মিডিয়ার কারিশমা
লিখেছেন লিখেছেন হা মীম যুবায়ের ১২ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৫৮:৩১ দুপুর
মিডিয়া একটি ইংরেজী শব্দ, [Media] এর অর্থ হল মাধ্যম, উপায়, অবলম্বন ইত্যাদি। যে বস্তুর ব্যবহারের মাধ্যমে কোন সংবাদ, বার্তা বা নিজের আহ্বান অন্যের কাছে পৌঁছানো যায় তাকেই মিডিয়া বলা হয়। যেমন রেডিও, টেলিভিশন, ফোন, ইন্টারনেট ও সংবাদপত্র ইত্যাদি। যেহেতু এসব বস্তুর মাধ্যমে নানা রকম সংবাদ ও তথ্য এবং নিজের দাওয়াত ও আহবান অন্যের কাছে পৌঁছানো হয় এজন্য এগুলোকে সাধারণত মিডিয়া বা প্রচার মাধ্যম বলা হয়।
মিডিয়া সাধারণত দুই প্রকার, ১. ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া। ২. প্রিন্ট মিডিয়া। যেসব মিডিয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত যান্ত্রিক বস্তু ব্যবহার করা হয় তাকে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা যান্ত্রিক মাধ্যম বলা হয়। যেমন ফোন, মোবাইল, রেডিও, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট, চ্যানেল, ইন্টারনেট, ই-মেইল, ফেসবুক ও ওয়েবসাইট ইত্যাদি। আর যেসব মিডিয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না, বরং পেপার বা কাগজ ব্যবহার করা হয় তাকে প্রিন্ট মিডিয়ার কাগুজে মাধ্যম বলা হয়। যেমন, পত্র-পত্রিকা, বই-ম্যাগাজিন, হ্যান্ডবিল, লিফলেট ইত্যাদি। তবে প্রিন্ট মিডিয়া বলতে সাধারণত দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ষন্মাসিক ও বার্ষিক সংবাদপত্রকেই বুঝায়। আধুনিক যুগে মিডিয়ার গুরুত্ব অনস্বীকার্য, তা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হোক বা প্রিন্ট মিডিয়া হোক। বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের এ যুগে মানুষ মিডিয়া ছাড়া চলতে পারে না। মিডিয়া ছাড়া আধুনিক সভ্যতার কল্পনাও করা যায় না। প্রযুক্তিনির্ভর জীবন ব্যবস্থায় মিডিয়া ছাড়া জনজীবন স্থবির হয়ে পড়তে বাধ্য। মিডিয়া আধুনিক সভ্যতার দর্পণ ও বাহন। তার উপরই বর্তমান সভ্যতার ভিত্তি। চলমান সমাজ ও সভ্যতার গতি ও প্রকৃতি সাধারণত মিডিয়াই নিয়ন্ত্রণ করছে। বলা যেতে পারে, এ সভ্যতার নিয়ন্ত্রক বা চালিকা শক্তি হচ্ছে মিডিয়া। মানব জীবনে মিডিয়ার প্রভাব এতখানি বেড়ে গেছে যে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের আচার অনুষ্ঠান ও ধ্যান ধারণাকেও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। মানুষের কাজকর্মের সাথে মিডিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুতরাং এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, আধুনিক সমাজব্যবস্থা পুরোপুরি মিডিয়া নির্ভর।
মিডিয়ার দু’টি দিক রয়েছে। ১. ভাল দিক। ২. মন্দ দিক। উভয় দিকেই সমান প্রভাব বিস্তার করতে পারে মিডিয়া। মিডিয়া যেমনিভাবে সৎ ও তত্ত্ববহুল তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের জন্য ফল্গুধারা বয়ে আনতে পারে, তেমনি মিথ্যা ও অসাধুতার আশ্রয় নিয়ে ডেকে আনতে পারে সর্বনাশা কালবৈশাখীর ঝঞ্ঝাবায়ু, যা মানুষ ও মানবতার অস্তিত্বকে বিপন্ন করে। একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ গঠনে মিডিয়ার বিকল্প নেই। আবার একটি সমাজ ধ্বংশ করার জন্যও মিডিয়ার চেয়ে দ্রুত কার্যকারী কোন পন্থা নেই। আমরা যার বাস্তব প্রতক্ষদর্শী।
একটি সমাজের উত্থান-পতনে মিডিয়ার বিরাট ভূমিকা থাকে। মানুষ সমাজের শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে মিডিয়া অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে মিডিয়া একটি ধারালো ছুরির ন্যায়। এই ছুুরি দ্বারা যেমনিভাবে মানুষের কল্যাণে হালাল পশু জবাই করা যায়। তেমনি এর দ্বারা মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যাও করা যায়। তবে ভালো মন্দের উভয় ধারা নির্ভর করে এর নিয়ন্ত্রকদের চিন্তা ও চেতনা এবং ব্যবহারকারীর ব্যবহারের উপর। এর নিয়ন্ত্রকরা যদি আদর্শবান ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং আদর্শিক ভাবধারায় উজ্জীবিত হন, তাহলে এর মাধ্যমে তারা একটি সুশীল ও সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারেন। বয়ে দিয়ে পারেন কল্যাণের পূবালী সমীরণ। পক্ষান্তরে, এই হাতিয়ার যদি দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যায়। তাহলে তারা এর অপব্যবহার করে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুসভ্য সমাজকে অসভ্য ও পশু সুলভ সমাজে পরিণত করতে পারে।
আজ যদি আমরা আমাদের প্রিয় দেশ ও সমাজের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, সবখানে মিডিয়ার অসম্ভব প্রভাব ও দৌরাতœ। আর যদি কোন নতুন তথ্য হয়, তাহলে এতো কেমন যেনো ঐশী বাণী। কিছু মিডিয়ার অসাধু নিয়ন্ত্রণে মিথ্যা ও অসাধুতায় সয়লাব। দেশ ও সমাজ আপন বৈশিষ্ট ও নিজস্ব সংস্কৃতি হারিয়ে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হচ্ছে আমাদের মুসলিম সমাজ। পশ্চিমা শক্তি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার প্রভাবে আজ ইসলামী শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি থেকে বহু দুরে সড়ে পড়েছে। অন্যকে ইসলামী আদর্শের দিকে ডেকে আনা তো দূরের কথা, এখন নিজেকে ইসলামী আদর্শের উপর টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং লেবাস পোশাক তথা ইসলামী সংস্কৃতি ধারণ ও লালন করতে মুসলমানরাই সংকোচ বোধ করছে। কারণ, পশ্চিমা মিডিয়ার প্রোপাগাণ্ডা ও অপপ্রচারে মুসলিম যুব সমাজ প্রভাবিত হয়ে পড়েছে। তাদের মাঝে মুসলিম সাংস্কৃতির প্রতি ঘৃণা ও অনাস্থা সৃষ্টি করে দেয়া হচ্ছে মিডিয়া সন্ত্রাসের মাধ্যমে।
এদেশ ৯০% মুসলমানের দেশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম কান্ট্রি। এদেশে কেন বেহায়াপনা ও অশ্ল-ীলতার সয়লাব হবে ? অশ্ল¬ীলতা ও উলঙ্গপনা কেন এ সমাজের মন ও মগজে স্থান করে নেবে ? এর সব কিছুই হয়েছে মিডিয়ার প্রভাবে।
সাম্প্রতিক বিশ্বের ঘটনা প্রবাহের দিকে তাকালেও আমরা মিডিয়ার প্রভাব বুঝতে পারি। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর সংবাদ আমরা মিডিয়া থেকে পাই। মিডিয়া সংবাদগুলো যেভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করে, বিশ্বের মানুষ সংবাদগুলো সাধারণত সেভাবেই মূল্যায়ন করে থাকে। আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ইরাক, ইরান ও ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মুসলিম দেশসমূহে কী ঘটেছে, তা সঠিকভাবে কেউ জনে না। সে সব দেশের মজলুম মুসলমানদের নির্যাতনের করুণ কাহিনীর শতভাগের এক ভাগও আমরা জানতে পারি না। অনেক সময় আমরা বিপরীতটাই জেনে থাকি। বিবিসি, ভয়েস অফ আমেরিকা ও সি এন এন সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে। ইহুদি সম্প্রদায় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এসব চ্যানেলগুলো সব সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়ে থাকে। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে অপপ্রচার চালিয়ে যায় দেদারছে। সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বলে কত ভাবে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে, খুব কম মানুষই তা জানে।
জিহাদ কী ? সন্ত্রাস কী ? মিডিয়া সব কিছুকেই একাকার করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করছে এবং জিহাদকে সন্ত্রাস হিসেবে সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। অথচ জিহাদ ও সন্ত্রাস দু’টি বিপরীত বিষয়। একটির সাথে অন্যটির কোন সর্ম্পক নেই। মূলত জিহাদ হচ্ছে সন্ত্রাস নির্মূলের হাতিয়ার, শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম মাধ্যম। মিডিয়া ইসলামকে বিশ্ববাসীর সামনে একটি জঙ্গী ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং মুসলমানদের কে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করছে। যার কারণে বিশ্বের মানুষ এখন মুসলমানদের কথা শুনতে ভয় পায় এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে ভয়ঙ্কর শাসন ব্যবস্থা মনে করে। এটা পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার একটি বিরাট সফলতা। এ জন্য তারা বহু দিন থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী চেষ্টা করে আসছে।
পক্ষান্তরে মিডিয়া যদি মুসলমান তথা ইসলাম পন্থীদের হাতে থাকত এবং ইসলামের সুমহান আদর্শকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হত, তাহলে চিত্র হত সম্পূর্ণ এর বিপরীত। আর তখন সত্যান্বেষী মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিত এবং ইসলামী বিধি বিধানের সুনির্মল স্রোতধারায় অবগাহন করত। যেমন হয়েছিল হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়। সন্ধির সুবাদে মক্কার মুশরিকরা যখন মুসলমানদের সাথে মিশে ইসলামের প্রকৃত রূপ দেখতে পেল এবং মুসলমানদের অমায়িক ব্যবহার তাদেরকে মুগ্ধ করল, তখন তাদের ভুল ভেঙ্গে গেল। দলে দলে তারা ইসলামে দীক্ষিত হতে লাগল। এটাকেই মহান আল্লাহ তায়ালা ফাতহে মুবীন বা প্রকাশ্য বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আজও যদি দুনিয়ার মানুষের সামনে ইসলামের অনুপম আদর্শের সঠিক চিত্র তুলে ধরা যায় এবং মুসলমানরা যদি পূর্বসূরীদের ন্যায় ইসলামী আখলাকের পরিচয় দিতে পারে, তাহলে এখনও একটি ফাতহে মুবিন অর্জন করা সম্ভব। বাস্তব কথা হল, বর্তমানে বস্তুবাদী ও ভোগবাদী নি®প্রাণ আদর্শের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ। তারা এই আদর্শের কুফল ভোগ করেছে। এখন এর থেকে তারা পরিত্রান পেতে চায় এবং অন্য একটি নতুন আদর্শের দিকে ছুটে যেতে চায়। যে আদর্শ তাদেরকে স্থায়ী জীবনের সন্ধান দিবে। সন্ধান দিবে চির কল্যাণের। আর সেই চির কল্যাণময় আদর্শের নামই ইসলাম।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে টেলিভিশনের কথাই ধরা যাক। মানুষের গ্রামীণ জীবন থেকে নিয়ে শহুরে জীবনে সর্বত্র এর প্রভাব বিস্তৃত। এ গণমাধ্যমটি মানুষকে অক্টোপাশের ন্যায় আটকে রেখেছে। আর এ গণমাধ্যমটির সিংহ ভাগ দর্শকই হচ্ছে সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোক। তারা সভা সেমিনারে গিয়ে রাতব্যাপী বিনিদ্র থেকে ওয়াজ শুনতে আগ্রহী নয়। যেখানে তারা ঘরে বসেই সবকিছু হাতের নাগালে পাচ্ছে টেলিভিশনের মাধ্যমে, সেখানে সময় ব্যয় করে এবং অপচয় ও যাতায়াতের ঝামেলা সহ্য করে মাঠে ওয়াজ শোনার আগ্রহ তাদের না থাকাই স্বাভাবিক। এছাড়া বিভিন্ন কারণে এদের কাছে গিয়েও দাওয়াত দেয়া সম্ভব হয় না। তাহলে সমাজের এ হাই সোসাইটিতে দ্বীনের দাওয়াত পেছৈানোর কি উপায় ? নিঃসন্দেহে অন্য যে কোন মাধ্যামের তুলনায় এক্ষেত্রে মিডিয়া অনেক বেশী কার্যকর। এ যুগের মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানো অতিসহজ। অবশ্য বর্তমান পেক্ষাপটে আমি টেলিভিশন দেখাকে বৈধ বলছি না। আমি শুধু আধুনিক যুগে এ মাধ্যমটির প্রভাব তুলে ধরছি। এ ব্যপারে বিজ্ঞ ফুকাহায়ে কেরামের অভিমতই প্রনিধান যোগ্য।
এবার আসা যাক, প্রিন্ট মিডিয়ার কথায়। প্রিন্ট মিডিয়া বা সংবাদপত্রের প্রভাব সমাজে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তুলনায় কোন অংশেই কম নয়। বরং বেশী। কারণ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ, যা সবার পক্ষে ক্রয় করা বা সব সময় দেখা সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে প্রিন্ট মিডিয়া তথা সংবাদপত্র সকলের জন্য সহজলভ্য ও সুলভপাঠ্য। যা সব সময় সবখানে পাওয়া যায় এবং পড়া যায়। অতএব এর প্রভাব হবে আরো বেশী। সংবাদপত্র পাঠ সমাজের শিক্ষিত ও সচেতন শ্রেণীর লোকদের দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ। সংবাদপত্রের লিখনী তাদের মন মগজ ও চিন্তা-চেতনায় বৈপ¬বিক পরিবর্তন ঘটায়। তখন তারা সংবাদপত্রের ভক্ত ও অনুরক্ত হয়ে উঠে এবং অজ্ঞাতসারেই লিখনীর প্রতি বিশ্বাসী হয়ে যায়। সংশি¬ষ্ট সংবাদপত্রের আদর্শে আদর্শবান হয়ে উঠে। এ কথার সত্যতা আমরা আমাদের দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর পাঠকের প্রতি দৃষ্টি দিলেই বুঝতে পারি।
ইসলামী আদর্শবিরোধী পত্রিকাগুলোর বিপুল সংখ্যক পাঠকরা কিন্তু এক সময় ইসলাম বিরোধী ছিল না। তাদের মাঝে আলেম উলামার বিদ্বেষও থেকে ছিল না। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষী দৈনিকগুলো তাদের মাঝে ধীরে ধীরে ইসলাম ও আলেম-উলামার প্রতি বিদ্বেষের বীজ বপন করেছে। ফলে এখন সেই বীজ অংকুরিত হয়ে বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এখন সেই বৃক্ষের মূলোৎপাটন করা অত্যান্ত কঠিন। এজন্য প্রয়োজন ছিল, ইসলামী আদর্শের একটি সতেজ বীজ বোপন করা। এখনো আমাদের গাফলতির সুযোগ নিয়ে শক্ররা শূন্য ময়দান দখল করে নিয়েছে এবং তারা সফলতাও পেয়েছে। কিন্তু আমাদের গাফলতির ঘুম ভাঙ্গছে না। সুতরাং আজকে যদি আমরা ইসলামের চির কল্যাণময় আদর্শকে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে চাই এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামী আদর্শের একটি কল্যাণময় সমাজ গঠন করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে প্রথমে মিডিয়ার ময়দান দখল করতে হবে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়া উভয় মাধ্যমকেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে দ্বীনের ধারক বাহক উলামায়ে কেরামকেই সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে। এবং মিডিয়ার জোয়াড়ে গা ভাসানো এ জাতিকে তাদের নিজস্ব সভ্যতা সংস্কৃতির দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ আমাদেরকেই গ্রহণ করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
২২১০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর আলোচনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন