চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ -১
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ইসলাম গাজী ২৪ জুলাই, ২০১৫, ০৭:৫৬:০৯ সকাল
”ওগো আমার মাশুক মাওলা!
আপনি আপনার কুদরতি নজরে আমার দিকে চাহিয়া দেখুন,
আমি এখন আমি নাই,আমি আপনি হইয়াছি,
আর আপনি আমি হইয়াছেন;
আমি হইয়াছি তন, আপনি হয়াছেন জান” (নাউজুবিল্লাহ)
(সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪১)
পীর সাহেবের এই আকীদার নাম হলোঃ “হালুল” বিভ্রান্ত সূফীদের একটি জঘন্য শিরকি আকীদাহ এটি, ‘হালুল’ বলতে তারা(বিভ্রান্ত সুফিরা) বুঝায় যে, আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার মধ্যে প্রবেশ করেন (নাউযুবিল্লাহ), এই ‘হালুল’ এর আকীদার প্রবরতক হলোঃ “হোসাইন বিন মানসুর আল-হাল্লাজ” নামক এক জালিম, এই জামিল নিজেকে হক্ক বা আল্লাহ বলে দাবী করেছিল, এবং সে বলতো যে তার বাহ্যিক রুপ তার অন্তরের রুপকে সিজদাহ করে কেননা তার বিশ্বাস ছিল যে, সে বাহির থেকে মানুষ কিন্তু ভিতর থেকে আল্লাহ।(নাউযুবিল্লাহ) তার এই শিরকি আকীদার জন্য তাকে কেটে ঝুলিয়ে রাখা হয় অতঃপর তাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঠিক একই আকীদা পীর সাহেব থেকেও পাওয়া যাচ্ছে, তাই পীর সাহেবকেও মানসুর হাল্লাজের মত শাস্তি দেওয়া উচিত, যাই হোক পীর সাহেবতো এটাও জানেন না যে, তিনি মুসলিম না অগ্নিপুজক!!!
মুসলিমরা জানেন যে, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হলেন রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যদি আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের মধ্যে প্রবেশ করতেন তাহলে তিনি রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যেই প্রবেশ করতেন, মুসলিমরা জানেন যে কোন সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর প্রবেশ করা আল্লাহর শানের বা সম্মানের বাহিরে।
পীর সাহেবের সম্পর্কে কোরআনের দুটি আয়াত উল্লেখ করলামঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
”তারা আল্লাহ্র যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না। কিয়ামতের দ্বীন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে থাকবে, আর আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। মাহাত্ম তাঁরই, তারা যাদেরকে তাঁর শরীক করে, তিনি তাদের থেকে বহু উরধে” সুরা আয-যুমার আয়াত নঃ ৬৭
”আর তিনি মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিকা নারী, মুশরিক পুরুষ ও মুশরিকা নারীকে শাস্তি দিবেন যারা আল্লাহ্ সম্পর্কে খারাপ ধারনা পোষণ করে। তাদের জন্য আছে অশুভ চক্র। আল্লাহ্ তাদের উপর রাগান্বিত হয়েছেন আর তাদেরকে লা’নাত করেছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জাহান্নাম। তা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল” সুরা আল-ফাতহ আয়াত নঃ ৬
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেহেতু পীরের সন্তানদের কাছে প্রকৃত পীরের মত জ্ঞান থাকেনা, তাকওয়া থাকেনা, আমল থাকেনা তখন তারা আগত মুরিদদের ধরে রাখতে নানা কিসসা-কাহিনী বানিয়ে নেয়। কিসসা চিন্তা থেকেউ উৎপত্তি হয়, আর চিন্তায় ভাগ বসায় শয়তান। সেহেতু তাদর বানানো কাহিনী গূলো কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী হয়ে যায় এবং একেশ্বর বাদে কুঠারাঘাত করে। তাই দেশের সকল পীরের গতি একই জায়গায় গিয়ে থেমে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন