্যজনের বুদ্ধির কাছে হেরে গিয়েছিল ফর্মুলাটি।

আমার হাসুদিদিও খেলবেন এই ফর্মুলাটি, তিনি ইতিমধ্যে দেখেছে গত ছয় বছরের আন্দোলনে বিরোধী দলের সবচেয়ে সক্রিয় কয়েকটি অঞ্চল এবং সেখানের তৃণমূল নেতা কর্মীরা , সাথে সেই সব এলাকার সাধারণ জনগণ। এই সব জায়গায় অ্যাটাক করতে হবে, তবে সেটা করতে হবে একটা জঘন্য এবং নারকীয় কায়দায়।যে নারকীয় খেলায় সে সিদ্ধহস্ত । যাতে মার খাবে তাঁর বিরোধী পক্ষ, দোষও চাপবে তাঁর বিরোধী পক্ষের ঘাড়ে, নিন্দিত হয়ে অবশেষে তাদের আন্দোলনে দেশের জনগণের সমর্থন কমে যাবে। অন্যদিকে সক্রিয় অঞ্চল গুলোতে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে, ২৫ মার্চ ৭১ সালের মত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আন্দোলন দমন করে দিবে।

ইতি মধ্যে আমরা এর কিছু নজিরও দেখতে পাচ্ছি, ১৫ দিন আগে যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে সূচনা এই খেলার।শুরুতেই ২০ জন মানুষ পুড়িয়ে মেরে, যে খেলার শুরু করে দিয়েছেন ড্রামা কুইন।



এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয় যে গত ৩ই জানুয়ারি ২০১৫ তে শুরু হওয়া এই অবরোধের, আপনি যদি প্রথম দশ দিন দেখেন, দেখবেন শতাধিক গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিপ্লবীরা, যার ম্যাক্সিমামই ছিল পণ্যবাহী ট্রাক এবং যে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে তাঁর সবকয়টি গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তারপর আগুন দিয়েছে বিপ্লবীরা। পুলিশের এই জঘন্য আচরণের পর সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল, অবরোধের প্রধান টার্গেট হবে পুলিশ কিন্তু এত অত্যাচারের পরও বিপ্লবীরা সেই তুলনায় পুলিশের উপর কিছুই করেনি। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়েছে এবং আজ পর্যন্ত মাত্র একজন পুলিশ মরেছে।



কিন্তু দৃশ্যপট পাল্টে যায় তখন থেকে যখন থেকে চরমপন্থি, জঙ্গি,সন্ত্রাসী এবং নারী নির্যাতনকারী সংগঠন ছাত্রলীগ ঘোষণা দিল এক সাপ্তহের মধ্যেই আন্দোলন দমন করা হবে। এই পর পরই দৃশ্যপটে কসাই বাহিনীর আগমন, তারা ঘোষণা দিল অবরোধকারীদের দেখা মাত্রই গুলি করা হবে।



ব্যাস তাঁর পরেই শুরু হয়েগেল মরণ খেলা। যাত্রাবাড়ীর সেই মনমান্ত্রিক ঘটনা। যেখানে পুলিশের সামনে বাসে পেট্রোল বোমা মেরেছিল নাশকতা কারিরা, পুলিশ তাদের কে সুযোগ করে দিয়েছিল পালিয়ে যাওয়া।তাহলে এটা কি বোঝা যায়না যে কারা পুলিশের সামনে দিয়ে বোমা মেরে নিরাপদে সরে যেতে পারে। অথচ যাত্রাবাড়ীতে এখন চলছে কুত্তা বাহিনীর, বিরোধী পক্ষের উপর নিধন অভিযান। তামিরুল মিল্লাত নামক মাদ্রাসায় চালানো হয়েছিল তাণ্ডব, যাত্রাবাড়ীতে এক বাসায় অভিযান চালিয়ে বাপকে না পেয়ে তাঁর মেয়েকে কুপীয়ে হত্যা করেছে কসাই বাহিনী। এটা দেখে কিন্তু আজ কোন চুতিয়ার কলম দিয়ে বের হয় না “ আমাদের ক্ষমা কর, আমরা তোমাকে বাঁচাতে পারি নাই”



এখন শুধু দেখতে থাকুন, ঘটনার ধারাবাহিক পর্ব গুলো, হিন্দি সিরিয়ালের মত ঘটতে থাকবে ঘটনা, একটার পর একটা, আর আপনি শুধু মিলাতে থাকুন।

এর পর ঘটনা ঘটল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, পেট্রোল বোমায় জলসে গেল অনেক গুলো মানুষ, মারা গেল ৯ জন, তাঁর পর থেকে সেখানে শুরু হয়ে গেছে কসাই বাহিনীর নারকীয়তা , যা বর্ণনা করার ভাষা আমার নেই। এভাবে ঠাণ্ডা হয়ে যাবে আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেকানিজম চৌদ্দগ্রামের আন্দোলন।



আজ যখন এই লেখাটি লিখছিলাম তখন হঠাত পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাতে বুকটা চিনচিন করে উঠল, আন্দোলনের আরেকটি সক্রিয় অঞ্চল গাইবান্ধায় পলাশবাড়ীতে বাসে পেট্রল-বোমা, নিহত ৪। আগামী কাল থেকে কসাই এবং জঙ্গিবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে এই অঞ্চলের নিরীহ সহজ সরল জনপদের উপর,আর কয়েক শত তাজা প্রাণ ঝরে যাবে অকালে, কয়েক শত পরিবার হবে লণ্ডভণ্ড, কয়েক শত মায়ের বুক খালি হয়ে যাবে, ভাবতেই হাত-পা শীতল হয়ে আসছে, মাথায় জিম জিম করছে,গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাবে শত শত পরিবার। কিন্তু পালিয়ে যাবে কোথায়?? ভাবতেই বুকের ভিতরের চিনচিন ব্যথাটা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো, আজ কাল এই ব্যথাটা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে।



তবে এর পরের টার্গেট কি ঢাকার উত্তরা, নাকি বগুড়া,সিরাজ গঞ্জ, জয়পুর হাট, নীলফামারী, নাটোর, কুড়িগ্রাম, না কি দক্ষিণ বঙ্গের বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট?? না কি আমার প্রিয় ফেণী, সীতাকুণ্ড, না কি চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার, পতেঙ্গা, নাকি মুরাদ পুর?? না কি সরকার বিরোধী আন্দোলনের হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম এর সাতকানিয়া ??

বিপ্লবী ভাইয়েরা মেসির পথ অনুসরণ করে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। একটু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে, আপনার এলাকার কুত্তা-লিগের উপর নজর-ধারী শুরু করুন, প্রয়োজনে এই সব এলাকায় নিজেদের তত্ত্বাবধায়নে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করুণ, যারা সর্বক্ষণ নজন রাখবে কুত্তালিগের উপর। পেট্রোল বোমা তৈরি করতে গেলে অথবা মারতে গেলে, জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করুণ। মনে রাখবেন এরা যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা মারে রাতের আঁধারে, যেন সাধারণ মানুষ বুঝতে না পারে এটা ছাত্রলীগের কাজ। এলাকার মানুষদের সজাগ করুণ, সন্ধ্যার পর যেন বাসে না চড়ে। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থার পরও যদি কোন তাদের নাশকতা ঠেকানো না যায়, তবে নেতা কর্মীদের জীবন রক্ষার্থে কিছু দিনের জন্য এলাকা ছেড়ে দিয়ে নিরাপদে থাকবেন। মনে রাখবেন এই আন্দোলন স্বল্প মেয়াদী নয়, এটা দীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলন। স্বল্প মেয়াদী আন্দোলনে দেশ এবং নেতা কর্মীদের জীবনের ব্যাপক ক্ষতির কথা চিন্তা করে, দীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলন যেখানে দেশের ক্ষতি কম হবে, নেতা কর্মীদের জানের ক্ষয়ক্ষতি তুলনা মূলক কম হবে, তাই এটা দেশ নেত্রীর কৌশল বলে আমার ধারণা। দেশ মাতা অবশ্য ঘোষণা দিয়েই দিয়েছেন,১) এই আন্দোলন কমপক্ষে ৩ মাস ব্যাপী চলবে, তাঁর সাফল্যের বন্দরে পোঁছাতে, ২) গ্রেফতার এড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। ৩) যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশ মাতা প্রস্তুত। সুতরাং ভয় কিসে বিপ্লবী ভাইয়েরা এই রকম একজন নেত্রী আমাদের আছে এটাই আমাদের অনেক বড় শক্তি। তাই আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে আন্দোলন চালিয়ে যান, প্রত্যেক এলাকায় একটি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক তৈরি করুণ যারা অছাত্রলিগ, যুবলীগ,আমুলিগের উপর নজর-ধারী করবে একটা গ্রুপ রাখুন যারা পুলিশের গতিবিধি নজরে রাখবে, আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে আরও সম্পৃক্ত করুণ। ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের হবে, আল্লাহ্‌ বাংলার এই জনপদকে যালিমের হাত থেকে রক্ষা করবেন, মজলুমের বিজয় হবেই ইনশাল্লাহ।

