মানুষের পদচারণায় মুখর সিলেটের ক্বীন ব্রীজ এলাকা

লিখেছেন লিখেছেন মো নজরুল ইসলাম ০৯ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:৫০:১৩ সকাল





মো. নজরুল ইসলাম :: ইট-পাথরে দালানে বন্ধি থাকা মানুষগুলো সুযোগ খুজেঁ নীল আকাশের নিচে ঘুরে ভেড়ানোর। ঈদ তাদের সেই সুযোগ করে দেয়। যান্ত্রিক জীবন আর প্রতিযোগিতা মূলক দালান নির্মাণে জায়গা কোথায় নগরীতে একটু প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেয়ার। তবে ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার বিকেলে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বন্ধব নিয়ে সার্কিট হাউজের সামনে, আলী আমজাদের ঘড়ি সংলগ্ন, ক্বীন ব্রীজের নিচে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। তরুণ-তরুনীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে ক্বীন ব্রীজ এলাকা। বাদ পরেনী ছোট বাচ্চারাও।

ক্বীন ব্রীজ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাইলট স্কুল রোড মুখ থেকে কাজির বাজার রোড মুখ পর্যন্ত নদীর পারে মানুষের ভীড়। সবাই এসেছেন শান্ত বিকেল, সূর্যাস্ত, আর কোমল পরিবেশ উপভোগ করার জন্য। আর মানুষের পদচারণা দেখে অনেক চটপটি আর ফুসকা ব্যবসায়ীরাও ভিড় করছেন সেখানে। বাদ পরেনি আইস ক্রীম, চটপটি-চানাচুর আর বাদাম ওয়ালারা। ভ্রাম্যমান চা ওয়ালা ছাড়াও ভ্যানগাড়ি দিয়ে চা বিক্রি করছেন অনেকে। আর ক্রেতাদের বসানোর জন্য চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে রেখেছেন এসব ক্ষুদ্র দোকানিরা।

শিক্ষক, সাংবাদিক, সমাজিক ও সংস্কৃতি কর্মী, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকুরী জীবিরা এসেছেন সহধর্মিনী, কোলেরর ছোট বাচ্ছাকে নিয়ে। ছবি তুলছেন একে অপরের।

ছোট বাচ্ছা, স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে আসছেন বনফুলের সেলসম্যান রকিব আহমদ। জানালেন, ব্যাক্তিগত কাজ থাকায় ঈদে দেশের বাড়ি যেতে পারেন নি। তাই বিকেল বেলা বউ, বাচ্ছাকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী সাঈদ আহমদ জানান, অনেক দিন থেকে পরিকল্পনা সবাই মিলে ঘুরতে ক্বীন ব্রীজ আসব। কিন্তু সময়ের অভাবে আসা হয় না। তাই আজ আসলাম। ক্লাস টু’তে পড়া তাঁর ছোট মেয়ে, ইভা জনায়, বাবা-মার সাথে সেও ঘুরতে আসছে। গ্যাসের বিমান আকৃতির বেলুন কিনেছে সে।

হুমায়রা হিমু নামের এক দর্শনার্থীর কাছে ক্বীন ব্রীজের কোন দিকটা আপনার ভালো লাগে না বা পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন জানতে চাইলে, সে জানায়- ধুমপান বন্ধ করা গেলে ভালো হতো। আসার পর থেকে দেখছি কম বয়সী থেকে বড়রাও একটার পর একটা সিগারেট খাচ্ছে (ধুমপান করছে)। আমি সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারিনা।

এদিকে, ক্বীন ব্রীজ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চটপটি আর ফুচকা খাওয়ার পর চেয়ার-টেবিলে বসে অনেকে ধুমপান করছেন। আনাচে-কানাচে সেই একই চিত্র।

এবছর কুরবানীর ঈদ সাপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে হওয়ায় অনেকে লম্বা ছুটি পেয়েছেন। অবার অনেককে চাকরীতে যোগদান করতে হয়েছে। যারা আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করবেন, তাদের এখনো সময় আছে ঘুরানো। সময় বাড়ার সাথে সাথে ক্বীন ব্রীজ এলাকায় আরো ভিড় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

বিষয়: বিবিধ

৯৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File