তাপসীকে লেখা খোলা চিঠি
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তফা সোহলে ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫০:৪৪ বিকাল
তাপসী,
বেশ আগে তোকে একটা হুমায়ুন স্যারের বই দিয়েছিলাম,নাম ছিল " হিমুর মধ্য দুপুর" বইটা পড়ে প্রান খুলে অনেক হেসেছিলাম।অমন প্রান খুলে অনেক দিন হাসি না।বইটার প্রথমে বেশ কিছু কথা লিখেছিলাম তোকে।আজ এই মধ্যে দুপুরে আবার তোর কাছে লিখতে বসলাম। হুমায়ুন স্যার বইয়ের প্রথমে লিখেছিলেন,মধ্যে দুপুর বড়ই আশ্চর্যের সময় এ সময় ভুতে মারে ঢিল।জানি না মধ্যে দুপুর আশ্চর্যের সময় কি না তবে দুপুর সময়টা আমার কাছে একটু অন্য রকমই মনে হয়। দুপুর নিয়ে একটা কাব্য কনা বলি-
ভর দুপুরে
ভুতে মারে ঢিল
খুব মিষ্টি তোর
হাতের কিল।
তোকে লিখতে বসার পরেই একটা কল এসেছিল।আর তাই তোকে কি কি লিখতে চেয়েছি ভুলে গেছি। আগে দুপুর গুলো বই পড়ে কাটত।আর এখন দুপুরটা কেমন সেটাই ভুলে গেছি।কর্পোরেট লাইফে মানুষ এত ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে নিজের অস্তিত্ত কেই মাঝে মাঝে ভুলে যায়।তারপরেও প্রিয় মানুষ গুলোর কথা মনের মাঝে গেথে থাকে সব সময়।আয়োজন করে মনে করা হয়না হয়তো কাউকেই।তারপরো কিছু মানুষের কথা আয়োজন করেই মনে করতে হয়।
জানি তুই বই পড়তে অসম্ভব ভালবাসিস।আমার একটা শখ আছে,একটা ঘর থাকবে আমার আর তাতে থাকবে বই আর বই।তখন হয়তো তোর আর বই পড়ার সময় থাকবে না।তুই হয়তো ব্যস্ত থাকবি ঘর সংসার নিয়ে।ভাবছি বুড়া হলে বুড়াকালটা পলান সরকারের মত কাটিয়ে দেব।তোর বাড়ির দরজায় গিয়েও হয়তো বলতে পারি,তাপসী বই রাখবি পড়ার জন্য?আমার নিজের লেখা একটা বইও আছে।আমি জানি তুই আর কোন বই না রাখলেও আমার লেখা বইটা পড়ার জন্য ঠিকই রাখবি।
বই নিয়ে কাব্য কনা বলি-
জ্ঞানের আলো বই
ধরার সময় কই।
এখন বই পড়ি নেটে
সময় গুলো
আনন্দে যায় কেটে।
ভর দুপুরে লিখতে বসে প্রায় বিকেল হয়ে এল ।কবিতার ভাষায় বলি,
বিকেলের রোদ প্রকৃতির গায়ে পড়েনি
তাই দুপুর এখনও সন্নিকটে।
কবিতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একটা কাব্য কনা মনে পড়ে গেল-
তুমি বুঝবে কি আর
তুমি তো নও কবি
কবিতা হল
মনের প্রতিচ্ছবি।
ভর দুপুর গুলো তোর ভাল কাটুক।
প্রতিটি দুপুর আশ্চর্য নিয়ে ধরা দিক তোর কাছে।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভুতে মারে ঢিল
খুব মিষ্টি তোর
হাতের কিল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন