★ মহানবী ( সা: ) কেন সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব★
লিখেছেন লিখেছেন লজিকাল ভাইছা ০৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:১৩:৪৬ রাত
মহানবী( সা: ) সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব
লাকদ কা-না লাকুম ফী রাসুলিল্লাহী উসওয়াতুন হাসানা,-- তোমাদের জন্য রাসূল(সঃ) এর জীবনেই রয়েছে সর্ব উত্তম আদর্শ । (--সূরা-আহযাব-আয়াত- ২১)
বালা গাল উলা বিকামালিহি, কাশ-ফাদুযা বিজামালিহী। হাসানাত যামীয়ই অখছালিহী সল্লো-আলাইহী ওয়ালিহী ।
নু-ন অল কালামি অমা ইয়াসতুরুন। মা আনতা বিনিইমাতি রাব্বিকা বিমাজনুন ।অইন্না লাকা লাআজরান গইরান মামনুন । অইন্নাকা-লা আলা খুলুকিন আজীম । - নু—ন কসম কলমের এবং তাঁর লেখার। আপনার রবের অনুগ্রহে আপনি পাগল নয়। আর আপনার জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব শ্রেষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী।
এই রকম হাজারো কুরানের আয়াত এবং হাদিস আছে, যা এই কথা প্রমান করার জন্য যথেষ্ট, যে আল্লাহ্ রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) সর্ব কালের সেরা নবী, রাসুল এবং মহা মানব।
এখন আপনি বলতে পারেন, পৃথিবীর সকল মা, বলে আমার সন্তানই অন্য সবার সন্তানের চেয়ে ভাল। ঠিক তদ্রুপ সকল ধর্ম গ্রন্থই বলে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় গুরুই সর্ব শ্রেষ্ঠ । এই কথাটিতে কিছু যুক্তি আছে আপাতত ধরে নিলাম।(পরের খণ্ডে এই যুক্তিও খণ্ডন করা হবে ইনশাল্লাহ)
আমার এই খুদ্র লেখাটি তাদের জন্য যারা সত্য অনুসন্দানের করে, যুক্তি বুঝে এবং যুক্তির প্রয়োগ করে। এই কথাটি চরম এবং পরম যৌক্তিক যে, কোন ব্যাক্তি কে যখন তাঁর চির শত্রুরা সেরার স্বীকৃতি দেয়, তাঁর দুশমনরা ও মেনে নেয় যে এই লোকটি ভাল । তখন এই কথা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়, যে উক্ত ব্যাক্তিটি অবশ্য ভাল, সেরা , এবং সর্বকালের সেরা।এটা খুব স্বাভাবিক এবং সাধারণ একটি লজিক।
পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানীক থেওর্যিকে প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত এবং নির্ভরযোগ্য মাপকাঠি হচ্ছে গনিত বা ম্যাথেমেটিক্স । গানিতিক যুক্তিক মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ থেওরি গুলোতে গানিতিক ফর্মুলায় রূপান্তর করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঠিক তেমনি মাথেমেটিসিয়ান বা গনিত বিশারদরাও চিন্তা ও চেতনার দিক দিয়ে অনেক অনেক পিওয়র হয়ে থাকে। আসুন দেখি তেমনি একজন গানিতবিশারদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং ইতিহাসবিদ মাইকেল এইচ হার্ট কি বলেনঃ তিনি তাঁর The 100. A Ranking of the Most Influential Persons in History. বইতে বলেছেন মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা মানুষ হলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) । ২য় স্থানে স্যার আইজ্যাক নিউটন, এবং তিনি তাঁর হিরো যুশু খ্রিষ্ট বা হযরত ঈসা(আঃ) কে ৩য় স্থানে রেখেছেন।
The most Influential man in History is Phropet MUHAMMAD(PBUH). কিন্তূ কে ?? তাঁর ও কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি, শুনী তাঁর মুখে তাঁর ভাষায়ঃ My choice of Muhammad to lead the list of the world's most influential persons may surprise some readers and may be questioned by others, but he was the only man in history who was
supremely successful on both the religious and secular levels. Of humble origins, Muhammad founded and promulgated one of the world's great religions, and became an immensely effective political leader. Today, thirteen centuries after his death, his influence is still powerful and pervasive. The majority of the persons in this book had the advantage of being born and raised in centers of civilization, highly cultured or politically pivotal nations. Muhammad, however, was born in the year 570, in the city of Mecca, in southern Arabia, at that time a backward area of the world, far from the centers of trade, art, and learning. Orphaned at age six, he was reared in modest surroundings. Islamic tradition tells us that he was illiterate.
এই রকম আর অনেক যথোউপযুক্ত যুক্তি ও তথ্য-উপাথ্য তিনি তাঁর লেখায় উপাস্থাপন করেছেন। (যেখানে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন )
JULES MASSERMAN, শিকাগো ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসর, সাইকোলজির এক জন পুরোধার পণ্ডিত। এবং একজন জাত ইয়াহুদি । এই সাইকো আনাল্যাসিস্ট পৃথিবীর সেরা মানুষ এবং নেতা নির্বাচনের জন্য একটি ত্রিমাত্রিক গবেষণা করেছিলেন। তাঁর সেই গবেষণার মুল সুত্র ছিল তিনটি যথাঃ ১) অনুসারীদের জন্য গঠন মুলক এবং কল্যাণ কর কি করেছেন? কত টুকু ইন্টারস্টেড ছিলেন তাঁর অনুসারীদের কণ্যানের ব্যাপারে ? ২) তাঁর অনুসারীদের সামাজিক ভাবে নিরাপদ এবং সিক্যুউর রাখার জন্য কতটুকু সংগঠিত এবং সুসংবদ্ধ করতে পেরেছেন। ৩) তাঁর প্রচারিত আদর্শের ঐক্যতা কততুকু বলবান তাঁর অনুসারীদের মধ্যে ??
এবং এই গবেষণায় তিনি রেখেছিলেন পৃথিবীর সকল বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ, পণ্ডিত, দার্শনিক বিজ্ঞানী এবং এবং ধর্মীয় গুরু । এখানে ছিনেল হিটলার, মুসেলিন, নেপলিয়াল, আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট, ছিলেন জর্জ ওয়শিংটন । আর ছিলেন আমার মতে দুনিয়ার একজন সেরা রসায়নবিদ, ছোটকালে যার জীবনী পড়ে মনেমনে স্বপ্ন দেখতাম, আমিও উনার মত একজন রসায়নবিদ হব, তখন থেকে রসয়নের প্রতি প্রেমপ্রীতি ভালবাসা। আধুনিক ইউরোপের এবং তাঁর শিল্প বিপ্লব যার কাছে ঋণী, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এনেছেন এক যুগান্তকারী উন্নয়ন,তিনি বিজ্ঞানী লুই পাস্থূর।
এই সকল মহা মানুষদের জীবনী আন্যালাইসিস করে তিনি ফলাফল দিলেন, তাঁর মতে পৃথিবীর সেরা মহামানব, সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা হলেন মুহাম্মহ । অর্থাৎ , তাঁর বিশ্লেষণে পৃথিবীর ইতিহাসের সেরা লিডার হলেন মুহাম্মদ (সঃ) । এবং ২য় স্থানে রেখেছেন তাঁর নিজের ধর্ম গুরু হজরত মুসা (আঃ) কে। তিনি আরও বলেছেন মুহাম্মদ (সঃ)যে কাজটি করেছেন, মুসা(আঃ) সেই একেই কাজ করেছেন কিন্তু মুহাম্মদ(সঃ) ছিলেন ১০০% সফল ।
James Gavin এক জন খ্যাতনামা মার্কিন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। টাইম মাগ্যাজিন এর এক সংখ্যায় তিনি বলেছেনঃ একজন নেতা, যিনি তাঁর সময় কাল এবং তাঁর পরবর্তী কালে দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। এটাকে যদি আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা নির্বাচনের মূলনীতি হিসাবে নেই, তাহলে আমার মতে তিনি হলেন মুহাম্মদ, তাঁর পর যীশু এর পর হতে পারে লেলিন, থাকতে পারেন মাও সেতু কিংবা জন এফ কেনেডি । যাদের আদর্শ আমার এখনও অনুসরণ করি। অর্থাৎ মুহাম্মদ(সঃ) হলেন সর্বকালের সেরা নেতা ।
Thomas Carlyle উনবিংশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ দার্শনিক, ইতিহাসবিদ এবং পণ্ডিত। তিনি একটি বই লিখেছেন “Hero prophet” অর্থাৎ Hero of Hero Prophet . নবী-রাসুলদের মধ্যে সেরা কে, কে হিরোদের মধ্যে মহা হিরো। নবী-রাসুলরা মানুষের মধ্যে সেরা এবং শ্রেষ্ঠ, এটা সকল ধার্মিক লোকেই মানে এবং বিশ্বাস করে, এখন এই সেরা দের মধ্যে সেরা কে ?? এই বিষয়টি একটি শুরাহ করতে গেলে অনেক গুলো বিষয় সামনে চলে আসে। সেই সব বিষয়ে সুক্ষ বিচার বিশ্লেষণ করা। যেমন sincerity – দিক থেকে তাঁর sincerity এর লেভেল ছিল স্বর্গীয়, এবং পরম সত্য , বিশ্বস্ততার দিক থেকে সে ছিল অনন্য অসাধারণ। A Man of Truth and Fidelity . সত্যবাদী ছিল সে তাঁর প্রতিটি কথা, কাজে এবং চিন্তায়-চেতনায়। তাঁর উপর যা নাযিল হয়েছে সে তাঁর প্রতিটি শব্দই চরম এবং পরম সততার সাথে প্রচার করেছে, নিজে পালনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছে। উন্নত চরিত্রিয় গুণাবলীর এমন এক উচ্চ লেভেলে তিনি ছিলেন, যাতে তাঁর চারিত্রিক প্রভাবে তাঁর অনুসারীরা এতই প্রভাবিত ছিল যে তাঁরা, নিদ্বিধায় তাঁদের রাসুলের জন্য জান-মাল উৎসর্গ করতে পারত। যা অন্যকোন নবি-রাসুলদের জন্য তাঁর অনুসারীরা করেনি।
আর তাঁর বিচার বিশ্লেষণে, সে নির্বাচিত করেছেন তাঁর Hero Prophet . এবং তিনি হলেন হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ)।
La Martine , এক জন বিখ্যাত ফরাসী ইতিহাসবিদ । আসুন দেখি এই ভদ্র লোক কি বলেছিলেন, আমাদের নবী করিম (সঃ) সম্পর্কে । তিনি বলেন If Greatness of Purpose , Smallness of Means , And Astounding Results , Are the three criteria of Human Genius . Who could dare to compare any Great Man in modern History with Muhammad?
Johann Wolfgang von Goethe. উনবিংশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ জার্মান কবি। যিনি জার্মান সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, একধারে একজন কবি, একজন সাহিত্যিক , একজন বিজ্ঞানী, একজন ইউরোপীয় দার্শনিক। সাধারাণত দেখা যায় যে কবি – সাহিত্যিকরাই নাস্তিক হয়ে থাকে কিন্তূ আমার জানামতে বিজ্ঞানীরা আস্তিকই হয়ে থাকে। এর কিছু কারণও আছে, বিজ্ঞানীরা সত্য অনুসন্ধান করতে করতে, আসল সত্য পেয়ে যায়। অর্থাৎ তাঁরা তাঁদের গবেষণা কর্মে আল্লাহ্র অস্তিত্ব খুজে পায়।কিন্তু সাহিত্যিকরা তো মনের স্বপ্ন রাজ্যে। কল্পনার পাখনা মেলে স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেরায়।যেখানে শুধুই কল্পনা এবং তাঁর অবাস্তব ফুলঝুরি। কিন্তূ এই জার্মান সাহিত্যিক যেহেতু একজন scientist ও ছিলেন তাই, তিনি আর নাস্তিক হতে পারলেন না। আসুন দেখি তিনি কি বলেছেন আমাদের রাসুল (সঃ) সম্পর্কে। তিনি বলেনঃ “ He is a Prophet and not a Poet. Therefore his Quran is to be seen as a Divine Law and not as a book of a Human being, Made for Education or entertainment”
R. Bosworth Smith , একজন ব্রিটিশ পণ্ডিত। তিনি বলেনঃ সে এই রকম একজন মানুষ যার মধ্যে ছিল, পোপ এবং সিজারের সম্মিলিত এক অসাধারণ রূপ। তাঁর মধ্যে আপনি পাবেন একজন পোপকে, কিন্তু যার মধ্যে নেই কোন পোপপীয় দাম্বিকতা।
তিনি একজন সিজার, যার ছিল না কোন সেনাবাহিনী, ছিলনা কোন বডিগার্ড, ছিলনা কোন রাজপ্রসাদ। অর্থাৎ আপনি যদি এমন একজন মানুষ খুজেন যার মধ্যে আপনি একজন পোপ এবং রাজা দুই একত্রে বৃদ্ধমান। যে দাম্বিকতা ছাড়া, একদল প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী,বডিগার্ড ছাড়া, এমনকি রাজ প্রাসাদ ছাড়া, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার যন্ত্রসামগ্রী ব্যাতিত তিনি দুনিয়া শাসন করে বেড়াচ্ছেন। তাহলে আপনাকে মুহাম্মদ এর নিকট যেতে হবে। কারণ এই রকম একজন ব্যাক্তি শুধু মাত্র মুহাম্মদ(সঃ) এই হতে পারেন।
George Bernard Shaw, আপন মহিমায় যিনি ভাস্কর, আপন আলোয় যিনি অন্ধকার ইউরোপকে আলোকিত করেছেন।এমনকি আমারদেশের সাধারণ মানুষও দুই একবার তাঁর নাম শুনেছেন। এই ওয়ান্ডারফুল (অসাধারণ) মানুষটির উপর আমি গবেষণা করেদেখেছি, সে কখন যীশু খ্রিষ্ট এর বিরোধী ছিলেন না। বরং আমার মতে তিনি এমন একজন যিনি মানব সম্প্রদায়ের রক্ষাকর্তা , উদ্ধারক , ত্রাণকর্তা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন ।
The Encyclopedia Britannica তাদের ১১ তম এডিশন এ বলেছিল “ Muhammad was the Most Successful of all religious Personalities.”
এবার দেখি আমাদের প্রতিবেশী কিছু ভিন্ন ধর্মের অনুসারী কি বলেন মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে। প্রথমেই এমন একজন মানুষের মন্তব্য দেখি, যার হাজার হাজার অনুসারী আছে আমার দেশে, যার আদর্শ নিয়ে আজ কাল আমাদের দেশের কিছু সু-শীল সমাজ নাড়াচাড়া করছেন, তিনি মহন চাঁদ করম চাঁদ গান্ধী যাকে মহত্মা গান্ধী নামে আমার সবাই জানি। তিনি তাঁর The Young India নামক বইতে লিখেছেঃ আমি যতই পড়ছি ততই বিস্ময়ের সাথে আবিষ্কার করছে, যে ইসলামের মুল শক্তি বা আদর্শ তলোয়ার নয়। এমনকি সংঘাত এড়ানোর জন্য তিনি তাঁর নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন কিন্তূ তাঁর পর ও তাঁর শত্রুরা যখন তাকে আক্রমণ করল তখন তিনি বাধ্য হয়ে, আত্মরক্ষার জন্য তলোয়ার তুলে নিয়েছিলেন।
তিনি আর বলেনঃ I Became more than convinced that it was not the sword that won a place for Islam in those days in the scheme of life. It was the rigid simplicity, the utter self-effacement of the Prophet, the scrupulous regard for pledges, his intense devotion to his friends and followers, his intrepidity, his fearlessness, his absolute trust in God and in his own mission.
(আমি নিশ্চিত প্রত্যয়ের সাথে বলতে পারি যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এর জীবন মুখী সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিকল্পিত জীবন ব্যাবস্থার জন্য, তলোয়ারের জোরে নয়। আর এটা হয়েছিল ছিল নবীজির পরম সরলতা, নিজেকে একদম সাধারণ ভাবে সমাজের কাছে উপস্থাপন করা, আমনত দারিতার রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ নীতিপরায়ণতা, তাঁর বন্ধুমহল এবং অনুসারীদের জন্য তাঁর প্রগাঢ় বা ঐকান্তিক ভালবাসা, তাঁর নির্ভীকতা , ভয়হীনতা , এবং তাঁর আল্লাহ্ ও তাঁর মিশনের প্রতি তাঁর পরম বিশ্বাস। এই চারিত্রিক গুণাবলী গুলোর শক্তিতেই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তলোয়ারের জোরে নয়)
ভারতে কোলকাতার একজন হিন্দু পণ্ডিত যার নাম শ্রী দিওয়ান চাঁদ শর্মা, তিনি তাঁর The Prophets of the East বইতে মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে কিছু কথা লেখেছেন তাঁর মধ্যে একটি বাক্য এই রকম “Muhammad was the soul of kindness, And His influence was felt and never forgotten by those around Him.
আল্লাহর রহমতে এবং আল্লাহর ওয়াদা অনুযায়ী দুনিয়াতে এই রকম হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে। যেখানে রাসুল(সঃ) কে, তাঁর চরম শত্রুরাই সর্ব সেরা মানুষ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।অন্যদিকে এই বিষয়ে হাজার হাজার দৃষ্টান্ত রয়ছে পবিত্র কুরআন এবং হাদীস সমূহে।
এখানে শুধু কিছু অমুসলিম মনিষীদের স্বীকার উক্তি তুলে ধরা হয়েছে। আগামী পর্বে ইনশাল্লাহ লেখার চেষ্টা করব, কুরান-হাদিসের আলোকে এবং ভাইছার লজিকের মাপকাঠিতে “ মহানবী হজরত মুহাম্মদ(সঃ) সর্বকালের সেরা মানব।
এই পর্ব শেষ করব মহান আল্লাহ্ একটি বানী দিয়ে “অমা আরসালনা-কা ইল্লা-রাহমাতাল্লিল আ-লামিন – --- নিশ্চয় আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি”। সুরা-আম্বিয়াঃআয়াত-১০৭/ ২১:১০৭
(## এই পোষ্টের সমস্ত ব্যর্থতা আমার। ভাল লাগার কিছু যদি থেকে থাকে, তবে সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্র । সমস্ত দোয়া, আমার প্রিয়, শতাব্দীর নকীব, জনাব আহমেদ দীদাত (রঃ) এর জন্য।##)
বিষয়: বিবিধ
৫৬০১ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার প্রিয় ব্লগারদের কাছে, কয়েকদিন ব্লগে আসতে পারিনি লজ্জায় তাই আপনাদের অনেক সুন্দর সুন্দর পোষ্ট মিস করেছি। কি করার আমি যে পন করেছিলাম ভিশু ভাইয়ের অনুরধ রক্ষার পরেই ব্লগে আসব!!!!!
অনেক কষ্ট করেছেন আল্লাহ এর জন্য আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে ।আমীন ।
আপু লেখাটি কি পড়া গেছে !!!! Post টি লেখার পর, আমার মনেহয়েছে এত খারাপ লিখা !!!! পড়া যাবেত !!বরাবরে মতই আমার লেখার style ওতি জগন্য।
বেশ কয়েক দিন পরে আপনার আগমন ঘটলো মনে হচ্ছে! এতো সুন্দর তথ্যসমৃদ্ধ উপস্হাপনা উপহার দেয়ার জন্যেই.......!!
ভাল লাগাময় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান হে শ্রদ্ধেয় লজিকাল ভাইছা!!
ওহে গুহাবাসী ভাই, আপনাকেও ALLAH তার রহমতের চাদরে ডেকে রাখুন । আমিন।
আপনার চমৎকার দোয়ায় আমিন ছুম্মা আমিন!
পরম করুণাময় তাঁর রহমতের বিস্তীর্ণ ছামিয়ানায় সবাই কে ঢেকে রাখুন- এই আর্জি তাঁর দরবারে!!!
অনেক ধন্যবাদ এই শিক্ষনিয় আলোচনার জন্য।
রাসুল(সাঃ) যে পৃথিবির শ্রেষ্ঠ মহামানব তা বিধর্মিরাও স্বিকার করেন। কিছু অর্ধশিক্ষিত মানুস ছাড়া!!
অনেক ধন্যবাদ এই শিক্ষনিয় আলোচনার জন্য।
রাসুল(সাঃ) যে পৃথিবির শ্রেষ্ঠ মহামানব তা বিধর্মিরাও স্বিকার করেন। কিছু অর্ধশিক্ষিত মানুস ছাড়া!!
সহমত
মন্তব্য করতে লগইন করুন