বিষয়: বিবিধ

২৫০১ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303297
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:১৪
কাহাফ লিখেছেন :
চমৎকার বিশ্লেষণময়ী সত্যাশ্রয়ী উপস্হাপনা!
ঘটনা পর্যবেক্ষণে মুন্সিয়ানা পুর্ণ মাত্রায়!
তবে,জালিম শত চেষ্টাতেও আখেরী ধ্বংশ থেকে বাচতে পারবে না কখনই!
মহান রব মাজলুমানের শেষ পরিণতি ভালই করবেন ইনশা আল্লাহ!!
জাযাকাল্লাহু খাইরান শ্রদ্ধেয় লজিকাল ভাইছা!!
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৩
245370
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকু সুপ্রিয় কাহাফ ভাই, নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনেহচ্ছে, প্রথম মন্তব্যটি আমার একজন প্রিয় মানুষের। আমি একজন সাধারণ মানুষ এত প্রশংসা আমাকে মানায় না। তবুও আপনার প্রশংসা শুনে নিজের মধ্যে কিছু কনফিডেন্স খুজে পেলাম,আর মনকে বললাম আমাকে দিয়েও কিছু হবে। আপনি অনেক বড় মানুষ তাই আপনার অকৃপণ এই প্রশংসা, যাতে আমি ধন্য। ওয়া কাযালিকা। Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:৫৬
245440
কাহাফ লিখেছেন :
ওয়ালাইকুমুস্ সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ... শ্রদ্ধেয় লজিকাল ভাইছা!
যতই লুকিয়ে রাখতে চান,স্বীয় অসাধারণতা বেড়িয়েই আসবে আপনাদের থেকে ইনশা আল্লাহ!অবশ্য এমন কাংখিত গুণের অধিকারীরা তাই করেন বারেবার! মহান আল্লাহ আপনাদের-আমাদের-সবাই কে প্রকৃত কল্যাণের অধিকারী করুন!আমিন!!Good Luck Good Luck Good Luck
303302
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:৪৪

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : বাঁশেরকেল্লার ভোগোযোগি! গনআন্দোলন আর পিছলামী আন্দোলন একসাথে গুলিয়ে ফেল্লেন যে!! ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি গনআন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। কিন্তু সমসাময়িক ইতিহাসে পৃথিবীর কোথাও পিছলামী আন্দোলন সফল হতে পারে নি। সর্বশেষ মিশরের ব্রাদাহুড মুখথুবড়ে পরে আছে। তবে ইসলামের পিছলামী আন্দোলনে বোমাবাজি, আইসিস, বোকোহারাম, তালেবান, আলকায়দা....... এসবে চ্যাম্পিয়ন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৯
245349
ব্যাসদেব লিখেছেন : ১৯৫২'র ভাষা আন্দোনে আওয়ামী লীগ কি করল? নামটা তো এখনো উর্দূ আর ইংরেজী ভাষার খিচুরি। এর নাম কি বাংলা প্রেম! হায় রাম!!
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৪১
245374
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : কোন এক সময় আমি একজন শিক্ষক ছিলাম, জারণ-বিজারণের ক্লাস এ যখন কোন ছাত্র গতিবিদ্যার প্রশ্ন করে, কিংবা ক্যালকুলাস ক্লাস এ পাটিগনিত এর উপর প্রশ্ন করে, তখন মেজাজটা প্রথমে খুব খারাপ হয়, ইচ্ছে করে ঐ ছাত্রের মাথায় বড় এক খণ্ড বরফ বসিয়ে দেয়। তাঁর পর একসময় রাগটা কমে করুণায় রূপান্তরিত হয়। বেচারা কতইনা হতভাগ্যা!! কারণ কেউ কম বুঝলে তার ওপর রাগ করা উচিৎ না কিন্তূ যারা লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে এক কথায় আরেক কথা ঢুকিয়ে দিয়ে প্রসঙ্গ চেঞ্জ করতে চায়, তাদের কে আমি বুদ্ধি-বেশ্যা বলি। জ্ঞানপাপী হতে হলে জ্ঞান তো থাকা লাগবে !! কিন্তু এই শ্রেণীর প্রাণী বিশেষের যে জ্ঞান নেই তা এদের কথাবার্তা দেখলেই বুঝা যায়।
মুতি কইন্যা তোমাকেই খুঁজছি, মাঝে মাঝে দেখি তুমি কিছু রেফারেন্স দাও, মনে প্রশ্ন জাগে তুমি কি পড়ে রেফারেন্স দাও না কি কারো কাছ থেকে শুনে রেফারেন্স দাও। পড়াশুনা করা ভাল, পড়াশুনা অনেক পবিত্র জিনিস, তাই পড়ার আগে গোসল করে পবিত্র হয়ে, তারপর পড়তে বসবে কেমন !! শত হলেও তুমি আমার বন্ধুর ডার্লিং।
আইসিস, বোকোহারাম, তালেবান, আলকায়দা এদেরকে একক রূপে দেখতে চায় , তবে তা তুমি পাবে শুধু মাত্র, কেবল মাত্র বাল এর মাঝে। বুঝনাই!! এদের সম্মিলিত সকল গুনাগুণ যদি একটি সংগঠনের মধ্যে দেখতে চাই, তবে তা পাবে আওয়ামী-ছাত্রলীগের মধ্যে। ইয়াজুজ মাজুজ যেমন মানব সম্প্রদায়ের উপর এক অভিশাপ ঠিক তেমনি আওয়ামীলীগ বাঙ্গালী জাতীর জন্য এক চরম অভিশাপ।
আর ৫২ ভাষা আন্দোলনে আওয়ামীলীগের অবদানটা কি একটু বলবে?? কি সে অবদান শুনে নিজেকে একটু ধন্য করি!!!!!
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
245375
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ব্যাসদেব, আপনাকে ছোট্ট একটা ধন্যবাদ।
303308
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৩৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
ইতর মন্তব্যগুলি মুছে দিন। আমাদের ব্যান্ডউইথ এর দাম আছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৬
245372
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ধন্যবাদ রিদওয়ান কবির সবুজ ভাই, আপনার মুল্যবান মন্তব্য এবং পরামর্শের জন্য।Good Luck Good Luck
303325
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : কর্মের প্রতিফল যথাযথই হয়,শুধু ফলপাওয়ার পর কেউ হতাস আর কেউ খুশি হয়...তাহাদের পরিণতির জন্য তাহারা কাহাকেউ দায়ী করতে পারবে না শুধু বলবে অনেক বেশি করেছিলাম..... অনেক ধন্যবাদ
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:১৮
245419
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। যাজাকাল্লাহু খাইর
303326
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২২
আমি মুসাফির লিখেছেন : আ'লীগের পক্ষে সবই করা সম্ভব। কারন, সমাজের সবচেয়ে ইতর শ্রেণীরটাই আওয়ামী লীগ করে। দুঃখজনক হলেও সত্য এই ইতররাই আজ ক্ষমতা দখল করে আছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:২৫
245421
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আমার এক মুরব্বি জেঠাও এই কথাটি বলতেন, উনি একজন মুক্তিযুদ্ধা এবং পাকিস্থান আমলের একজন ডাকসাইটের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। শেষ বয়সে উনি একজন সাইদী ভক্ত ছিলেন। তিনি বলতেনঃসমাজের সবচেয়ে লম্পট, বদমাইশ, ইতশ,চোর-বাটপার, খুনি-ধর্ষক,রাস্ক্যাল ছেলে পেলেরাই ছাত্রলীগ করে। আর বড় হলে এরাই আওয়ামীলীগ করে ।
303352
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪৬
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


বিশ্লেষণ যথার্থ, জাযাকাল্লাহ,
আল্লাহতায়ালা আপনার মেধায় বরকত দিন
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:২৮
245422
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ----- শ্রদ্ধেয় আবু সাইফ ভাই, আল্লাহপাক আপনার দোয়া কবুল করুন। আমীন। ওয়া কাজালিক।
303420
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৪৮
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অত্যান্ত সুন্দর বিশ্লেষন করেছেন ভাইয়া ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:৩৩
245423
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ছোট আপু। আমার ছোট আপুর ভাল লেগেছে শুনলে আমার আনন্দের কোন সীমা থাকেনা। আমি জানি আপনার পলিটিক্স ভাল লাগেনা, তবুও পোষ্টটি পড়েছেন সেই জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
303535
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:০০
হতভাগা লিখেছেন : রাজনীতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা জানতে হয়
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৭
245764
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আসলে জাতি হিসাবে আমারা চরম হতভাগ্যা।কারণ এই জাতীর মধ্যে আপনার আমার মত হতভাগ্যা লোকের অভাব নেই। শিক্ষিত মানুষ হয়ে ও যারা অমানুষের মত বিবেক শূন্য কথা এবং কাজকে সমর্থন করার জন্য বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে নেই। রাজনৈতিক এই সব নোংরামিকে আমারা এখনও রাজনীতি বলে সমর্থন করে যাচ্ছি।আর আমরা এই সব নোংরামিকে সমর্থন করি বলেই, রাজনৈতিক পতিতারা আমাদের সাথে এই সব নোংরা খেলা খেলে যাচ্ছে। অথচ কথায় কথায় আমরা পশ্চিমা বিশ্বের উদাহরণ টানি, এটা ভেবে দেখিনা কেন?? যে, পশ্চিমা বিশ্বের এই সব রাজনৈতিক নোংরামি নেই। তাদের জনগণ এই সব রাজনৈতিক নোংরামিকে পছন্দ করেনা বলেই আজ সেখানে এই খেলা নেই।
আশার কথা হচ্ছে!! দিল্লীর জনগণ বুঝতে পেরেছে, এবং তাঁর জবাব তারা দিয়ে যাচ্ছে তাদের রাজনৈতিক নেতাদের। প্রশ্ন হচ্ছে ঢাকার জনগণ কবে বুঝবে??
ধন্যবাদ ।।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File