"পাবনা থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধী ট্রাইবুনাল" একটি পর্যালোচনা
লিখেছেন লিখেছেন রাজাকারের বেয়াই ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:৩৫:৫৪ রাত
২০০৫ এর শেষ দিকের কথা। তখন ক্ষমতায় বি,এন,পি-জামাত জোট। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাত্রি। বিজয়ের আনন্দে নানা কর্মসুচী শেষে ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়ে সারা দেশ। ব্যাতিক্রম ঘটেনি পাবনা পাগলা গারদের ক্ষেত্রে ও। চারদিকে নাক ডাকার শব্দ। ঠান্ডার কারনে থেমে থেমে কাশের আ,ওয়াজ ও আসছে। সবাই ঘুমের জগতে হারিয়ে গেছে। কিন্তু জেগে আছে একটি লোক। সারা দেহ তার ঠকঠক করে কাঁপছে। কিছুটা উত্তেজনায়, সাথে যুক্ত হয়েছে মাঘের কনকনে শীত। বারবার মনে পড়ছে স্বপ্নে দেখা এলোমেলো কয়েকটা চিত্র। আবেগ, উত্তেজনা যেন বেড়েই চলছে। হঠাৎ সে অনুভব করল তার চেতনার দন্ডটি শেয়ার বাজারের ন্যায় ঘনঘন উঠানামা করছে। শারা শরীরে বিদ্যুৎ চমক দিয়ে উঠল। নিজেকে মনে হতে লাগল একজন দেশপ্রেমীক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন তার দেহমনকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ভাবতেই আনন্দে নেচে উঠল দেহ-মন, সাথে চেতনার দন্ডটি ও। কিন্তু পরক্ষনেই তার সব আনন্দ যেন ফিকে হয়ে যায়। তার সামনে ভেসে উঠে নিজামী-মুজাহীদ সহ হাজার হাজার রাজাকারের পাপী মুখ। যারা শাসন করছে তার দেশকে। "রাজাকারের হাতে দেশ" কথাটা মনে হতেই এক ধরনের ঘৃনা জন্ম নেয় তার মনে। আবার প্রচন্ড ক্ষোভ ও অনুভব করে সে। নিজের অজান্তেই হঠাৎ বিছানা ছেড়ে লাফ দিয়ে উঠল সে। না! এভাবে রাজাকারদের হাতে দেশ চলতে পারে না। কিছু একটা আমাকে করতেই হবে। কিন্তু হায়! আমি যে এখানে বন্দি। বের হবার ও তো কোন সুযোগ নেই। পালানো ছাড়া যে আর উপায় দেখছি না। যেই ভাবা সেই কাজ। পরদিন কতৃপক্ষ অনেক খোজাখুজীর পর ও লোকটাকে দেখতে পেল না।
এই দিকে লোকটা পাবনা থেকে সোজা চলে আসল ঢাকার উদ্দেশ্যে। নিজের পরিচয় গোপন রেখে ময়দানে নেমে পড়ল চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষয়ে। চষে বেড়ালেন দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত। এভাবে কেটে গেল ৪ বছর। ক্ষমতায় আসল লীগ সরকার। লোকটা খুশী না হয়ে পারল না। কারন, তার চেতনা বাস্তবায়নের জন্য এটাই যেন মোক্ষম সময়। প্রথমেই সে কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে নিজের মতবাদের দিকে তাদের আকৃষ্ট করে। পরে দেখা করে কয়েকজন আইনবীদের সঙ্গে। তাদের সামনে নিজের পরিকল্পনার কথা পেশ করে। মোটামুটি সাড়া পড়ে যায় সর্বত্র। সবার ভিতরে চেতনার আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠে। আগুনের লেলীহান শিখা যেন বাংলার আকাশকে ভস্ম করে দেবে!! সবার উত্তেজনা যখন এক সমান্তরালে চলে আসল এইবার লোকটি প্রস্তাব দিল "আন্তর্জাতিক অপ্রাধ ট্রাইবুনাল" নামে একটি আদালত প্রতিষ্ঠা করতে। প্রস্তাব দিতে যতটা সময় লাগে বাস্তবায়ন করতে ততটা সময় আর লাগে না! গঠিত হল "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল". সেখানে বিচারক নিয়োগের ব্যাপারে ও লোকটার পছন্দকে প্রাধান্য দেয়া হয়। পাবনায় তার কিছু সহকর্মী ছিল। যারা যোগ্যতায় যেন তাকে ও ছাড়িয়ে যাবে(?). তাদের এনে নিয়োগ দেয়া হল ট্রাইবুনালে। শুরু হল বিচারকার্য। এরি ফাঁকে লোকটার সাথে পরিচয় হয় এমরান ও লাকীদের। শাহবাগে ফুসকাঅস্টল, কফি হাউসে তাদের প্রায় সাক্ষাৎ হয়, কথা হয়। এভাবেই আর কি? দিন চলছে,,,,,,,,,,,,
বর্তমান ট্রাইবুনালের সাথে কল্পিত গল্পটির মিল খুজে পেতে পারেন। কেউ না পেলে ও আমি অন্তত এর বিপরীত কিছু দেখছি না।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন