ধ্বংসের মুলে তারেক রহমান ..................সুমন মনির
লিখেছেন লিখেছেন রবিন মৌলবাদী ৩১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৬:৫৩:০১ সন্ধ্যা
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডিন্ট জিয়াউর রহমানের সততা,নিষ্ঠা ও ন্যয়পরতার নীতি বিএনপিকে গণ মানুষের দলে পরিণত করেছিল।জিয়াপুত্র তারেক রহমানের কারণে সেই গণমা্নুষের দলটি আজ প্রায় দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে।২০০১-২০০৬ সরকারের সবচেয়ে সমালোচিত হাওয়া ভবনের সৃষ্টি ছাড়া দেশের কল্যাণে তার কোন অবদান জাতি দেখেনি।এই হাওয়া ভবন নিয়ে অনেক কথা রয়েছে।কোন এক কাজে বিলম্বে উপস্থিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে সেই সময় হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমান ২ঘন্টা ওয়েটিং পানিশমেন্ট দিয়েছিলেন।হাওয়া ভবনে নাকি তার সামনে সবাইকে বসতে দেয়াও হতনা।ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের সদ্য প্রকাশিত বইতে ও এ ভবনের অনেক সমালোচনা করা হয়েছে।
গত জোট আমলে রাস্তার ধারের গাছকে পানির দামে বিক্রি করে কমিশন খেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরূদ্ধে।বিদ্যুতের খাম্বা বানিজ্য ও করেছিলেন সে সময় রমরমা ভাবে।মানি লন্ডারিং এর এক মামলা হতে খালাশ পাওয়া প্রমাণ করেনা যে এ সময়ে বিদেশী জীবন যাপনে ব্যয়িত তার সকল অর্থ বৈধ।চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা শমসের মবিনের সাথে স্কাইপি কথোনে ও দেখেছি সিনিয়র নেতাদের প্রতি তার কেমন অশ্রদ্ধাবোধ।বিশ্বাসযোগ্য সুত্রমতে,ওয়ান ইলেভেনে গ্রেপতার হওয়ার পর জৈনক সেনা কর্মকর্তা তারেক রহমানের কোমরে তাইতো লাত্থি মেরে বলেছিলেন 'তুই আমাদের স্যারের কুলাঙ্গার ছেলে'।
তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি পরিচালিত হয়ে আজকে দলটির যে করুণ দশা জোট নিয়ে তার নীতি এ দেশের নির্যাতিত,নিপিড়ীত মানুষকে আরো হতাস করে তুলেছে।কিছুদিন আগে ধর্মীয় রাজনীতি নিয়ে তিনি মন্তব্য করে বামদের মন জয় করতে চেষ্টা করেন।যে বাম নেতারা তার মা বেগম খালেদা জিয়া কে ধাক্কা দিয়ে রাজনীতির মাঠ হতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়।
মুলত তারেক রহমানদের পরিচালিত বিএনপি এখন পুরো জাতির কাছে অনাস্থা ও হতাসার দলে পরিণত হয়েছে।দলটি এখন বড় ছোট সকল ইস্যুতে সঠি্ক সিদ্বান্ত নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।পাঁচ জানুয়ারির পর আন্দোলন বন্ধ করে কুটনীতি নির্ভরতাও ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী সরকারের স্পীকার শিরিন শারমিন সুলতানা ও সাবের হোসেন চৌধুরীর জয় এবং জাতিসংঘ মানবধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভ প্রমাণ করে বিএনপির কুটনৈতিক তৎপরতাও নিস্ফল।
জোট ও দলের নীতিগত সিদ্বান্ত নিতে ও পদে পদে ভুল করছে লন্ডন হতে পরিচালিত বিএনপি।গণমাধ্যমে দেখেছি তারেক রহমানের সিদ্বান্তেই নাকি অধ্যাপক গোলাম আজমের মৃত্যুতে বিএনপির সিনিয়র কেউ জানাযায় যায়নি বা শোক ও জানায়নি।অথচ রাজনীতির একই মঞ্চে বসেই গোলাম আজমদের সাথে রাজনীতি করছে বিএনপি।একই টেবিলে বসে যদি রাজনৈতিক স্বিদ্ধান্ত নেয়া যায়,খাওয়া যায়,পথ চলা যায় তাহলে জানাযায় যেতে বাধা কিসের?
এর আগে কাদের মোল্লার ফাঁসির দন্ডকে বানকি মুন,জন কেরি সহ আন্তর্জাতিক অনেক মহল অন্যায় দন্ড বললেও বিএনপির মুখে ছিল মস্ত বড় এক তালা।সেগুলো নাকি বিএনপির কৌশল।কেমন কৌশল এগুলো?কি অদ্ভুদ বিএনপি নীতি!
যাহোক,এর আগে ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বিএনপি-জামাতের দ্বন্ধ যেমন আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে,তেমনিলন্ডন হতে পরিচালিত রুগ্ন বিএনপি জামায়াতের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বাকশালীদের মসনদই স্থায়ী করে দিচ্ছে কিনা এখন এই আশঙ্কা করছে জনগণ।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=814692641920684&set=a.357897044266915.82546.100001398686008&type=1&theater
বিষয়: রাজনীতি
১০৫০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন