আদর্শ বাবা - ১: মাত্র ৫ বছরে আমার মসজিদে যাওয়া শুরু
লিখেছেন লিখেছেন ইঁচড়ে পাকা ২৯ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:১০:৫৭ সকাল
ছোট বেলায় থেকেই আমার মসজিদে যাওয়া শুরু হয়। বয়স যখন ৫ তখন থেকেই এ যাত্রা। আজ অবধি তা অব্যাহত আছে। এর সুচনা হয় এক শীতের ফজরে। ঘটনাটা আমার মনে থাকার কথা না। আসলে মনেও নেই। আব্বুর কাছ থেকে শোনা।
বিছানায় পেশাব করার অভ্যাসটা বেশ বড় হওয়া পর্যন্ত ছিল আমার। এ কারনে আমার মা আমাকে প্রতিদিন ভোরেই শীত বা গরম সব কালেই খুব ভোরে গোসল করিয়ে দিতেন। সকালে ঘুমানোর অভ্যাসটা তখন থেকেই খুব ঘৃণার চোখে দেখতাম এই কারনেই। এক শীতের ভোরে বিছানায় পেশাব করে দিলাম। ভীষন শীতের কারনে আমি তখন গোসল করতে প্রস্তুত ছিলাম না। আমার মা অনেকটা জোর করেই গোসল করিয়ে দিলেন। খুব মন খারাপ। জোরে জোরে কান্না শুরু করে দিলাম।
আব্বা খুব শান্তভাবে আমাকে বললেন,
আল্লাহ্ নাপাকীকে পছন্দ করেন না। এখন তুমি পবিত্র, আল্লাহ পবিত্র মানুষদেরকে ভালোবাসেন।তার কথাটা আমার খুব ভাল লেগে যায়। তখন আমার বাবা আমাকে মসজিদে নিয়ে যান ফজরের নামাজ পড়তে।
আমাকে মসজিদে দেখে খুশি হয় নাই এমন কেউ ছিল না। মাত্র ৫ বছর বয়সেই একটা ছেলে মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে পারে তাও আবার ফজরের নামাজ এ ঘটনার আগে আমাদের এলাকায় কেউ কল্পনাও করতে পারতো না। এ ঘটনায় উৎসাহিত হয়ে অনেকেই তাদের ছেলেদেরকে মসজিদে আনা শুরু করলো।
কোরআন পড়ে সূরা মুখস্ত করার বয়স তখনো আমার হয় নাই। কোরআন পড়া শিখেছি আগেই। কিন্তু মুখস্ত করার অভ্যাস তখনো গড়ে ওঠেনি। আব্বুর সাথে নামাজ পড়তে পড়তে আব্বুর কাছে নামাজের পর দোয়া দরুদ সূরা কালাম শুনতে শুনতে আমপারা প্রায় মুখস্ত করে ফেলি।
আব্বু তখন থেকেই কোরআনের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য অংশ মুখস্ত করানোর চেষ্টা করতেন। আব্বুর প্রচেষ্টায় নিজের অজান্তেই অনেক আয়াত মুখস্ত হয়ে যায় যা এখন ভাবতেই অবাক লাগে। তখন মুখস্ত না হলে আর কখনো হত বলে মনেই হয় না।
বিষয়: Contest_father
২০২১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন