** আসুন একটুঁ কল্পনা করি, ৫ই জানুয়ারির ঘটনার উল্টো প্রবাহ চিত্র। **
লিখেছেন লিখেছেন লজিকাল ভাইছা ০৬ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:৫৪:৩৮ রাত
আসুন একটু কল্পনা করি, ৫ই জানুয়ারির ঘটনার উল্টো প্রবাহ চিত্র। ধরুন বেগম জিয়ার জায়গায় একবার বেগম হাসিনা ওয়াজেদ কে কল্পনা করি, আর বিএনপির জায়গায় আওয়ামীলীগকে কল্পনা করি। তাহলে কি হত ?? কি চমকে উঠলেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গেলেন !! হুম এটাই স্বাভাবিক !!!!
আজ বিএনপির স্থানে আওয়ামীলীগ হলে সারা দেশে তাণ্ডবলীলা বয়ে যেত। বাংলাদেশ আজ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হত। ঢাকা শহরে পুলিশ, বিএনপি র প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতনা।
হাসিনাকে যদি এইরকম এক কাপড়ে রাখা-হত, গৃহবন্দী করে রাখা-হত তাহলে কি হত??
এক্ষেত্রে তাঁর দল যে কাজ গুলো করত:
১) সারা দেশের সকল রেলপথ রাজপথ আওয়ামীলীগ দখল করে নিত, এটা করতে যেয়ে যদি কয়েক হাজার বিজিবি বা র্যাব , পুলিশের জান নেওয়ার প্রয়োজন হত, তাহলে আওয়ামীলীগ তাই করত।
২) দেশের প্রতিটি জেলায়, সরকারী অফিস গুলো তারা দখলে নিয়ে নিত।
৩) থানা গুলো গেরাও দিয়া পুলিশ বিজিবি কে উল্টো রাস্তায় নামতে দিত-না, কার্যত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে গৃহবন্দী করে রাখত।
৪) সারাদেশে ব্যাপক ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হত, জনগণ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে আসত।
৫) ২০০৬ সালের মত সাপের মত পিটিয়ে, বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের মেরে পেলে দিত।
৬)২০০৬ সালের মত, প্রেসিডেন্ট কে কার্যত গৃহবন্দী করে তাঁর বাসার পানির সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হত।
৭) ২০০৫ সালের ন্যায় প্রধান বিচার পতিকে চরম একটা দাওয়া দিত, তাঁর পর তাকে গৃহ বন্ধী করে রাখত।
৮) পুরো দেশে তারা তাঁদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে, একটা নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা কায়েম করত।
এবার আসুন দেখি বেগম হাসিনা কি করতেন:
১) তিনি প্রথমে একটা ছোট খাট নাটকীয় বক্তিতা দিতেন, যাতে তাঁর দলের নেতা কর্মীদের উপর খুব প্রভাব পড়ে, যেমন কেঁদে কেঁদে বলতেন আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে, আমার খাওয়ারের সাথে বিষ মিসিয়ে আমাকে হত্যা করতে চাচ্ছে, মহিলা পুলিশ আরার গায়ে হাত তুলেছে, আমার উপর যেকোনো সময় স্নাইপার থেকে গুলী বর্ষণ করা হতে পারে, আমি জীবন নাশে আশঙ্কা করছি। কিন্তু আমি মৃত্যুকে ভয় পাইনা, আমার বাবা-মা সহ গোটা পরিবার এই দেশ এবং এইদেশের গনত্রন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে, প্রয়োজনে আমিও এই দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তূত।
এই বক্তব্যটার এই অংশটি চরম কাজে আসত, এটা হত আগুনে পেট্রোল ঢালার ন্যায়। দপ কপ্রে পুরো দেশ একসাথে জ্বলে উঠত, আর তাতেই খলেদা দেশ ছেড়ে পালিয়ে জেত। এতেও যদি কাজ না হত, তাহলে হাসিনা প্রয়োগ করতেন তারচরম একটি ট্রাম কার্ড ।সেটা হল নাম্বার ২ প্লান।
২) ৬ ঘণ্টা পর আর একটি বক্তিতা অথবা ভিডিও টেপ ছাড়তেন। যাতে থাকত এই রকম কিছু কথা বার্তাঃ
*এই আন্দোলনে যারা মারা যাবে, আজ থেকে তাঁদের পরিবারের বরণ পোষণ আমার দল করবে।
* যারা আহত হবে তাঁদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং আমি সরকার গঠন করার পর তাঁদেরকে সরকারী ভিবিন্ন সেক্টরে বা পুলিশ বাহিনীতে চাকুরীর ব্যাবস্থা করা হবে।
* যে সব ছাত্র এই আন্দোলনে কারনে তাঁদের ছাত্র জীবন বিপন্ন হবে, তাঁদেরকে পরবর্তীতে সরকারী খবচে বিদেশে পড়া লেখা করার ব্যাবস্থা করবে আমার সরকার।
* এই আন্দোলনে যারা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হবে, গ্রেফতার হবে, পরবর্তীতে আমি সরকারে আসলে, তাঁদের কে তাঁদের মামলা দেখে দেখে বিসিএস সহ সরকারী বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুই মামলার কাগজ পত্র দেখা হবে।
*যারা এই আন্দোলনে শরিক হয়ে সরকার পতনে ভূমিকা রাখবে তাঁদের কে, তদের অবদান অনুসারে বিভিন্ন পদক এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, পরবরতেকালে তাঁদের জন্য এবং তাঁদের সন্তানদের জন্য সকল ক্ষেত্রে কোঁটা সুবিধা রাখা হবে।
* সর্বপরি যারা আমাকে এই বন্ধীশালা থেকে মুক্ত করতে পারবে। তাঁদেরকে আমি আমার দলের নমিনেশন দিব, এমপি বানাব, বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারলে তাঁদেরকে সরকারের মন্ত্রী বানাব।
ভাস এই একটুই যথেষ্ট, তাঁর পর বাঙ্গালী রাস্তায় নেমে আসত। কেউ বেগম হাসিনাকে পুলিশি বাঁধা থেকে মুক্ত করত, কেউ বঙ্গভবন দখল করত, আবার কেউ খুঁজে খুঁজে নেতাদের কে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলত, যেরকম ৭১ এ বিহারী এবং স্বাধীনতার পর রেজাকারদের গন ধোলাই দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। আর বেগম জিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেন। আর এই ভাবেই দেশ একটা ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পেত।
এখানে কিছু সুশীল বা ভাল নাপিত ব্লগার বলতে পারেন, বেগম হাসিনার চিন্তা ধারা কিংবা কথা বার্তা এত খারাফ লেভেলের হতেই পারে না। আমি বলব ভাই আপনি মনেহয় আমাজান জঙ্গলে থাকেন অথবা প্যাঁচাটা দালাল।
আমার বন্ধু মহলে আমার একটি কুখ্যাতি আছে, বন্ধুরা বলে “যখন তোমার মেজাজ ভাল থাকে তখন তুমি খুব সাধারণ, সহজ সরল, উদার , কোমল মনের মানুষ। এক কথায় সেরা একজন মানুষ, কিন্তু যখন তোমার মেজাজ খারাপ থাকে তখন তোমার আর হাসিনার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। শুধু একটি পার্থক্য হাসিনা মহিলা আর তুমি পুরুষ”। মাঝে মাঝে আমিও চিন্তা করে দেখি তাদের কথা একবারেই অমুলক না। দুনিয়াতে আমিই মনে হয় সেই কয়েক জনের একজন যে হাসুদিদির চিন্তা-চেতনার খুব কাছাকাছি পোঁছাতে পারি। তিনি তার শত্রুদের সাথে কত জগন্য ব্যাবহার করতে পারেন এবং কত নিলজ্জ ভাবে মিথ্যা বলতে পারেন কিংবা কত জগন্য ভাষায় প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে পারেন । তা আমি আগে থেকেই কল্পনা করতে পারে। আমার বন্ধুরা এবং আমি প্রায় সময়ই এই খেলাটি নিজেদের মধ্যে খেলে থাকি। মাঝে মাঝে তারা আমাকে বলে সে যদি টের পায়, তাহলে তোমাকে তার উপদেষ্টা বানাবে !!!!! জবাবে আমি বলি, হে আল্লাহ্ আমাকে জাহান্নামে পাঠিও না, তোমার দরবারে আমি পানাহ চাই।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৪ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উল্টো চিত্র যথাযথই এঁকেছেন সন্দেহ নেই!
তবে উপস্হাপনার শেষের সাথে একমত হতে পারলাম না! আপনার রাগের মাথায় যতই খারাপ চিন্তাধারা করেন না কেন "ঐ মহিলা'র ধারে কাছে যেতে পারবেন খারাবতায়- কেননা শয়তানের রাজা 'ইবলীস' আর মানুষের মধ্যে নিকৃষ্টতায় ঐ মহিলা!!
কেননা শয়তানের রাজা 'ইবলীস' আর মানুষের মধ্যে নিকৃষ্টতায় ঐ মহিলা! এটা ঠিক বলছেন ।
অন্তর থেকে ধন্যবাদ আপনাকে
আর, হাসুদির বাংলা ভাষণ শুনলেই বুঝা যায়, উনার বাংলা বানান আরার মতন। বেগম জিয়ার বানানে ভুল নেই কারন তার ভাষণ গুলো শফিক রেহমান লিখে দেয়।
লেখাটি এডিট করে দিয়েছি, এবার মনে হয় পড়তে পারবেন। শেখের পোলা ভাই , অন্তর থেকে ধন্যবাদ আপনাকে।
কারন আওয়ামি লিগ এমন একদল মানুষের সমষ্টি যারা আসলে মানসিক ভাবে মানুষ নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন