ইসলামই ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে বড় নিরাপত্তাকবচ
লিখেছেন লিখেছেন অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার ১১ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৫৩:১৬ বিকাল
ধর্মনিরপেক্ষতাকে যদি রাষ্ট্র থেকে ধর্ম উচ্ছেদ না বুঝিয়ে পরধমূসহিষ্ণুতা ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে সহ-অবস্থানের কথা বোঝায় তাহলে এই প্রকারের ধর্ম নিরপেক্ষতার নজির অতীতে খৃষ্টানপ্রধান ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোতে তো ছিলই না, এমনকি বর্তমান ইউরোপ-আমেরিকার সেকুলার রাষ্ট্রগুলোতেও নেই। বারো ও তেরো শতকে ইসলাম ও মুসলমানদেন নিশ্চিহ্ন করার জন্য ইউরোপীয় খৃষ্টান রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত ক্রুসেডের ইতিহাস এবং পনেরো শতকে স্পেনে লাখ লাখ মুসলিম ও ইহুদী নিধনের ইতিহাস সকলেরই জানা। আজকের আধুনিক সেকুলার ইউরোপ-আমেরিকায় পরধর্ম বিশেষত ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি রাষ্ট্রীয় আচরন কীরকম সেটি কারও অজানা নয়। ফ্রান্সের মত তথাকথিত অবাধ গনতন্ত্রের দেশে বংশানুক্রমিকভাবে বসবাসকারী মুসলিম নারীদের পোশাক হিজাব নিষিদ্ধ। অন্যদিকে আরেক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতের ইতিহাস পুরোটাই হলো পরধর্মবিদ্বেষ ও ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ধ্বংস করার ইতিহাস।
মানব ইতিহাসে ধর্ম নিরপেক্ষতার সবচেয়ে বড় উদাহরন পাওয়া যাবে ইসলামে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একজন মুসলমানের চেয়ে বেশী নিরাপদ আর কেউ হতে পারেনা। হযরত মুহাম্মাদ (সা মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য যে সনদ দিয়েছিলেন, তার মতো মানবতাবাদী সনদ বা চার্টার আজ পর্যন্ত কোথাও পাওয়া যায়নি।
আমাদের দেশেও ইসলামপন্থীরা হলেন ভিন্নধর্মীদের জন্য সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা কবচ। অামাদের আদর্শিক প্রতিপক্ষরা যাই বলুক না কেন, এটাই অনিবার্য বাস্তবতা। উদাহরন দিয়েও বলা যায়, সমাজকল্যান মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় আমার বাবা মাদারীপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। আর ফরিদপুর হলো তার নিজের জেলা। যারা বাংলাদেশে হিন্দুদের উৎসব সমন্ধে খোঁজ রাখেন তারা জানেন, বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে হিন্দুদের পুজা অনেক বর্নাঢ্যভাবে পালিত হয়। আমার বাবার মন্ত্রীত্বকালীন সময়ে (২০০১-২০০৬) এই দুইজেলার হিন্দুরা সবচেয়ে শান্তিতে পালন করেছে। বহু হিন্দু নেতা আমাকে বলেছেন, আমরা আপনার বাবার কাছে যেমন নিরাপত্তা পেলাম, আমাদের চৌদ্দ পুরুষ এত শান্তিতে, এত নিরাপত্তায় পুজা করতে পারেনি।
এতকিছুর পরও, আমাদের বিরোধীরা ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ দেয়। আমি এটা নিয়ে মোটেও শংকিত নই। কারন আমি জানি সত্য একদিন প্রকাশ হবেই। কারন ভিন্ন ধর্মের মানুষকে যদি শান্তিতে, নিরাপত্তায় রাখতে হয়, তাহলে ইসলামের কাছেই আমাদের ফিরে আসতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
-----লিখেছেন আলী আহমাদ মাবরুর
জনাব আলী আহসান মো: মুজাহিদের ছেলে
বিষয়: বিবিধ
১২০৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন