সেইরাম কিছু মায়ের গল্প
লিখেছেন লিখেছেন অগ্রহায়ণ ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:৪৪:৪৪ রাত
তোমাকে কিছু গুনধর মায়ের গল্প শুনাই। মায়ের কথা শুনলে তুমি বারবার ইমোশনাল হয়ে যাও। এবার হইওনা প্লিজ ।
মায়মুনার মা যখন মারা যায় তখন সে মাত্র ৩ বছরের। মেয়ের লালন পালন করতে ব্যবসায়ী বাবা দারুন অসুবিধায় পড়ে যায়। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করে নিজের একাকীত্ব ঘুছাবেন। সাথে সাথে মায়মুনার দেখাশুনার কোন চিন্তা ফিকির করতে হবে না।
কিন্তু সৎ মায়ের সংসারে উঠকো ঝামেলা হয়ে পড়ে বাচ্চা মেয়েটি। নতুন মা শারমিন তাকে একদম সহ্য করতো না। বাবাও সময় দিতে পারতো না।
একমাত্র আশ্রয় বুড়ো দাদীও ঠিকমতো খেয়াল রাখতে পারতো না মায়মুনার।
বছর খানেক পর একটি সন্তান জন্ম দেয় সৎ মা শারমিন। তখন থেকেই মায়মুনার দিন আরো যন্ত্রনায় ভরে উঠে। ছোট খাট কথায় মার খাওয়া ছিল মায়মুনার নিত্য দিনের কপাল।
একদিন সৎ মা ও বোনের সাথে শুয়েছিল মায়মুনা।
ঘুমের মধ্যে এক পা তুলে দেয় শিশু বোনের গায়ে। কেদে উঠে তার শিশু বোন টি। সাথে সাথে ঘুম ভেঙ্গে যায় শারমিনের।
জেগে উঠে রাগে বালিশ চেপে ধরে মায়মুনার মুখে। শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় বেচারি।
তারপরেও কমেনা সৎ মায়ের রাগ। মারা যাওয়া মায়মুনার পা ভেঙ্গে দেন তিনি, যে পা উঠে গিয়েছিল তার শিশু সন্তানের উপর।
।
।
ডেমরার মরিয়ম। বয়স ৪৪
এই বয়সে এসে তিনি মোবাইলের কল্যানে প্রেমে পড়েন অন্য পুরুষের।
তার স্বামী একথা জানতে পারেনি। জানতে পেরেছিল নিজের পেটের সন্তান কামরুজ্জামান।
এই বয়সে এসে নিজের মা কে পরকীয়া করতে দেখলে কারই বা সহ্য হয়। মেনে নিতে পারেনি কামরুজ্জামান ও। বাধা দেয় মায়ের অনৈতিক কাজে।
পরপুরুষের প্রেমে মত্ত মরিয়মের কাছে ছেলে, সন্তান, সংসার অসহ্য মনে হয়।
ভাড়াটে খুনি হায়ার করেন তিনি।
প্রান হারান কামরুজ্জামান। আর তার মা ১ লক্ষ টাকা বলসিস দেন খুনিদের।
।
।
এবার বিদেশী মায়ের গল্প শুনো।
জার্মানির বাবেরিয়া শহরে বাস করতেন নডাইন কোয়েনিগ।
ড্যান্স ক্লাব, বয় ফ্রেন্ড, মদ জুয়া লিভ টুগেদার করব তার দিন কাটতো।
এক সময় বুঝতে পারেন তিনি প্রেগন্যান্ট। সন্তান প্রসবের জন্য যথা সময়ে উপস্থিত হন তিনি।
নরমাল ডেলিভারি হয় তার।
৩০ মিনিট পর নার্স তার বেডের পাশে নবজাতক কে রেখে যায়।
শিশু সন্তান কে কোলে তুলে নেন তিনি। কিছুক্ষন চেয়ে থাকেন অপলক।
আস্তে আস্তে হাতে তুলে নেন পাশের টেবিলে রাখা ডাক্তারি চাকু। ধীরে ধীরে চেপে ধরে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারন করা নিজের সন্তানের গলায়।
কয়েক সেকেন্ড.... ব্যাস।।
কিছুক্ষন পর পোশাক পালটে ফ্রেস হয়ে হেটে বের হয়ে চলে গেলেন ডিসকো ক্লাবে।।
।
।
কি ব্যাপার, তোমার চোখে পানি কেন?
কত বার বলেছি তোমার চোখে পানি দেখলে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি।
বিষয়: সাহিত্য
৩২৬২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথম দুইটা ঘটনা পড়েছিলাম পত্রিকায়, শেষেরটা নতুন জানলাম, আগে পড়েছিলাম কি-না মনেও পড়তেছে না!
এরাই তো তাসলিমা বা মালালার আদর্শে আবেশিত মা!!
পড়লাম, জাযাকাল্লাহ.. দোয়া করি
মন্তব্য করতে লগইন করুন