গোটা জাতিই আজ ‘Third Person Singular Number’ – এ নিমজ্জিত।
লিখেছেন লিখেছেন ইঁচড়ে পাকা ৩০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৫১:৫৯ দুপুর
ছোট্ট একজন শিশু তর্ক বিতর্ক শুনলে চায় যে সেটা থামুক। এটা একজন মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আস্তে আস্তে যখন সে বুঝতে শেখে তখন সে ভালোর পক্ষ নিতে শুরু করে। কিন্তু পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সব কিছুর চাপে পড়ে সে ভালো পক্ষ থেকে বিচ্যুত হতে থাকে। আগে সে যেটাকে ভালো মনে করতো, এখন হুবহু সেটাকেই সে খারাপ মনে করে। আগে যেটাকে সে খারাপ মনে করতো, অবৈধ মনে করতো এখন সেটাই তার কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় এবং অনেকক্ষেত্রে আবশ্যকীয়তা পায়।
‘‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’’ চলচ্চিত্রটি সমাজের হুবহু এই চিত্রটাকেই তুলে ধরেছে।
এর মধ্যে আবার কিছু কিন্তু আছে।
একটু আগে যে বললাম, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের চাপে পড়ে সে সঠিক চিন্তা-চেতনা থেকে বিচ্যুত হতে থাকে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বারও কিন্তু এই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের চাপের একটা অংশ।
সব প্রতিবেদন বা চলচ্চিত্রে খারাপ-ভালো দুইটা চরিত্রই থাকবে। কিন্তু যখন এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য করার মত কোন উপাদান চলচ্চিত্রে থাকবে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই খারাপটাই সবার মনের অজান্তে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। আর চলচ্চিত্রের সমাপ্তিতে যখন খারাপ মনোবৃত্তির জয় হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেটা খারাপের প্রতিই মানুষের আগ্রহকে বাড়িয়ে তোলে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন