স্বামীর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য স্ত্রীকে কতিপয় উপদেশঃ

লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ইসলাম গাজী ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:২৭:১০ বিকাল

১)    বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে কপালে চুম্বন করা।

২)    স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস’ থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা।

৩)   সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা। সম্মান ও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা।

৪)   স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।

৫)   সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা।

৬)    স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া। মাসিক ঋতুর সময়ও সুসজ্জিত অবস্থায় থাকা।

৭)   স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে।

৮)   সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা।

৯)    নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ করবে না।

১০)  সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।

১১)  কখনো স্বামীর আভ্যন-রীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেন, “তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না। (সূরা হুজুরাত -১৩) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। (বুখারী, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/৪৭৪৭।)

১২)  স্বামী কখনো রাগম্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। সম্ভব হলে তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে নাহক রেগে থাকে তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে সমঝোতার ব্যবসন্তা করা।

১৩)  স্বামীর মাতাকে নিজের পক্ষ থেকে (সাধ্যানুযায়ী) কিছু হাদিয়া-উপহার প্রদান করা।

১৪)  সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর অভাব অনটনের সময় তাকে সহযোগিতা করা। উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (আমার স্বামী) আবু সালামার সন্তানদের জন্য যদি আমি অর্থ ব্যয় করি তবে কি তাতে আমি প্রতিদান পাব। ওদেরকে তো এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। ওরা তো আমারও সন্তান। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি যে পরিমাণ তাদের জন্য সম্পদ খরচ করবে, তোমাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)

১৫)  স্বামীর নির্দেশ পালন, তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করা।

পরিশেষে দুয়া করি, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে পরিবারগুলোকে যে সুখ-সম্ভারে ভরে দেন এবং সেখান থেকে সকল অশান্তি দূর করে দেন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

২১৭৯ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

291214
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : এ পোস্ট স্ত্রীদের এতদিনে গড়ে তোলা সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিবে ।
291223
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৭
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : অত্যন্ত ভালো লেখা। আমার ব্লগে আমন্ত্রন রইল।
291228
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
আবু মারইয়াম লিখেছেন : কমপ্লেইস এর বাক্স বন্দী রাখলে পেট ফুলে মারা যাবে মেয়েরা! নিজেদের স্বার্থের বা ইচ্ছার একচুল এদিক ওদিক হইলে সব গুলাই ফেলে!
291261
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : ভালো পরামর্শ। তবে ছেলেদেরও স্ত্রীদের সবসময় চুম্বন করা দরকার। নইলে ভালোবাসা উধাও হয়ে যাবে।
291271
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : এই ধরনের স্ত্রী সম্ভবত এই পৃথিবীতে একজনই ছিলেন, তিনি হচ্ছেন, হযরত খাদিজা (রা.)।
291307
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৭
নিমু মাহবুব লিখেছেন : একপেশে লেখা। Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose
০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
235064
চলাচল লিখেছেন : একপেশেই তো হবার কথা - স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় বিষয়ে লেখা যেহেতু।

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর করণীয় বিষয়ে যখন লেখা হবে তখন আবার অন্যপেশে হবে।
291312
০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৯
ভিশু লিখেছেন : ভালো ... Happy Good Luck
291445
০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
চলাচল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File