ক্লাস ফোরে থাকতে স্যারের কাছ থেকে পেয়েছিলাম আল-আমিন উপাধি
লিখেছেন লিখেছেন ইঁচড়ে পাকা ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০৭:৪২:১৭ সকাল
আব্দুল মাজেদ। আমাদের স্কুলের শারিরীক শিক্ষার শিক্ষক। তবে নিচের দিকের ক্লাসের অংক নিতেন।
আমি যখন ক্লাস ফোরে তখন আমাদের অংক নিতেন।
একদিন ক্লাসে স্যার একটা অংক করতে দিলেন।
অংকটা বেশ সহজই ছিল।
আমার হাতের লেখা আবার সুপার-ফাস্ট।
স্যার অংক করতে দেওয়ার সাথে সাথেই অংকটা করে স্যারের কাছে জমা দিলাম।
স্যারের কাছে জমা দিতেই স্যার আমার দিকে তাকালেন এবং মুচকি হাসলেন।
স্যারের হাসির মানে না বুঝলেও আমার অংকে যে একটা ভুল করে ফেলেছিলাম তা মাথায় ঢুকলো।
একটা জায়গায় প্লাসের বদলে মাইনাস দিয়ে ফেলেছিলাম।
কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না। যা হবার তাতো হয়েই গেছে।
খাতা আসলো আমার বেঞ্চ বরাবর।
নিশ্চিত শুন্য জেনেও কোন এক অজানা কারনে খাতা খুলে অংকটা দেখলাম।
না, শুন্য না, পুরো দশে দশ।
নিজের মুখ হলেও যে এর উপর আমার কোন কন্ট্রোল নেই, কিছুক্ষণ পর তা টের পেলাম।
মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল, "স্যার, অংকটাতো ভুল করেছি, অথচ আপনিতো ফুল নম্বর দিলেন।" – বলেই মুখে হাত।
এখনতো অংক ভুল করার শাস্তি ভোগ করতে হবে।
সত্যের জোর প্রথম টের পেয়েছিলাম সেদিন।
সবাই যখন বেতের শপাং সপাং বাড়ি খাচ্ছে আর কান ধরে উঠবস করছে, স্যার সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
"যদিও 'ইঁচড়ে পাকা' অংকটা ভুল করেছে, তারপরও ওকে কোন শাস্তি দিচ্ছি না। কারন ও সত্যি কথা বলেছে। ও আল-আমিনের মতো কাজ করেছে।"
সত্য কথা বলে এমন গর্ববোধ আগে কখনোই করিনি।
সত্যিই
"সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে।"
বিষয়: বিবিধ
১৩৩০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো / ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন