হযরত আইয়ূব (আলাইহিস সালাম)

লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ইসলাম গাজী ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:০৪:৫৬ সকাল



হযরত আইয়ূব (আঃ) ছবরকারী নবীগণের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় এবং অনন্য দৃষ্টান্ত ছিলেন। ইবনু কাছীরের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ইসহাক (আঃ)-এর দুই যমজ পুত্র ঈছ ও ইয়াকূবের মধ্যেকার প্রথম পুত্র ঈছ-এর প্রপৌত্র ছিলেন। আর তাঁর স্ত্রী ছিলেন ইয়াকূব-পুত্র ইউসুফ (আঃ)-এর পৌত্রী ‘লাইয়া’ বিনতে ইফরাঈম বিন ইউসুফ। কেউ বলেছেন, ‘রাহমাহ’। তিনি ছিলেন স্বামী ভক্তি ও পতিপরায়ণতায় বিশ্বের এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশে তিনি ‘বিবি রহীমা’ নামে পরিচিত। তাঁর পতিভক্তি বিষয়ে উক্ত নামে জনপ্রিয় উপন্যাস সমূহ বাজারে চালু রয়েছে। অথচ এ নামটির উৎপত্তি কাহিনী নিতান্তই হাস্যকর। পবিত্র কুরআনে সূরা আম্বিয়া ৮৪ আয়াতে (‘আমরা আইয়ূবকে…. আরও দিলাম আমার পক্ষ হ’তে দয়া পরবশে’) বাক্যাংশের ‘রাহমাতান’ বা ‘রাহ্মাহ’ শব্দটিকে ‘রহীমা’ করে এটিকে আইয়ূবের স্ত্রীর নাম হিসাবে একদল লোক সমাজে চালু করে দিয়েছে। ইহুদী-নাছারাগণ যেমন তাদের ধর্মগ্রন্থের শাব্দিক পরিবর্তন ঘটাতো, এখানেও ঠিক ঐরূপ করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ যেন বলছেন যে, আইয়ূবের স্ত্রী রহীমা তার স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। পরে আমরা তাকে আইয়ূবের কাছে ফিরিয়ে দিলাম’। বস্ত্ততঃ এটি একটি উদ্ভট ব্যাখ্যা বৈ কিছু নয়। মূলতঃ আইয়ূবের স্ত্রীর নাম কি ছিল, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য কুরআন বা হাদীছে নেই। এ বিষয়ের ভিত্তি হ’ল ইহুদী ধর্মনেতাদের রচিত কাহিনী সমূহ। যার উপরে পুরোপুরি বিশ্বাস স্থাপন করাটা নিতান্তই ভুল। তাফসীরবিদ ও ঐতিহাসিকগণ আইয়ূবের জনপদের নাম বলেছেন ‘হূরান’ অঞ্চলের ‘বাছানিয়াহ’ এলাকা। যা ফিলিস্তীনের দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর দামেষ্ক ও আযরূ‘আত-এর মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত।

পবিত্র কুরআনে ৪টি সূরার ৮টি আয়াতে আইয়ূব (আঃ)-এর কথা এসেছে। যথা- নিসা ১৬৩, আন‘আম ৮৪, আম্বিয়া ৮৩-৮৪ এবং ছোয়াদ ৪১-৪৪।

বিষয়: বিবিধ

১২৪০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

281024
০৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১২
কাহাফ লিখেছেন :
ধর্মীয় আক্বিদা সম্পৃক্ত নয় এমন ক্ষেত্রে ইয়াহুদী বর্ণনা অনেক জায়গায় গ্রহন করা হয়েছে ইসলামে।
আপনার আলোচনা বিষয়টা কে ক্লিয়ার করলো না!
'রহীমা'নাম চুড়ান্ত ভূল হলে সঠিক নাম টা উল্লেখ করা জরুরী ছিল লেখনীতে!
০৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২২
225019
এস এম আবু নাছের লিখেছেন : কাহাফ ভাই, উনার কথা ঠিক আছে। রহীমা নামটি কুরআনুল কারীম বা সহীহ হাদীসের কোথাও পাওয়া যায়না। আর যেটি নেই সেটি উনি বলবেন কীভাবে? আর উনার এই কথার রেফারেন্স হল- ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১/২০৬-১০ পৃঃ; কুরতুবী, ছোয়াদ ৪১।

আর উনি লেখাটি দিয়েছেন সম্ভবত আসাদুল্লাহ আল গালিব স্যারের নবীদের কাহিনী শীর্ষক বই থেকে।

আপনি চাইলে পুরোটা পড়তে ও জানতে পারবেন নিচের লিঙ্ক থেকে- http://www.at-tahreek.com/nobider_kahini/12.html
০৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
225025
কাহাফ লিখেছেন :
শুকরিয়া শ্রদ্ধেয় এসএমআবু নাছের ভাই!
তথ্য ভিত্তিক প্রতি মন্তব্যের জাযাহ আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই দিবেন,আমিন।Good Luck Good Luck
281065
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩২
মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটি পড়লাম। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File