এক ‍মুরগী কয়বার জবাই করা যায়?? এক অভিযোগে কতজনকে কতবার শাস্তি দেয়া যায়?

লিখেছেন লিখেছেন অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৩৭:৫৫ দুপুর

জনাব আলী আহসান মো: মুজাহিদের বিরুদ্ধে ৩য় অভিযোগটি ছিল ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত কুমার নাথ ওরফে বাবু নাথকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ। স্বাক্ষী রঞ্জিত কুমার নাথ এই ট্রাইবুনালে জবানবন্দি দেয়ার আগে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জনাব আব্দুর রাজ্জাক খানের কাছে কোন জবানবন্দি দেননি। মূলত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে নূর হোসেন, যিনি আবুল কালাম আজাদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি ঐ মামলারও স্বাক্ষী। তিনি ঐ মামলায় দেয়া জবানবন্দিতে তার অপহরনের সাথে আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকেই জড়িত করেছেন।

জবানবন্দিতে স্বাক্ষী রঞ্জিত বলেন, গ্রাম দিয়ে আমি যখন পূর্ব খাবাশপুরে হবি মাতব্বরের দোকানের সামনে আসি তখন হবি মাতব্বর আমাকে মুক্তিবাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করে আমাকে ধরে আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, আবুল মিয়া এবং কালু বিহারীর হাতে তুলে দেয়।

সে এটাও স্বীকার করে যে, মরহুম মাওলানা আব্দুল আলীকে (আলী আহসান মো: মুজাহিদের পিতা) চিনলেও তার কোন ছেলেকে সে চিনতো না। মাওলানার কোন ছেলের সাথে লেখাপড়া বা চেনা-পরিচিতি না থাকায় এই মুজাহিদকে তার চেনার কোন কারন নেই। স্বাক্ষী রঞ্জিত পড়েছে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত। আর তার স্কুলে মুজাহিদ পড়েনি। আর রাজেন্দ্র কলেজেও স্বাক্ষী পড়েনি। তাহলে কোথা থেকে সে মুজাহিদকে চিনবে?

স্বাক্ষী রঞ্জিত কুমার নাথ তার জেরায় স্বীকার করেন, আমি আমার অত্যাচারের কাহিনী আমার আশেপাশের লোকদেরকে বলেছি; তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা কারী বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখেছেন এমন কাউকে কখনও বলিনি। ইহা সত্য নয় যে, আমার অত্যাচারের কাহিনী সত্য নয় বিধায় আমি কোন লোকের কাছে বলিনি।

আসলে, এটাই বাস্তবতা যে, ঘটনাটি সত্য নয় বলেই সে কোথাও বলতে পারেনি। বা ইতিহাসপ্রনেতারাও তার এই ঘটনাটি বিশ্বাস করে কোন পুস্তকে এই বিষয়টি স্থান দেয়ার মত বলে মনে করেননি।

অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেও স্বীকার করেছে, ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা কোন বইতে সে এই ঘটনা পায়নি। আর ডিসির কাছে যে আহত নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা আছে, তাতেও এই রঞ্জিত কুমারের নাম পায় নি সে।

সবচেয়ে বড় কথা, জনাব মুজাহিদের মামলায় স্বাক্ষ্য দেয়ার আগে এই স্বাক্ষী একই ট্রাইবুনালে মাওলানা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দিয়ে তাকেও এই অপহরন ও নির্যাতনের জন্য দায়ী করে গেছেন। সেই অভিযোগে ট্রাইবুনাল মাওলানা আযাদকে দন্ডও দিয়েছে। এরপরও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে জনাব মুজাহিদকেও এ্ই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করার অপপ্রয়াস হিসেবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিয়েছে এই রঞ্জিত কুমার নাথ।

এক অভিযোগে কয় জনকে শাস্তি দেয়া যায়?? আগে জানতাম, এক মুরগী একবার জবাই করা যায়..কিন্তু এখন দেখি এক মুরগী বহুবার জবাই করা যায়..যত বার খুশি..যত জনের জন্য

বিষয়: বিবিধ

৯২৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

274676
১৫ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৬
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


নাটকে "অসম্ভব" বলে কিছু নেই

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
274765
১৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তাদের মেধা এতই নিন্মমানের যে আরেকটা ঘটনা সাজাতে পারছেনা!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File