প্রিয় রাজনীতিবিদ, প্লিজ ঢেকুর তুলুন আমরা ধন্য হবো
লিখেছেন লিখেছেন অগ্রহায়ণ ০৭ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:৩৩:৩৫ রাত
গল্প - ১
আমি তখন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ক্লাস থ্রী তে। আমাদের একটা সাবজেক্ট ছিল ড্রয়িং। ক্লাসের সবাই সুন্দর সুন্দর ছবি আকতো। সবচেয়ে ভাল আকিয়ে ছিল হানিফ। আমার আকার হাত ছিল একদম বাজে। কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং কিছুই হতো না।
একদিন আমি লোভে পড়ে হানিফের ড্রয়িং খাতাটা চুরি করে বাড়িতে নিয়ে আসি।
কেমন করে জানি আম্মু খাতাটা দেখে ফেলে। আমাকে ডেকে জিজ্ঞাস করলো, খাতা কার রে।
আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম।
আম্মু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত গর্জন করতে লাগলেন। বললেন, কালকে যদি খাতা ফেরত না দি, তাহলে যেন বাড়ী তে না আসি।
পরদিন কেউ না দেখে মতো খাতা টা হানিফের ব্যাগে রেখে দিয়েছিলাম।
।
।
লতিফ সিদ্দিকী বিরাট অংকের টাকা বিভিন্ন বিদেশী কন্ডাক্টরের কাছে থেকে মেরে দিচ্ছে - এই খবর পেয়ে যায় সজিব ওয়াজেদ জয়।
এই সুযোগ কাজে লাগান তিনি।
ব্ল্যাক মেইলিং করে প্রতি মাসে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টা হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি কোষাগার থেকে।
শেখ হাসিনা কে বিভিন্ন 'উপলক্ষে' ছেলের জন্য খাবার রান্না করে খাওয়াতে দেখেছি আমরা।
কিন্তু তার সন্তান যে জোকের মত দেশকে চুষে নিচ্ছেন তার জন্য কখনো শাসন করেছে বলে আমরা কেউ জানিনা।
এখন আপনারাই বলুন, কার মা আদর্শ মা ??
গল্প - ২
মতিন সাহেব দুপুরে খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েছেন। প্রায় তন্দ্রার মতো এসেছে তার দুচোখে।
এমন সময় টিনের চালে ঝুপ করে আওয়াজ হলো।
সাথে সাথে তিনি বিছানা ছেড়ে উঠানে এসে দেখলেন একটা কাচা আম পড়ে আছে। তিনি ভ্রু কুচকে আম গাছের দিকে তাকালেন। অবাক হয়ে দেখলেন ভর দুপুরে একটা ছেলে আম চুরি করছে। তিনি চেচিয়ে আম চোর ছেলে টি কে নিচে নামতে বললেন।
ছেলেটি নিচে নেমে বুক ফুলিয়ে মতিন সাহেবের সামনে দাড়ালো।
মতিন সাহেব ঝাঁঝালো কন্ঠে জিজ্ঞাস করলো, তুমি গাছে উপর কি করছিলে।
ছেলেটি নির্ভার হয়ে বলল, আম চুরি করছিলাম।
মতিন সাহেব চোখ কপালে তুলে বললেন, কত বড় স্পর্ধা তোমার। তোমার বাড়ী কই? চল তোমার মায়ের কাছে বিচার দেব।
ছেলেটি আরো নির্ভার হয়ে বলল -গিয়ে লাভ নেই, মাকে এখন পাবেন না।
মতিন সাহেব বললেন - কেন, পাবো না কেন?
ছেলেটি বলল - আম্মা এখন অন্য বাড়ী তে লেবু চুরি করতে গেছে।
গল্প - ৩
( এই গল্পটি সত্য কি মিথ্যা, আমি জানিনা। সত্য হতেও পারে। আপাতত গল্প হিসাবে পড়ুন)
সারা পৃথিবীর বাদশা হযরত সুলাইমান আঃ একবার ইচ্ছা করলেন আল্লাহর সৃষ্ট সব মাকলুক কে এক বেলা আহার করাবেন।
সমস্ত প্রানীকুল কে দাওয়াত করা হলো।
৪০ দিন ধরে খাবার তৈরি করা হলো।
তারপর পরিবেশনের সময় জলজ প্রানী দিয়েই আরম্ভ করা হলো। শুরুতেই আসলো "তিমি" মাছ।
তিমি মাছ এক লোকমায় সমস্ত মাকলুকের জন্য তৈরি কৃত খাবার খেয়ে ফেললো। এবং আরো খাবারের জন্য হা করে রইল।
এ ঘটনা দেখে সুলাইমান আঃ সিজদায় পড়ে গেলেন।
।
।
দেশের সাধারন মানুষের গোপন একটি বাসনা ছিল - এক সরকার লাগাতার দুই বার ক্ষমতায় থাকুক ।
কারন হিসাবে কেউ বলত - দেশে স্থিতিশীলতা আসবে।
আবার কেউ বলত -- এক টার্ম দুর্নীতি করলেও পরের টার্মে দেশের জন্য কাজ করবে।
।
।
কিন্তু আমাদের কপাল এত মন্দের মন্দ যে,,, আমাদের রাজনীতিবিদদের ক্ষুধা সুলাইমান আঃ এর সেই তিমির সেও বেশী।
যত পায় তত খায়। খাওয়ার কোন শেষ নাই।
হে প্রিয় রাজনীতিবিদ গন,
আপনারা এবার ঢেকুর তোলুন।। আমরা ধন্য হবো।।
বিষয়: রাজনীতি
১০৯১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন