ঘটনাটি পড়ুন, বিবেকবানদের জন্য শিখার অনেক কিছুই আছে

লিখেছেন লিখেছেন রাজাকারের বেয়াই ২৮ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:২৪:০৬ দুপুর

আজ থেকে দশ বছর পুর্বে ৫ দিনের জোড়ে বয়ান করছিলেন

এক বয়োব্রিদ্ধ মুরব্বী। মুরব্বী ঝালকাঠি জেলার আমীর।

বয়ানের এক পর্যায়ে তিনি হঠাৎ ডুকরে কেদে উঠলেন। ধীরে ধীরে

মুরব্বীর গলা ধরে আসলো। গলায় ঝুলে থাকা সাদা রুমালে

অশ্রুসজল মুছে আজীব এক কাহিনীর

বিবরণ দিলেন্মুরব্বী।কাহিনী শুনে সমবেত ৫০ হাজার দ্বীনের

দ্বায়ী

ও নিজের চোখের

পানি আটকিয়ে রাখতে

পারেনি।

মুরব্বী বললেন- ঝালকাঠি জেলায় সর্ব প্রথম

যখন তাবলীগের জামাত

গিয়েছিলো

তখন তাবলীগ বিদ্বেষী

এলাকার এক তরুণ জামাতের উপর

ভিষন ক্ষেপে উঠলো। সময়টা ছিলো প্রচন্ড শীতের।

তরুণ মনে মনে বুদ্ধি বের

কর্লো (নবীজীর দুশমন)(!) এই

তাবলীগের

লোকদেরকে কিভাবে

শাস্তি দেয়া যায়। মসজিদে ডুকে

জামাতের লোকদের হাড়ী-

পাতিল,

বিছানা-পত্র সব কেড়ে নিয়ে

নৌকায় তুলে মাঝ

নদীতে ফেলে দিলো তরুণটি।

এতে জামাতের

সাথীরা কাকরাইল

ফিরে আসতে আমীর সাহেবকে

পরামর্শ দিলে আমীর সাহেব

বললেন- আমি নিশ্চিত এই তরুণটির অন্তরে

নবীজীর প্রতি সীমাহীন

ভালোবাসা

আছে।কেউ না কেউ তাকে ভুল

শিক্ষা

দিয়েছে "তাবলীগের লোকেরা নবীজীর

দুশমন।" ফলে তরুণটি

নবীজীর ভালোবাসায় সিক্ত

হয়ে আমাদের বিরোধীতা

করছে।অথচ বেচারা জানেনা

এতে সে নবীজীর দুশমন হতে চলেছে।আসুন আজ রাতে আমরা

সকলে মিলে তরুণটির

হিদায়াতের

জন্যে দুআ করি।

পুরো দিনের উপোস সকল মজলুম

সাথী তার উপর প্রচন্ড শীতের রাতে অযু করে আরশের

মালিকের

সামনে দন্ডায়মান হলে

অবস্তা কি হবে আপনারা নিজেই

অনুমান করতে পারছেন। *

ফজরের নামাযের পর আমীর সাহেব মসজিদের এক কোণে

বসে মুজাকারা করছেন-

এমন সময় উক্ত তরুণ এসে

অনুতপ্ত হয়ে সকল সাথীর

পায়ে ধরে ক্ষমা চাচ্ছে

আর বলছে-আমি পুরো রাত ঘুমাতে

পারি নাই এই

ভেবে যে আপনাদের

আসবাব-পত্র নদীতে না ফেলে

আমাদের এলাকা থেকে বের

করে দিলেই পারতাম।

আপনারা আমাকে

ক্ষমা করুন।

আমীর সাহেব বললেন-

ক্ষমা কর্বো যদি আপনি

আমাদের সাথে ৪০ দিন মসজিদে

মসজিদে ঘুরেন।

আমীর সাহেবের কথায় তরুণটি

রাজী হয়ে গেলো।

রাজী হবে না কেনো ? রাতে

জামাতের সব সাথী মিলে আল্লাহর

নিকট থেকে তার হিদায়াতের

ফায়সালা করে নিয়েছেন।

আর তার নিজের বাড়ী

থেকে জামাতের সকল সাথীর

হাড়ী-পাতিল বিছানা-পত্র আর ৪০ দিনের মেহমানদারীর

ইন্তেজাম করলো।

এই তরুণটি বর্তমানে

বয়োব্রিদ্ধ হয়ে গেছে।

আজীব কথা হলো -তরুণটি

এখন ঝালকাঠি জেলা তাবলীগ জামাতের আমীর।

এখানে এসে মুরব্বী থামলেন-

তারপর সমবেত ৫০ হাজার

শ্রুতাদেরকে উদ্দেশ্য করে

বললেন-

আপনারা কী এই মুহুর্তে সেই তরুণটিকে দেখতে চান ?

উপস্তিত সকলে হ্যা সুচক

জবাব দিলে মুরব্বী নিজের

দিকে

ডান হাত

দিয়ে ইশারা করে বলেন আমি নিজেই সেই তরুণ।যার

হাতে

তাবলীগ জামাতের

সামানা নদীতে

ফেলা হয়েছিলো।

বিষয়: বিবিধ

১৩০০ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

278878
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
কাহাফ লিখেছেন :
'আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না,তদ্রুপ যাকে তিনিঁ গোমরাহ করেন কেউ তাকে হেদায়েতের পথে আনতে পারে না।'
আল্লাহর কাছে বেশী বেশী হেদায়েতের দোয়া করা চাই আমাদের .....
278879
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
মামুন লিখেছেন : লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
278891
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
খান জুলহাস লিখেছেন : কঠিন ভণ্ড
278894
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
খান জুলহাস লিখেছেন : ব
278895
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
খান জুলহাস লিখেছেন : দু:খিতঃ উপরের কমেন্টস করার জন্য।
278896
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
ডাহুকী লিখেছেন : নবীদের কাজ (পবিত্র কোরানের আলোকে)
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ওহী মানুষের নিকট পোৗছে দেওয়া (৫ আল মায়েদা-৬৭)
২. আল্লাহর আয়াত পড়ে শোনানোর মাধ্যমে শিক্ষাদান করা (৬২, আল জুময়াহ-২, আল বাকারা-১২৯ এছাড়া ৭ আল আরাফ-৩৫ আল ইমরান-১৬৪)
৩. আল্লাহর কোরানের সাহায্যে জাতিকে সতর্ক করা। (২৫ আল ফুরকান-১, ৩৫ ফাতির-২৩, ৫৩ আন্ নাজম-৫৬, ৭১ নূহ-১-২, ৭ আল-আ’রাফ-২এবং ৬৭, ৪৬ আল আহক্বাফ-৯, ৫১ যারিয়াত-৫১, ৬৭ আল মূলক-২৬, ২২আল হাজ্ব-৪৯, ৩৮ ছোয়াদ-৬৫, ৫০আল কাফ-২, ৭৪ মুদ্দাছ্ছির-২, ৩৪ সাবা-৪৬, )
৪. জাতিকে সুসংবাদ দেয়া এবং সতর্ক করা। (৩৫ ফাতির-২৪, ৩৩ আল আহযাব-৪৫, ৪৮ আল ফাতাহ-৯, ১৮আল কাহ্ফ-৫৬, ১১ হুদ-২)
৫. দু:খ, কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করা (২ আল বাকারা-২১৪)
৬. ওহীর অনুসরণ করা (৪৬ আল আহক্বাফ-৯)
৭. দ্বীন কায়েম করা (৪২ আশ্-শূরা-১৩)
৮. নবীদের শত্র“ ছিল (২৫ আল ফুরক্বান-৩১)
৯. অপবাদ শোনা (নেতৃত্বের লোভ: ২৩ আল মুমিনূন-২৪ মিথ্যেবাদী : ৬ আন আম-৩৪, ৭ আল-আ’রাফ-৬৪, ৩৬ ইয়াসিন-১৪)
১০. বিনিময় না নেয়া (৩৬ ইয়াসিন-২১)
১১. দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) বিজয়ী করা (৯ আত্ তাওবাহ-৩৩, ৬১ আস্ সফ-৯)

আসুন আমরা সবাই নিজেদের আমলকে পবিত্র কোরানের সাথে মিলিয়ে নিই।
আমরা যারা নিজেকে নবীওয়ালা বলে দাবি করি দয়া করে আমাদের আমলকে পবিত্র কোরানের সাথে মিলিয়ে নিই।
278904
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
278917
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
আফরা লিখেছেন : কাহীনি ভাল কিন্তু বেয়াদবী মাফ করবেন একটা প্রশ্ন না করে থাকতে পারলাম না । প্রতি বছর বাংলাদেশে তাবলীকের যেই বড় ইস্তেমা হয় সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ মিলে মোনাজাত হয় । তাহলে বাংলাদেশে এখনো ইসলাম কায়েম হয় না কেন বা মানুষ হেদায়াত পাচ্ছে না কেন ?
২৮ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
222651
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : এটা এমনই একটা প্রশ্ন, প্রত্যেক পক্ষই একে অপরকে ঘুরিয়ে করতে পারে, অনেকটা গোলকধাঁধার মতো। যেমন, তাবলিগের একজন সাথী আপনাকেও এটা ঘুরিয়ে করতে পারে, যারা আপনারা রাজনীতি করেন বা সমর্থন করেন, এটাকে হক্ব দাবী করেন, এবং নিশ্চয়ই এই দেশের উপর আপতিত মুসিবত দূরের দুআ করেন, তাহলে আপনাদের টা কেন কবুল হয় না? দুআ কবুল কখন করবেন, কেন করবেন তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। মুসলমানের কাজ দুআ করে যাওয়া, কবুল হওয়ার উপযুক্ত সময় ও শর্ত পালন হলেই কবুল হবে।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
222676
আফরা লিখেছেন : আমি কোন রাজনীতি করি না ভাইয়া আমি শুধু সরল মন থেকেই গল্পটা আমার মনে উদয় হওয়া প্রশ্নটা করেছি ।@চিরবিদ্রোহী ভাইয়া
278946
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৮
রাজাকারের বেয়াই লিখেছেন : ঘটনাটি না বুঝেই আপনারা কমেন্ট করছেন, ভালো করে পড়ার অনুরোধ রহিল।
এখানে যেই বৃদ্ধ ঘটনা বর্ননা করছেন তিনি ছিলেন সেই বাধাপ্রদানকারী যুবক।
আর তাবলীগের লোকেরা বাধা দেন নাই এই কারনে যে সেখানে তারা গিয়েছেন দ্বীনের প্রচারে, ঝগড়া করতে নয়, আর সেই ফল তো তারা ফেলেন।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
222630
বেআক্কেল লিখেছেন : সমস্যা তো সেইহানে হইছে, আমনে বৃদ্ধার কথা ভাল করে না বুঝে লিখেছেন, তাই একন আমনের কথা কেউ বুঝিছেন না, ফলে আমার মন্তব্যের কথা না বুইঝা আমার কমেন্স খানিও মুইছা দেওয়া হইল, এইভাবে কেয়ামত পর্যন্ত চলিলে তো কাম হইবে না।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৩
222652
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ঘটনাটা আসলেই অস্পষ্ট। আরেকটু গুছিয়ে লিখলে বিষয়টা সকলে সহজেই বুঝতে পারতো।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:২২
222671
বেআক্কেল লিখেছেন : আমি সকালে একখান লম্বা কমেন্টস দিছিলাম, তিনি কোন উত্তর না দিয়া আমার কমেন্টস খানা মুইছা দিছেন। তিনি পোষ্ট দিছেন মন্তব্য পাইবার জন্য। আমিতো কুন গালাগালি করি নাই। তিনি উত্তর না দিলে পারতেন কিন্তু মুইছা দিলেন কেন। সেই খানে আমার কতা আর উত্তর ছিল। তিনি আমার মন্তব্য পইড়া মুইছা দিছেন উত্তরটাতে ওনার কথার জওয়াব ছিল। আমনে পরে আইছেন তাই দেখবার পারেন নাই, তাই বুঝেন নাই। হগলকে আল্লাহ ভাল রাখুন।
১০
278956
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
বেআক্কেল লিখেছেন : আপনি আমার কমেন্টখানি মুইছা দিলেন কেন? মিথ্যা কাহিনী ধইরা দিছি বলেই কমেন্ট মুইছা দিলেন? এইভাবে ইসলামের প্রচার করবার লাগি রাস্তায় নামছেন। যার কমেন্ট পছন্দ তারে ধইরা রাইখবেন, যারটা অপছন্দ সেইটা ছাপ ছুতুর কইরা নিজে ইমানদার সাজিবেন। আমিতো এই কথাডাই মনে করাইতে চাইয়াছিলাম।
১১
278976
২৮ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
রাজাকারের বেয়াই লিখেছেন : ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে ঝালকাঠির সেই মুরুব্বী এখনো জিবিত আছেন, ঝালকাঠির বর্তমান তাবলীগের আমীর তিনি, এবং সেই মঝলিসে যারা উপস্থিত ছিল, সেই এলাকার যারা আছেন আপনি কষ্ট করে তাদের নিকট খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। আর যদি এতটুকু কষ্ট করতে না পারেন তাহলে বুঝব আপনি খামাখায় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন।
আপনার কমেন্ট ডিলেট করলাম, যেহেতু আপনি না বুঝে একজন মানুষের ব্যাপারে অপবাদ জুড়ে দিয়েছেন।
১২
278978
২৮ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৫
রাজাকারের বেয়াই লিখেছেন : ঘটনার অস্পষ্টতার কিছুই দেখছি না, বর্তমান যেই বৃদ্ধ লোকটি ঘটনার বর্ননা দিচ্ছেন তিনি ছিলেন সেই বাধা প্রদান কারী যুবক, আর তখনকার আমীর ছিলেন অন্য আরেকজন, আর বর্তমান আমীর সেই যুবক লোকটি যিনি বৃদ্ধ হয়ে সেই ঘটনার বর্ননা দিচ্ছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File