সালামঃ অহংকার দূরীকরণের উত্তম পথ
লিখেছেন লিখেছেন ইঁচড়ে পাকা ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:২২:১৭ সকাল
খুব ছোট বেলা থেকেই আব্বু-আম্মু আমাকে সালাম দিতেন। আস্তে আস্তে যখন বড় হলাম, তখন সালাম আমার মধ্যে এমনভাবে জড়িয়ে গেল যে, কাউকে দেখলেই প্রথমে সালাম মুখ ফসকে বেরিয়ে যেত। এমনকি হিন্দু কাউকে দেখলেও এর ব্যতক্রম হত না।
এলাকার ছোট বড় সবাইকে সালাম দিতাম। ছোটদের যখন সালাম দিতাম, ওরাও প্রথমে লজ্জা পেত। কিন্তু এখন আর কারোর মাঝেই লজ্জা কাজ করে সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে।
বুয়েটে পড়ি বিধায় আমার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের থেকে নিজেকে বড় মনে করি। কিন্তু কারো সাথে যখনই দেখা হয়, প্রথমে সালাম দিয়ে দেই। আর সাথে সাথেই মনে হয়, আমি কত ক্ষুদ্র। আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষণের কারণেইতো আমি এখানে। আমার সকল অহংকার চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। ভালোই লাগে। আর মনে মনে বলতে থাকি – আলহামদুলিল্লাহ।
সালামের দ্বারা অন্তরে শান্তি অনুভূত হয়। পরস্পরে মনোমালিন্য দূর হয়। সালাম দেয়ার দ্বারা ৯০ নেকি ও উত্তর দেয়ার দ্বারা ১০ নেকি অর্জন হয়। সর্বদা আগে সালাম দেয়া উত্তম, কেননা যে আগে সালাম দেয় সে অহঙ্কার থেকে মুক্ত হয়। রাসূল (সা.) সর্বদা আগে সালাম দিতেন। তাই আসুন আমরা অন্যের সালাম পেতে নয়, অন্যকে সালাম দিতে আগ্রহী হই। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন – আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আস্ সালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ......।
সালামকে এখন আমরা কর্তব্য এর বদলে তথাকথিত সন্মান এর পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন